بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কারো মৃত্যুতে
এক মিনিট বা দুই মিনিট নীরবতা পালন করাকে ইসলাম
কখনোই অনুমোদন দেয় না। কারো মৃত্যুতে নীরবতা পালন করা এটা অমুসলিমদের সংস্কৃতি।
অমুসলিমদের
অনুকরণে মৃত ব্যক্তির কবরে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা, মৃত ব্যক্তির কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা
শরীয়তসম্মত নয়। এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি। বিধর্মীদের আবিষ্কার। আর বিজাতিদের অনুসরণের
ব্যাপারে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
" .
ইবনু ‘উমার
(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
ব্যক্তি বিজাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে। -সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস ৪০৩১
সুতরাং
মুসলমানদের কর্তব্য এসব অহেতুক মনগড়া কাজ সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা।
আরো বিস্তারিত
জানুনঃ https://ifatwa.info/2917/
এছাড়া মৃত
ব্যক্তির জন্য 'নিয়াহা' বা শোক অনুষ্ঠান পালনের ব্যাপারে সরাসরি
রাসূল সা. থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি বলেন
المَيِّتُ يُعَذَّبُ في قَبْرِهِ
بِما نِيحَ عليه. "
শোক অনুষ্ঠান
করার কারণে মৃত ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া হয়"(বুখারী)।
শোক অনুষ্ঠান
রাসূল সা. এর যুগেও ছিলো। তবে এটি কোনো ইসলামী রীতি তো ছিলোই না। বরং ছিলো মুশরেকদের মধ্যে প্রচলিত জাহেলি যুগের একটি
রীতি। রাসূল সা. একে কুফরি বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন,
اثنتانِ في الناسِ هما بهم كفرٌ : الطعنُ
فيالأنسابِ ، و النِّياحةُ على الميِّتِ.
মানুষের
মধ্যে এমন দুইটি বিষয় রয়েছে যা কুফরি। এক: বংশ নিয়ে অপবাদ দেয়া। দুই: নিয়াহা বা শোক
অনুষ্ঠান পালন করা। (সহীহ মুসলিম)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষ মারা
গেলে নিরবতা পালন করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ নয়। এর কারণে মাইয়্যেতকে শাস্তি
দেওয়া হয়। তবে যদি মৃত ব্যক্তি তার জীবদ্দশাতে এজাতীয় কাজ অপছন্দ করে থাকেন এবং মৃত্যুর
পূর্বে ওয়ারিশদেরকে এসব কুসস্কার থেকে নিষেধ করে যান তাহলে তার নিষেধাঙ্গা অমান্য
করে যারা ঐ হারাম কাজগুলি করবে এর গুনাহ তাদের উপর বর্তাবে, মাইয়্যেতকে সেই কুসস্কারের
জন্য শাস্তি দেওয়া হবে না।