আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

১/কারো ইনকাম যদি হারাম হয় এবং তিনি যদি কয়েক শরীকে কুরবানি দিয়ে থাকেন এবং উনার সাথে শরীকে যারা কুরবানি দিয়েছেন তাদের ইনকাম যদি হালাল হয় তাহলে যেই লোকটির ইনকাম হারাম সেই লোক যদি আমাদের জন্য কুরবানির গোস্ত পাঠায় আমরা কি সেটা গ্রহণ করলে হারাম হবে?

২/পরিবারের মানুষ গুলা খুব গিবত করে।বলা যেতে পারে যে সারাটা দিন তাদের গিবতের উপরেই চলে।আমি বারণ করলেও শুনেনা।এজন্য আমি বেশির ভাগ সময় চুপ করে থাকি।তবে অন্তরে ঐ সব গিবতে সায় দিইনা।উনাদের সামনে থেকে কোথাও চলে যাওয়ার উপায় নেই।কারন ঘর এতোটাই ছোট যে যেখানেই যাবো তাদের কথা শুনা যাবেই।এমন অবস্থায় আমি যে চুপ করে থাকি এজন্য কি আমার গুনাহ হবে?

৩/প্রতিবেশীরা গিবত করলে বা গালি দিলে আমাদের ঘর থেকে সেটা স্পষ্ট শুনা যায়।এমন অবস্থায় আমি যদি উনাদের গিয়ে গিবত করতেনা নিষেধ করি সেটা অদ্ভুত দেখা যায়।তাছাড়া উনারা প্রচুর গিবত করে এবং নোংরা ভাষায় কথা বলে,এমন অবস্থায় আমি উনাদের আর কত নিষেধ করতে পারি।এখন আমি যদি এসব গিবত এবং গালি কে অন্তর থেকে ঘৃনা করি তাহলে আমি গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো?

1 Answer

0 votes
by (743,000 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
وإن كان كل واحد منهم صبيا أو كان شريك السبع من يريد اللحم أو كان نصرانيا ونحو ذلك لا يجوز للآخرين أيضا كذا في السراجية.
তরজমাঃযদি সাত শরীকের সাতজনই শিশু হয়,বা একজন গোস্তের নিয়তে শরীক হয় বা একজন খৃষ্টান হয়, তাহলে অন্যান্য শরীক(যাদের নিয়্যাত কুরবানি করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন )তাদের কারো কুরবানি সহীহ হবে না, বরং সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া;৫/৩০৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/18148


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হারাম ইনকাম করা লোকটি যদি আপনার জন্য কুরবানির গোস্ত পাঠায়, তাহলে সেই গোস্ত গ্রহণ করা আপনার জন্য জায়েয হবে না। কেননা হারাম মালকে গ্রহণ করা নাজায়েয ও হারাম।

(২)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার গোনাহ হবে না।
আল-উরস ইবনু ’আমীরাহ আল-কিনদী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنِ الْعُرْسِ ابْنِ عَمِيرَةَ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا عُمِلَتِ الْخَطِيئَةُ فِي الْأَرْضِ، كَانَ مَنْ شَهِدَهَا فَكَرِهَهَا - وَقَالَ مَرَّةً: أَنْكَرَهَا - كَانَ كَمَنْ غَابَ عَنْهَا، وَمَنْ غَابَ عَنْهَا فَرَضِيَهَا، كَانَ كَمَنْ شَهِدَهَا
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো স্থানে যখন অন্যায় সংঘটিত হয়, তখন সেখানে উপস্থিত ব্যক্তি তাতে অসন্তুষ্ট হলে, সে অনুপস্থিতিদের মতোই গণ্য হবে (তার গুনাহ হবে না)। আর যে ব্যক্তি অন্যায় কাজের স্থান থেকে অনুপস্থিত হয়েও তাতে সন্তুষ্ট হয়, সে অন্যায়ে উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত। (আবূ দাঊদ-৪৩৪৫) ইমাম আবু দাউদ রাহ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন।

(৩)
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার কোনো গোনাহ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...