বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হুন্ডি বা চোরাই পথে লেনদেন না করে, ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে উৎসাহিত করতে সরকার এই ২% বোনাসের সিস্টেম জারি করেছে।
এতেকরে রেমিটেন্স তথা বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ট হিসাব রাখা সম্ভব হবে।যদ্ধরূণ ভবিষ্যতে দেশের টাকার মান বাড়বে।সুতরাং সরকারি এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
এখন ফেকহী দিক নিয়ে আমরা একটু চিন্তাভাবনা করি।
প্রশ্ন হল, এই ২% কি সুদ হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,
সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ মূলনীতি
كل قرض جر نفعا فهو ربا
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।
এখানে কিন্তু ব্যাংকে ঋণ রাখা হচ্ছে না।বরং বৈধ পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য সরকার পুরুস্কার দিচ্ছে।
আর সরকারি পুরুস্কার বৈধ।কেননা সরকারী আয়ের সকল উৎস হারাম নয়।বরং বলতে অধিকাংশ উৎসই হালাল।
সুতরাং ব্যাংক মারফত বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে সরকার যে ২% বোনাস দিচ্ছে সেটা জায়েযই হবে।অাল্লাহ-ই ভালো জানেন।
মুসলিম অমুসলিম যে কারো নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে।
হাদিয়ার ফযিলত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : « ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘﺒﻞُ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻳُﺜﻴﺐُ ﻋﻠﻴﻬﺎ »
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়া গ্রহণ করতেন।এবং তার বিনিময়/প্রতিদান ও দিতেন।(সহীহ বুখারী-২৪৪৫)
ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻟﻮ ﺃُﻫـﺪﻳـﺖ ﺇﻟـﻲَّ ﺫﺭﺍﻉٌ ﻟﻘﺒـﻠﺖُ، ﻭﻟﻮ ﺩُﻋﻴﺖُ ﺇﻟﻰ ﻛُﺮﺍﻉٍ ﻷَﺟﺒﺖُ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ আমার নিকট জন্তুর বাহু হাদিয়া পাঠায়,তাহলে আমি তা কবুল করব।আর যদি কেউ আমাকে পায়ের খুরা রেঁধেও দাওয়াত দেয়, তাহলেও আমি জবাব দিবো।(সহীহ বুখারী-৪৮৮৩)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
যেহেতু সরকারের কাছ থেকে উক্ত বোনাস ইস্যু হচ্ছে,এবং সরকারী মালের সিংহভাগ হালাল।তাই এ বোনাস গ্রহণ করা যাবে।