আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। আমার বাপের বাড়ি থেকে আমার মামা আমার শ্বশুরবাড়িতে খাসি উপহার দিয়েছে। আমাদের শ্বশুর এর জন্য কুরবানী ওয়াজিব নয়। তো এই পশু দিয়ে কি সে কুরবানী আদায় করতে পারবে। বা কুরবানীর নিয়তে ঈদের দিন কাটতে পারবে?


২. স্বামীর মোবাইলে গায়রে মাহরাম ফ্রেন্ড আছে তার এক ছোট কালের মেয়ে ফ্রেন্ড। এরকম অনেকেই আছে। আমি আপত্তি জানালে সে বলে এতে গুনাহের কি আছে? আমার সামী ছবি ছাড়লে তারা কমেন্ট ও করে প্রায়। আমার স্বামীকে কোনোভাবেই বুঝাতে পারছি না। কিভাবে বুঝাই তা হাদীস দ্বারা আমাকে বলুন জাতে তাকে বলতে পারি

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/98756/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক এমন প্রত্যেক ব্যক্তির কুরবানী আদায় করা ওয়াজিব। কেউ ওয়াজিব কুরবানী না করলে তার ব্যাপারে হাদীসে কঠোর ধমকি এসেছে।

মিখনাফ ইবনে সুলাইম রা. বলেন-

كُنّا وُقُوفًا مَعَ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ بِعَرَفَاتٍ، فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: يَا أَيّهَا النّاسُ، عَلَى كُلِّ أَهْلِ بَيْتٍ فِي كُلِّ عَامٍ أُضْحِيّةٌ.

আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে আরাফায় অবস্থান করছিলাম, তখন আমি শুনলাম তিনি বলছেন, হে লোকসকল! প্রত্যেক ঘরওয়ালার উপর প্রত্যেক বছর কুরবানী আবশ্যক। -
(জামে তিরমিযী, হাদীস ১৫১৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৭৮৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ২৪৭৮৬)


যেই ঘরে নেসাবের মালিক একাধিক ব্যক্তি থাকে, সেই ঘরে প্রত্যেক নেসাবওয়ালাকে কুরবানী করতে হবে। 

কুরবানী ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও যারা কুরবানী করে না, তাদের ব্যাপারে অন্য এক হাদীসে এসেছে; আবূ হুরায়রা রা. বলেন-

قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ، فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا.

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার কুরবানীর সামর্থ্য আছে, তবুও সে কুরবানী করল না, সে যেন আমাদের ‘মুসল্লা’ (ঈদগাহ)-এ না আসে। -মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫৬৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮২৭৩; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩১২৩

★অন্যের ওয়াজিব কুরবানী দিতে চাইলে ওই ব্যক্তির অনুমতি নিতে হবে। নতুবা ওই ব্যক্তির কুরবানী আদায় হবে না। অবশ্য স্বামী বা পিতা যদি স্ত্রী বা সন্তানের বিনা অনুমতিতে তার পক্ষ থেকে কুরবানী করে তাহলে দেশীয় প্রচলনের কারণে তাদের কুরবানী আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে আদায় করা ভালো।
(বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে এই পশুর বয়স যদি ১ বছর পূর্ণ হয়ে ২ বছরে পড়ে,সেক্ষেত্রে এই পশু দিয়ে আপনার বাবা কুরবানী দিতে পারবে। 

(০২)
নিম্নোক্ত হাদীসের আলোকে বুঝাবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...