আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আমার মেয়ে জন্মের সময় কিছু প্রব্লেম হয়, সেখান থেকে ওর খিচুনি হয়...ওর বয়স প্রায় ২ বছর এখনো খিছুনি হয় এবং ওর ডেভেলপমেন্ট হয় নি। আমাদের মসজিদের ইমামের কাছে জানালে উনি উনার দেশের বাড়ি খুলনার এক আলেম যিনি নাকি জীন দ্বারা চিকিৎসা করেন, উনি জানান আমার মেয়ের উপর খারাপ জীনের আছর হয়েছে, এবং আমার মা বড় বোন আমার ওয়াইফ এর উপরও খারাপ জীনের আছর আছে, মোট কথা আমাদের বাসার মানুষের উপর কেউ জীন চালান এবং কুফরি করেছে। আমার ২ বোনের বাচ্চারো কিছু প্রব্লেম হয়েছে, আলেম বলেন জীন গুলো আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি করতে চায়, আমি ঢাকায় এক আলেমের কাছে যাই উনিও জীন দ্বারা চিকিৎসা করান তিনিও একই কথা বলেন। কিন্তু ঢাকায় যে আলেমের কাছে যাই তার সে চিকিৎসার জন্য অর্থ একটু বেশি চায়, তবে অর্থ বিষয় না, আমরা চাচ্ছিলাম বিশ্বস্ত কোনো আলেমের কাছে যেতে যে কিনা শরয়ি পদ্ধতিতে সমাধান করবেন।

সার্বিকভাবে দয়া করে আমাদের জন্য পরামর্শ দিবেন। আমার বোন এবং ওয়াইফ প্রেগ্নেন্ট তাই আমরা বেশি চিন্তিত। কোনো বিশ্বসত আলেমের যদি খোজ দিতেন খুবই উপকৃত হতাম। যদি এখানে আলেমের নাম ঠিকানা না বলা যায় তাহলে কোন উপায়ে জানতে পারি দয়া করে সেটাও জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

দুয়ার দরখাস্ত।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনার বোনকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...