আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
"তা.." এর ওসওয়াসা।
>> আজকে বাসে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম। বাসে উঠার পরেই দেখি এক হুজুর সিটে বসে ফোনে কথা বলতেছে। আমি তার থেকে বেশ দূরে দাড়িয়ে ছিলাম। আমার চোখে চোখ পড়ার পর হুজুর মাথা হালকা ঝাকিয়ে আমাকে সালাম বুঝালো। তার সালামের শব্দ আমার কানে আসে নি। আমিও সালাম এর প্রতিউত্তরে জবাব না দিয়ে ভুলে আমার মাথা হালকা ঝাকিয়ে উলটা তাকে আসসালামু আলাইকুম বলি। আমার সালাম ও সে শুনে নি। কারণ সে দূরে বসা ছিল। এবং তাকে জিজ্ঞেস করি কেমন আছেন, সে হয়তো মাথা ডান দিকে কাত করে বুঝালো ভালো আছে। এর পর আমার মাঝে ওসওয়াসা আসা শুরু করলো যে তার সালাম তো আমি শুনি নি। যে যদি আমাকে "তা.... "এর কথা জিজ্ঞেস করে থাকে। আমি তো মাথা ঝাকিয়ে সালাম দিলাম, এই মাথা ঝাকানো কি আবার স্বীকারোক্তি হলো নাকি? খুব পেরেশানি লাগতেছিল। পরে আমি কয়েকবার মাথা ঝাকিয়ে সালাম দেই নিজে নিজে বুঝার জন্য।

>> বাস থেকে নেমে বড় হাই তুলি কয়েকবার। একবার হাই তোমার সময় চোয়াল নাড়িয়ে মুখ বন্ধ করে আবার  খোলতেছিলাম।  পরে আবার মনে হলো আমার মুখ দিয়ে কি আবার "তা..." জাতীয় শব্দ বের হয়ে গেলো কিনা?

>> আমার স্ত্রীর বাচ্চা প্রসবের সময় চলে আসছে প্রায়, ঈদের পরেঈ হয়তো ডেলিভারি হবে। এখন ওকে নিয়ে ঢাকায় আছি। ও আজকে আমাকে বলতেছিলো,  ওর বোন ফোন দিয়েছিল যে ওর দোলাভাই ১৩ তারিখে ঢাকা থেকে প্রাইভেট গাড়ি করে বাড়ি যাবে। আমাদেরও নিয়ে যাবে। ওর বোন বলছে ওর দোলা ভাই এর সাথে যেয়ে ওর বোনের বাড়িতে দুইদিন থেকে তারপর বাড়ি যেতে। এইটা শুনে আমি বললাম ঈদের আগে ডেংডেঙাইয়া বাড়িতে যাবা? মানে ১৩ তারিখের পর আরো দুইদিন ওর বোনের বাড়িতে থাকলে ঈদ চলে আসে। গর্ভবতী হয়ে যাস্ট একদম ঈদের আগে মুভ করা কষ্টকর তাই এভাবে বলছি। আমার প্রশ্নতে কি কোন কেনায়া হইছে? আমি কোন নিয়ত করে বলি নি। বলার পর থেকে ওসওয়াসা শুরু হইছে।

আমি কি করবো এই সমস্ত ওসওয়াসা থেকে বাচার জন্যে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
হুজুর আমি কি ওসওসার রোগি?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...