আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
151 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
reshown by
اَلسَّلاَمْ عَلَيْــــــــــــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

১.ছোট খালাতো ভাইয়ের(১০) সামনে যেতে পারব কিনা? মূলত উত্তম হবে কিনা সেটা একটু বিস্তারিতভাবে বলবেন। কারন সে এডাল্ট বিষয় সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে।

২.নফল ইবাদত নাকি পরিবারের কাজে সাহায্য। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

৩.ভাত খাওয়ার মধ্য অবস্থায় পানি খেতে হলে কোন হাতে খাব? যেহেতু ডান হাত দিয়ে সম্ভব হয় না।

৪. ফোনে যেসব ওয়াজ মাহফিল লেকচার দেখি।সেখানে বেশির ভাগই গায়রে মাহরাম অর্থাৎ পুরুষ থাকে। সেটা হতে পারে বৃদ্ধ কিংবা তরুণ। সে ক্ষেত্রে দৃষ্টির হেফাজত করার হুকুম কি? ২ বারের বেশি তাকালে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা নূর-৩১)

তাফসীরে জ্বালালাইনে বলা হয়,

ﺃَﻭْ اﻟﻄِّﻔْﻞ} ﺑِﻤَﻌْﻨَﻰ اﻷَْﻃْﻔَﺎﻝ {اﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭا} ﻳَﻄَّﻠِﻌُﻮا {ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻮْﺭَاﺕ اﻟﻨِّﺴَﺎء} ﻟِﻠْﺠِﻤَﺎﻉِ ﻓَﻴَﺠُﻮﺯ ﺃَﻥْ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻋَﺪَا ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦ اﻟﺴُّﺮَّﺓ ﻭَاﻟﺮُّﻛْﺒَﺔ 

যে সমস্ত বালকরা নাবালক,এবং স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়,তাদের সামনে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকাশ করা নাজায়েয নয়।তবে যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী সহবাস বুঝে,তারা সাবালক পুরুষেরই মত।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার খালাত ভাইয়ের বয়স যেহেতু ১০ বছর। সুতরাং সে যদি নাবালেগ হয়ে থাকে,এমতাবস্থায় তার সামনে পর্দা করা আপনার উপর ফরজ নয়।

তবে আপনি যদি ফিতনার আশংকা বোধ করেন,যেমন কুদৃষ্টি ইত্যাদি। 
সেক্ষেত্রে তার সামনেও পর্দা করবেন।

সে নাবালেগ হওয়া সত্ত্বেও তাকে দেখতে যদি বালেগের মতো বলে মনে হয়,সেক্ষেত্রেও পর্দা করবেন।

আর যদি সে বালেগ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তো তার সামনে পর্দা করা ফরজ।

ফিতনার এই যুগে,ইন্টারনেটের এই যুগে এমতাবস্থায় তার সামনে পর্দা করারই পরামর্শ থাকবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
এক্ষেত্রে উভয়টি করারই চেষ্টা করবেন। 
সাংসারিক কাজের সময় কাজ করবেন।
নফল ইবাদতের জন্য অবসর সময় বের করে নফল ইবাদত করবেন।

সাংসারিক কাজ করা অবস্থায় যবানে/মনে মনে আল্লাহর যিকিরও করতে পারেন।

তবে বিষয় যদি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে সাংসারিক কাজ করতে গেলে রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনোক্রমেই নফল ইবাদত আর করার সুযোগ নেই,আবার বাড়ির স্ত্রী হওয়ায় সাংসারিক কাজ অতি জরুরী হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে পরিমিত আকারে সাংসারিক কাজও করবেন,নফল ইবাদতও করবেন।

(০৩)
ডান হাতে গ্লাস ধরা কষ্টকর/সমস্যাকর হলে
এমতাবস্থায় বাম হাতে গ্লাস ধরে ডান হাতের কব্জি বা ডান হাতের কব্জির পিঠের উপর রেখে পানি পান করবেন।

(০৪)
এক্ষেত্রে বদ নজর বা ফিতনার আশংকা থাকলে বক্তার দিকে তাকানো জায়েজ নেই।

এসব কোনো সমস্যা না হলে সেক্ষেত্রে বক্তার দিকে তাকানো যাবে।
গুনাহ হবেনা।

তবে প্রয়োজন ছাড়া একাধিকবার নজর না দেয়াই ভালো।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...