শরীয়তের বিধান অনুযায়ী সুদ প্রদান আর গ্রহন উভয়ই গুনাহ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে কোন খাত থেকে উক্ত ব্যাংক বৃত্তি দিচ্ছে।যদি হালাল খাত থেকে দেয় তাহলে ধনী গরীব সবার জন্য বৈধ হবে।আর যদি হারাম খাত থেকে দেয় বা নির্দিষ্ট ভাবে জানা না যায়,তাহলে ধনী, ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে না।তবে গরীব ছাত্র ছাত্রী দের জন্য জায়েয হবে।
★সুতরাং ব্যাংক থেকে বৃত্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে দেখতে হবে যে আপনার উপর যাকাত ফরজ কিনা,আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
যদি আপনার উপর যাকাত ফরজ হয়,বা আপনি না বালিগ হওয়ার ছুরতে আপনার বাবার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়,আর ব্যাংক যদি পুরো সূদের টাকা দিয়েই উক্ত বৃত্তি প্রদান করে,তাহলে সেটি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ নয়।
ব্যাংক থেকে সুদের টাকা থেকে বৃত্তি নেওয়া গরিবদের জন্য জায়েজ, ধনীদের জন্য জায়েজ নয়।
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি নাবালেগ হলে আপনার বাবার উপর যাকাত ফরজ কিনা?
যদি আপনার বাবা যাকাত ফরজ হওয়ার মতো নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত শিক্ষাবৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেননা।
হ্যাঁ যদি যদি আপনার বাবা যাকাত ফরজ হওয়ার মতো নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে,তথা দরিদ্র হয়,সেক্ষেত্রে আপনি উক্ত শিক্ষাবৃত্তির টাকা গ্রহন করতে পারবেন।
আর যদি আপনি বালেগ,বালেগাহ হয়ে থাকেন,
সেক্ষেত্রে আপনি যদি গরিব (যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত) না হয়ে থাকেন,
তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় থাকে,তাহলে উক্ত বৃত্তি নেওয়া আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
আপনাকে তাহা ফিরিয়ে দিতে হবে,বা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া ছদকাহ করে দিতে হবে।
,
আর যদি আপনি যাকাত প্রাপ্তির উপযুক্ত হয়ে থাকেন,তথা আপনার উপর যদি যাকাত ফরজ না হয়ে থাকে,নেসাব পরিমান সম্পদ যদি আপনার মালিকানায় না থাকে,তাহলে নির্দিধায় আপনি উক্ত বৃত্তি নিতে পারবেন।