আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ, আমি নতুন বাসায় আসছি কিছু দিন হইলো। যে বাসায় থাকি, সেটা নিচ তলায় এবং জালানার সামনে রাস্তা আছে একটা মানুষ খুব একটা যাতায়াত করে না। আমি আলহামদুলিল্লাহ পর্দা করা চেস্টা করি এবং ননমাহরাম থেকে দুরে থাকার চেস্টা করি। বারিওয়ালা উপরে থাকে, অনি যথাসম্ভব অসুস্থ তাই তাকে দেখতে তার চেনা( পুরুষ মানুষ  কিছুটা মুরব্বির মতো)  কেউ আসছিলো তো মেইন গেট বন্ধ ছিলো । তাই অনি আমার রুমের  জালানা দিয়ে দেখার চেস্টা করছিলেন যে ভেতরে কেউ আছে নাকি গেট খুলে দেওয়ার জন্য । আমি সেই রুমে শুয়ে ছিলাম। জানালা খোলা ছিলো সামান্য আর পর্দা লাগানো ছিলো,  তো অনি রুমে দেখতে চাইছিলো, আমি পর্দার বাইরে তাকে আসতে দেখে কর্কষ গলায় বললাম কি জন্য এদিকে আসতিছেন তবুও অনি পর্দা সরায় ভেতরে দেখার চেস্টা করায়, আমি আরালে গিয়ে রেগে তাকে বেয়াদব বলছিলাম। কিন্তু একটু পর অনেক বেশি খারাপ লাগতেছিলো। এর জন্য কি আমার গুনাহ হবে কি?  আমার মনে হয় আমি খারাপ কাজ করে ফেলছি। যদি গুনাহ হয় তবে কি আল্লাহর কাছেে মাফ চাইলে হবে না? কারন আমি তাকে চিনি না যে তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাবো।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَوِ اطَّلَعَ فِي بَيْتِكَ أحدٌ ولمْ تَأذن لَهُ فخذفته بحصاة ففتأت عَيْنَهُ مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ جُنَاحٍ»

[আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি- কোনো ব্যক্তি যদি অনুমতি ব্যতীত তোমার ঘরে উঁকি মারে যাকে তুমি অনুমতি দাওনি আর তুমি যদি তাকে কোনো কঙ্কর নিক্ষেপ করে তার চক্ষু ফুঁড়ে দাও, এতে তোমার কোনো অপরাধ নেই।
(বুখারী ৬৮৮৮, মুসলিম ২১৫৮, আহমাদ ৭৩১৩।)


حَدَّثَنَا مُوسَى، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ قَالَ: حَدَّثَنِي يَحْيَى، أَنَّ إِسْحَاقَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا أَتَى بَيْتَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَلْقَمَ عَيْنَهُ خَصَاصَةَ الْبَابِ، فَأَخَذَ سَهْمًا أَوْ عُودًا مُحَدَّدًا، فَتَوَخَّى الأعْرَابِيَّ، لِيَفْقَأَ عَيْنَ الأعْرَابِيِّ، فَذَهَبَ، فَقَالَ: أَمَا إِنَّكَ لَوْ ثَبَتَّ لَفَقَأْتُ عَيْنَكَ.

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এক বেদুইন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাড়িতে এসে দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারলো। তিনি একটি তীর বা সুচালো কাঠ তুলে নিলেন এবং বেদুইনের চোখ ফুঁড়ে দেয়ার জন্য তা তার দিকে তাক করলেন। অতএব সে চলে গেলো। তিনি বলেনঃ তুমি যদি স্থির থাকতে তবে আমি তোমার চোখ ফুড়ে দিতাম। (নাসাঈ, হাকিম,আল আদাবুল মুফরাদ ১১০১)

وَعَن سهل بنِ سعد: أَنَّ رَجُلًا اطَّلَعَ فِي جُحْرٍ فِي بَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِدْرًى يَحُكُّ بِهِ رَأْسَهُ فَقَالَ: «لَوْ أَعْلَمُ أَنَّكَ تنظُرُني لطَعَنْتُ بهِ فِي عَيْنَيْكَ إِنَّمَا جُعِلَ الِاسْتِئْذَانُ مِنْ أَجْلِ الْبَصَرِ»

সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরজার ছিদ্র দিয়ে উঁকি দিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (হাতে) একটি শলাকা ছিল, যা দিয়ে তিনি মাথা চুলকাচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমি যদি নিশ্চিতভাবে জানতাম যে, তুমি (সংগোপনে) আমার দিকে তাকাচ্ছ, তাহলে আমি এর দ্বারা (শলাকা দিয়ে) তোমার চোখ ফুঁড়ে দিতাম। কেননা অনুমতি নেয়ার বিধান এ চোখের কারণেই দেয়া হয়েছে (যাতে কেউ কিছু দেখতে না পায়)।
(বুখারী ৬৯০১, মুসলিম ২১৫৬, নাসায়ী ৪৮৫৯, তিরমিযী ২৭০৯, আহমাদ ২২৮০২, সহীহ আল জামি‘ ২৩৫৪, সহীহ আত্ তারগীব ২৭৩০।)

অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে প্রবেশ করলে বা উঁকি দিলে অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এতে ঘরের ব্যক্তি নানা কিছুর সম্মুখীন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই ইসলাম অন্যের ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা বা উঁকি দেয়া নিষিদ্ধ।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা। সুতরাং চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...