কিয়ামতের দিন মানুষসহ সব জীবজন্তু বিচারের মুখোমুখি হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ اِذَا الۡوُحُوۡشُ حُشِرَتۡ ۪ۙ﴿۵﴾
‘যখন বন্য পশুদের একত্র করা হবে।’ (সুরা : তাকভির, আয়াত : ৫)
অন্য প্রাণীর মতো চতুষ্পদ জন্তুরও হাশর হবে। এগুলোকেও কিয়ামতের দিন জীবিত করা হবে।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
وَمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ فِی الۡاَرۡضِ وَلَا طٰٓئِرٍ یَّطِیۡرُ بِجَنَاحَیۡہِ اِلَّاۤ اُمَمٌ اَمۡثَالُکُمۡ ؕ مَا فَرَّطۡنَا فِی الۡکِتٰبِ مِنۡ شَیۡءٍ ثُمَّ اِلٰی رَبِّہِمۡ یُحۡشَرُوۡنَ
‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণশীল জীব এবং নিজ ডানায় উড়ন্ত পাখি—তারা সবাই তোমাদের মতো একেকটি জাতি। কিতাবে (লাওহে মাহফুজ বা কোরআনে) কোনো কিছুই আমি বাদ দিইনি। অতঃপর তাদের রবের দিকে তাদের একত্র করা হবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৩৮)
অন্য আয়াতে এসেছে,
وَ مِنۡ اٰیٰتِهٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا بَثَّ فِیۡهِمَا مِنۡ دَآبَّۃٍ ؕ وَ هُوَ عَلٰی جَمۡعِهِمۡ اِذَا یَشَآءُ قَدِیۡرٌ ﴿۲۹﴾
‘তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এই দুইয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীবজন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন সেগুলো। তিনি যখন ইচ্ছা তখনই এগুলোকে সমবেত করতে সক্ষম।’ (সুরা : শুরা, আয়াত : ২৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সবার হক পরিপূর্ণভাবে আদায় করা হবে। এমনকি শিংবাহী ছাগল যদি শিংবিহীন ছাগলকে গুঁতা দিয়ে কষ্ট দিয়ে থাকে, কিয়ামতের দিন শিংবাহী থেকে কিসাস (মৃত্যুদণ্ড) নেওয়া হবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৪৫)।
এসব বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, কিয়ামতের দিন জীবজন্তুরও বিচার হবে।
তাদের মধ্যে কোনো প্রানী কোনো প্রানীর উপর জুলুম করে থাকলে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ দিবেন।