আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহহ।
আমি একজন মেয়ে। আমার বয়স ২৭। আমার সামনের দাঁত একটা অনেক বেশি ভেতরে ঢুকানো(দাঁতের মাঝে পর্যাপ্ত ফাঁক না পেয়ে এভাবে উঠেছে)। এতে দাঁতের বিন্যাস টা কেমন যেন একেবেকে হয়েছে।দেখতে অসুন্দর দোখায়। ডক্টর দেখে বলেছে রুট ক্যানেল করাতে। রুট ক্যানাল এর মাধ্যমে ওই ভেতরে ঢুকানো দাঁতটা কেটে চিকন করে বা দাঁতের মাঝে ফাকা সৃষ্টি করে তার উপর ক্যাপ(নতুন দাঁত) পরানোর মাধ্যমে পুরোনো দাঁতের জায়গা ফিল আপ করলে দেখতে সুন্দর লাগবে।
এখন দাঁত যদি অসৌন্দর্য এর কারণ হয় আর এই অসৌন্দর্যের জন্য যদি কেউ পছন্দ না করে বা এতে বিয়ে হতে সমস্যা বা জীবন সঙ্গীর অবহেলার স্বীকার হওয়ার ভয় থাকে তাহলে কি রুট ক্যানাল করানো জায়েজ হবে? আর রুট ক্যানাল করা ছাড়াও আরেকটা ট্রিটমেন্ট আছে (ব্রেস ট্রিটমেন্ট) ওইটা ব্যয়বহল চিকিৎসা, আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। তাই ডক্টর আমাকে রুট ক্যানাল করতে সাজেস্ট করেছে। এখন আমার জন্য কি জায়েজ হবে রুট ক্যানাল করানো?

1 Answer

0 votes
by (738,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি কোনো মানুষ কষ্ট দূরীকরণার্তে বা কোনো দোষ দূরীকরণার্তে চায় উক্ত দোষ নিজের মাধ্যমে আসুক বা কোনো অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাজনিত হোক তাহলে এমতাবস্থায় শারীরিক পরিবর্তন জায়েয।
যেমন উরফুজা ইবনে আস'আদ রাযি থেকে বর্ণিত 
عن ﻋﺮﻓﺠﺔ ﺑﻦ ﺃﺳﻌﺪ ﺃﻧﻪ ﻗﻄﻊ ﺃﻧﻔﻪ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻜُﻼﺏ، ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﻓﻀﺔ ﻓﺄﻧﺘﻦ ﻋﻠﻴﻪ، ﻓﺄﻣﺮﻩ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓﺎﺗﺨﺬ ﺃﻧﻔﺎً ﻣﻦ ﺫﻫﺐ
কিলাবের যুদ্ধে উনার নাক কর্তিত হয়ে যায়,তখন তিনি রূপার নাক তৈরী করে লাগিয়ে নেন।কিন্তু উক্ত নাকে দুর্গন্ধ হয়ে যায়,যে জন্য নবীজী সাঃ উনাকে সর্ণের নাক বাধার অনুমিত প্রদান করেন।অতঃপর তিনি সর্ণের নাক বেধে নেন।(সুনানে তিরমিযি-১৭৭০) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/466

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দোষ দূরীকরণার্তে আপনি প্রশ্নে বর্ণিত সূরতে দাত চিকন করে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এখানে আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...