জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
حُرِّمَتْ عَلَيْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ وَبَنَاتُكُمْ وَأَخَوَاتُكُمْ وَعَمَّاتُكُمْ وَخَالَاتُكُمْ وَبَنَاتُ الْأَخِ وَبَنَاتُ الْأُخْتِ وَأُمَّهَاتُكُمُ اللَّاتِي أَرْضَعْنَكُمْ وَأَخَوَاتُكُم مِّنَ الرَّضَاعَةِ وَأُمَّهَاتُ نِسَائِكُمْ وَرَبَائِبُكُمُ اللَّاتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَائِكُمُ اللَّاتِي دَخَلْتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمْ تَكُونُوا دَخَلْتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ وَحَلَائِلُ أَبْنَائِكُمُ الَّذِينَ مِنْ أَصْلَابِكُمْ وَأَن تَجْمَعُوا بَيْنَ الْأُخْتَيْنِ إِلَّا مَا قَدْ سَلَفَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকণ্যা; ভগিনীকণ্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকরী, দয়ালু। (সূরা নিসা, ২৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
স্ত্রীর দুধভাইয়ের আম্মা তথা স্ত্রীর দুধ সম্পর্কীয় মায়ের সাথে যেহেতু বিবাহ জায়েজ নেই,সুতরাং তার সামনে পর্দা করতে হবেনা। সে মাহরাম।
(০২)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাওয়া তথ্যমতে মসজিদ ই নবাবির গম্বুজটি শুরু থেকে সবুজ ছিল না।
কাঠ দ্বারা নির্মিত গম্বুজটি প্রথমে বাদামি রঙের ছিল। কিছুকাল পরে এটি সাদা রঙে পরিবর্তন করা হয়। তারপর গম্বুজটিতে নীল ও বেগুনি রঙ ব্যবহার করা হয়।১২৫৩ হিজরিতে অটোমান সুলতানের নির্দেশে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা পাকের ওপর নির্মিত বড় গম্বুজটিতে সবুজ রঙ ব্যবহার করা হয়। যা আজও বিদ্যমান।
★ইতিহাস বীদ দের মতে বর্তমান গম্বুজটি ১২৭৯ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন মামলূক সুলতান কালাউন। অতঃপর ১৪৮১ খ্রীষ্টাব্দে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর সুলতান আশরাফ কায়েতবায়ী পুনরায় একটি কালো পাথরের গম্বুজ নির্মাণ করেন। পরবর্তী শাসকদের আমলে তাতে সাদা এবং নীল রঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছিল। ৯৪৬ হিজরীতে গম্বুজের উপর তুর্কী খেলাফতের প্রতীকবাহী চন্দ্রাকৃতি স্থাপন করেন মক্কার শাসক ওয়াছেল। অতঃপর ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কী সুলতান মাহমূদ খান গম্বুজের উপর সবুজ রঙের প্রলেপ দেন। তখন থেকে এটি ‘কুববাতুল খাযরা’ (সবুজ গম্বুজ) নামে পরিচিতি লাভ করে এবং তা আজও অক্ষত আছে। (আল-ওয়াহহাবিয়্যূন ওয়াল হিজায পৃ. ৬৯-৭১)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইহা ছাড়াও আমরা বলতে পারি যে সবুজ রঙ অনেক সুন্দর,অনেক ভালো,আকর্ষনীয়।
এটা জান্নাতীদের রঙ।
সুতরাং এ দৃষ্টিকোন হতে সম্ভবত রওজার গম্বুজে সবুজ রঙ দেয়া হয়েছে।
,
জান্নাতীদের পোশাক সবুজ হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
عٰلِیَہُمۡ ثِیَابُ سُنۡدُسٍ خُضۡرٌ وَّ اِسۡتَبۡرَقٌ ۫ وَّ حُلُّوۡۤا اَسَاوِرَ مِنۡ فِضَّۃٍ ۚ وَ سَقٰہُمۡ رَبُّہُمۡ شَرَابًا طَہُوۡرًا ﴿۲۱﴾
জান্নাতী নারী হোক বা পুরুষ হোক, সকলের পোষাক সবুজ হবে। আল্লাহ বলেন, ‘জান্নাতীদের পোষাক হবে মিহি সবুজ ও মোটা রেশমী কাপড়’ (দাহার ৭৬/২১)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
مُتَّکِـِٕیۡنَ عَلٰی رَفۡرَفٍ خُضۡرٍ وَّ عَبۡقَرِیٍّ حِسَانٍ ﴿ۚ۷۶﴾
‘তারা ঠেস দিয়ে বসবে সবুজ বালিশে ও নকশাদার গালিচার উপরে’ (আর-রহমান ৫৫/৭৬)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
اُولٰٓئِکَ لَہُمۡ جَنّٰتُ عَدۡنٍ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِہِمُ الۡاَنۡہٰرُ یُحَلَّوۡنَ فِیۡہَا مِنۡ اَسَاوِرَ مِنۡ ذَہَبٍ وَّ یَلۡبَسُوۡنَ ثِیَابًا خُضۡرًا مِّنۡ سُنۡدُسٍ وَّ اِسۡتَبۡرَقٍ مُّتَّکِئِیۡنَ فِیۡہَا عَلَی الۡاَرَآئِکِ ؕ نِعۡمَ الثَّوَابُ ؕ وَ حَسُنَتۡ مُرۡتَفَقًا ﴿۳۱﴾
তাদের জন্য রয়েছে বসবাসের জান্নাত। যার পাদদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত হয়। সেখানে তাদেরকে স্বর্ণ-কংকনে অলংকৃত করা হবে এবং তারা মিহি ও মোটা রেশমী সূতার সবুজ পোষাক পরিধান করবে। তারা সেখানে সুসজ্জিত আসনে ঠেস দিয়ে বসবে। কতই না সুন্দর প্রতিদান ও কতই না সুন্দর আশ্রয়স্থল’ (কাহফ ১৮/৩১)।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্বিয়ামতের মাঠে মানুষকে উঠানো হবে। আমিও আমার উম্মত একটি উপত্যকার উপর থাকব। আমার প্রতিপালক আমাকে সবুজ জোড়া কাপড় পরাবেন। তারপর আমাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হবে। তখন আমি আল্লাহর ইচ্ছায় যা বলার বলব। এটাই হ’ল ‘মাক্বামে মাহমূদ’ (আহমাদ হা/১৫৮২১; ছহীহাহ হা/২৩৭০)।