ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)ঘরে নন- মাহরামদের সামনে বোরকাবৃত হয়ে তথা হাতমোজা, পা মোজা, নিকাব এসব পরিধান করেই পর্দা করতে হবে যদি গায়রে মাহরাম আসার সম্ভাবনা থাকে। ঘরে পর্দার ব্যবস্থা এমনভাবে করতে হবে,যাতেকরে মহিলাখানায় গায়রে মাহরামরা কখনো প্রবেশ করতে না পারে।তাহলে আর বোরখা ইত্যাদি পরিধান করতে হবে না।
ঘরের এমন জায়গায় নামায পড়তে হবে, যেখানে পরপুরুষরা আসতে পারে না। নামাযে হাত পা ও মুখ খুলা রাখতে হবে। মুখ ঢেকে নামায পড়া মাকরুহ।
(২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এই উম্মতের পিতা। উনার জন্য আমাদের মত পর্দা ফরয ছিলনা। উনার বিধান ব্যতিক্রম ছিলো।যেমন বিয়ের ক্ষেত্রে উনার বিধান ব্যতিক্রম পর্যায়ের ছিলো। সুতরাং এইসব ঘটনা দ্বারা দলীল দেওয়া যাবে না।