জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মহান আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক,জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়,তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই।এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে আরো কিছু শর্ত সাপেক্ষে ঝাড়-ফুক ও তাবিজ ব্যবহার বৈধ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ
আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ
দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}
শর্তগুলো বিস্তারিত জানুনঃ
আরো জানুন-
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ছেলে মেয়ে উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক হয়,কুফুও যদি ঠিক থাকে,তাহলে তাকে পাওয়ার জন্য যেমন দোয়া করার অনুমতি কিছু উলামায়ে কেরামগন দিয়েছেন।
(মহান আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য এ দুআ শিক্ষা দিয়েছেন:
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদেরকে থেকে রক্ষা কর জাহান্নামের আগুন থেকে।” (সূরা বাকারা: ২০১)
আর ভালো স্বামী/স্ত্রী, সুসন্তান, অর্থ-সম্পদ, ভালো চাকুরী, উপকারী বন্ধু, সৎ প্রতিবেশী, সুস্বাস্থ্য ইত্যাদি সবই দুনিয়াবি কল্যাণ। সুতরাং এ সব কল্যাণকর বিষয় পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকট দুআ করায় কোনো দোষ নেই।)
,
★তেমনি বলবো যে যদি আপনাদের কুফু ঠিক থাকে,তথা আপনাদের উভয়ের পরিবারের অর্থনৈতিক,দ্বীনদারি ইত্যাদি অবস্থা যদি সামঞ্জস্য থাকে,তাহলে বৈধ কালাম তথা কুরআন-হাদীস ও সালাফে সালেহীনদের বর্ণিত দু'আ দুরুদ দ্বারা তাবিজ করা বৈধ রয়েছে।
বৈধ কালামের মাধ্যমে তাবিজ করার রুখসত রয়েছে।তবে অবৈধ উদ্দেশ্যে করা যাবে না।
আরো জানুনঃ
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জীনের মাধ্যেমে হোক,বা মানুষের মাধ্যেমেই হোক,কিছু বিষয় লক্ষ্যনীয়।
,
*আল্লাহর নাম, কুরআনের আয়াত, দুআয়ে মাসূরা ব্যতিত শিরকী কথা দ্বারা উক্ত কাজ করা হয়,তাহলে তাহা কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
অন্যথায় জায়েজ আছে।
*উক্ত কাজকে মুয়াসসার বিজজাত তথা সেটা নিজেই আরোগ্য করার,সমস্যার সমধান করার ক্ষমতার অধিকারী মনে করা। এ বিশ্বাস জাহেলী যুগে ছিল, বর্তমানেও ইসলাম সম্পর্কে কিছু অজ্ঞ ব্যক্তিরা তা মনে করে থাকে।
জীনের দেওয়া তাবিজ সংক্রান্ত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এহেন কাজকে অনেক ইসলামী স্কলারগন শিরক বলেন,তাই সতর্কতামূলক এহেন কাজ করা উচিত নয়।