জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
রাখতে পারেন।
এটা জায়েজ হবে।
(০২)
হ্যাঁ, এটাও জায়েজ হবে।
(০৩)
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কেরাম রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করেন-
قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، وَإِنَّ لَنَا فِي البَهَائِمِ أَجْرًا؟ قَالَ: «فِي كُلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
হে আল্লাহর রাসূল! জীব জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্য পুরস্কার আছে। {বুখারী, হাদীস নং-২৩৬৩}
পোষ্য প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে। এবং তার আরো অন্যান্য হক আদায় করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال النبي صلى الله عليه وسلم : ( دخلتِ امرأةٌ النارَ في هِرَّة حبَسَتْها، لا هي أطعَمَتْها ولا هي ترَكَتْها تأكُلُ مِن خَشَاش الأرض حتى ماتَتْ )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে। (সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রানীকে নিয়মিত খাবার - পানি ও চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করে লালন-পালন করা জায়েয।
কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় বা বাড়ীতে আটকে রাখা জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে। ( রদ্দুল মুহতার ৬/৪০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনি কুরবানির পশুর যত্ন নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে তাকে নিয়মিত খাবার দিবেন।
পারলে খোলা জায়গায় মাঠে ইচ্ছামত খাবার খাওয়ার সুযোগ দিতে পারেন।
অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাবেন।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারেন।
(০৪)
এসব বলা জায়েজ আছে।
(০৫)
এখানেই ডিটেইলস লিখে পাঠাতে পারেন।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-