আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
209 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (9 points)
আমার শরীর অনেক ক্লান্ত থাকায় আজকে আসর টাইমে চোখ লেগে এসেছিলো। এ কারণে মাগরিব,আসর কাজা হয়ে যায় কিন্তু আমার ঘুম ভাঙ্গার সময় একটা স্বপ্ন দেখি।দেখলাম,
আমি একটা ক্লাস রুমে বসে আছি কিন্তু আসলে মেয়েটা আমি না অন্য কেউ। কিন্তু অনুভূতিগুলো আমারই ছিলো; ক্লাসে একজন সুদর্শন ছেলে হাজির হয় মেয়েটির সামনে। এবং দুজনের সম্মতিতে তারা জিনায় লিপ্ত হয়। এরপর মানুষের কথায় ছেলেটা মেয়ে কে ছেড়ে চলে যেতে চাইছিলো কিন্তু আবার সে মেয়েকে রেখেও যেতে পারছে না কারণ মেয়েটাও ছেলের প্রতি এতো মুগ্ধ ছিলো যে তার সঙ্গ ছাড়তে চাচ্ছিলো না। এরপর যখন বাড়ি আসি তখন আমি শুনতে পাচ্ছিলাম কেউ একজন আমাকে বলছে "জানিস! গেরুয়া বুড়ো লোকটা আহমাদুল্লাহ শায়েখকে গালাগাল দিচ্ছে।" আবার বল্লো, " দেখিস, একটা লোক আসবে গেরুয়া সাজে সাজা। সে আহমাদুল্লাহ শায়েখকে গালাগাল করে। এরপর সত্যিই একটা লোক তার সাথে মূর্তি টুর্তি নিয়ে আমার বাড়ির ভেতর ডুবে একটা রুমের কোণায় বসে। আর এসে শায়খ আহমাদুল্লাহকে নিয়ে কটুক্তি করে। এরপর আমাকে বলে তুই একটা বেনামাজি। আমি যখন বললাম আমি কি করেছি?

বল্লো, তুই নামাজ কাজা করেছিস তুই একটা বেনামাজি। তার ভাস্যমতে আমি নামাজ কাজা করেছি বলে আমি বেনামাজি।সে এটা বলে সে চলে যায় আর আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়। ইদানীং আমি প্রায় এরকম কিছু স্বপ্ন দেখছি, আরো একটি স্বপ্ন যা আমি ভুলতে পারছি না।

স্বলাতে আমাকে ভীত করে তোলে এই স্বপ্ন, "আমি দেখলাম একজন দম্পতি নৌকায় চড়ে ঘুরছে নদীতে। মেয়েটির স্বামী কোনো কারণে তাকে মেরে ফেলতে চায়। তাই সে তার ভার্সিটির কিছু লোক ভাড়া করেছে; তার মধ্যে একজন মেয়ে আর দুইজন ছেলে। দম্পতি যখন নদীর মাঝামাঝি যায় তখন সেই ৩জন মানুষ মেয়েটাকে পানিতে টেনে ফেলে এবং হাতে থাকা বড় বড় দা দিয়ে মেয়ের ঘাড় এবং মাথার মাঝখান বরাবর কেটে প্রায় দুইভাগ করে ফেলে। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয় এবং মেয়েটির ঘাড়ে,মাথায় জটিল সেলাই দেয়া হয়েছিলো। আমি মেয়েটির এই খবরে ঘরে বসে কাঁদছিলাম আর বলছিলাম সে আমার ভীষণ আপন মানুষ ছিলো, আমার অনেক কাছের মানুষ ছিলো, আমার বন্ধু সে। এরপর সে একটু সুস্থ বোধ করলে এবং তাকানোর মতো সামর্থ্য হতেই আমাকে সে ম্যাসেজ দিতে তার বাড়ি ডেকে নেয়। আমি গিয়ে তাকে যখন ধরি তার ঘাড়ের সেলাই আমার হাতে বাঁ্ধে আমি ভয় পেয়ে যাই এরপর যখন মাথায় হাত বুলাতে চাইলাম তখন মাথায়ও সেলাই দেখে তাকে অনেক আল্লালা করে তাকে শান্তনা দিচ্ছিলাম। তার প্রতি আমার আলাদাই ভালোবাসা আর করুণা ছিলো।


এখন এই স্বপ্ন দুটোর মানে আমাকে বলা যায় কি? এর কি খাস কোনো মানে আছে? আমি পরপর এই দুই স্বপ্নের কারণে চিন্তিত হয়ে আছি।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
স্বপ্নে সহবাস করার তাবির ব্যখ্যা  হলো উভয়ের প্রত্যেকরই ফায়েদা পৌছবে।

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144106200033 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত স্বপ্ন দেখার পর কাপড়ে/শরীরে কোনো বীর্য বা মযি পেলে সেক্ষেত্রে গোসল ফরজ হবে। 

আরো জানুনঃ- 

স্বপ্নে দেখা অন্যান্য বিষয় গুলো আপনার মনের কল্পনা থেকে দেখেছেন বলে মনে হচ্ছে।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার আমল বাড়িয়ে দিতে হবে,দ্বীনদার লোকদের সাথে উঠাবসা করতে হবে,পবিত্র হালতে থাকতে হবে,অহংকার থেকে বেঁচে থাকতে হবে। 
বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত, যিকির আযকার,ফরজ সহ নফল নামাজ পড়তে হবে। 
দান ছদকাহ করতে হবে।
,
স্বপ্নের কথা কাউকে বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...