শরীয়তের বিধান মতে একাধিক স্ত্রীর মাঝে যদি ইনছাফ করতে পারে,তাহলে প্রয়োজনের স্বার্থে একাধিক বিবাহ করতে পারবে।
এক্ষেত্রে ১ম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন নেই।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
فانكحوا ما طاب لكم من النساء مثنى وثلاث ورباع
তোমরা বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমার ভালো লাগে—দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিয়ে করো)...।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩)
এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা প্রথম স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে বলে শর্ত দেননি।
বরং শর্ত দিয়েছেন যে যদি সকলের মাঝে ইনছাফ করতে পারো।
.
তবে একাধিক বিবাহ করতে চাইলে বাংলাদেশী আইনে স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে। না নিলে প্রথম স্ত্রী মামলা করলে জেল হয়ে যাবে।
ইসলামী আইনে প্রথম স্ত্রীর অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না। তবে, বিয়ের সময় এমন শর্ত থাকলে অনুমতির প্রয়োজন পড়ে। দ্বিতীয় বিয়ে করার ইসলামী শর্ত বেশ কঠিন অনেক কড়া।
আগের স্ত্রীর সব ধরনের হক আদায়ের পর নতুন বিয়ের পরেও সমান তালে সব অধিকার পালন করার আত্মবিশ্বাস থাকলেই কেবল যৌক্তিক কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়।
قال اللہ تعالی:فإن خفتم ألا تعدلوا فواحدة الآیة (سورہ نسا، آیت:۳)
আল্লাহতায়ালা বলেন, একাধিক বিয়ের সুবিধা যাদের আছে, তারা যদি সম অধিকার বজায় রাখার ক্ষেত্রে ভীত হও, তাহলে এক বিয়ে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক।
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ قَالَ : «إِذَا كَانَتْ عِنْدَ الرَّجُلِ امْرَأَتَانِ فَلَمْ يَعْدِلْ بَيْنَهُمَا جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَشِقُّه سَاقِطٌ». رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ وَأَبُوْ دَاودَ وَالنَّسَائِىُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِىُّ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোনো পুরুষের দু’জন সহধর্মিণী থাকে আর সে তাদের মধ্যে যদি ন্যায়বিচার না করে, তবে সে কিয়ামতের দিন একপাশ ভঙ্গ (অঙ্গহীন) অবস্থায় উঠবে।
(সহীহ : তিরমিযী ১১৪১, আবূ দাঊদ ২১৩৩, ইবনু মাজাহ ১৯৬৯, নাসায়ী ৩৯৪২, আহমাদ ৭৯৩৬, সহীহ আল জামি‘ ৭৬১, সহীহ আত্ তারগীব ১৯৪৯।)
তিনি যদি ২য় বিবাহের পর রাত্রী যাপন আর ভরনপোষণ এরক্ষেত্রে উভয় স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ করতে না পারেন, তাহলে তিনি স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করছেন বলা হবে।