জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ আদায় করলে একই সূরা দিয়ে নামায কমপ্লিট করতে হবেনা।
তার যেই সুরা ইচ্ছা,সেই সুরা দিয়েই নামাজ আদায় করতে পারবে।
আর অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের দরুন এক্ষেত্রে পাঠকের গুনাহ হবেনা।
এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে সেক্ষেত্রে নামাজটা পুনরায় আদায় করতে হবে।
পুনরায় আদায় করতে হলে এর জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই সেই নামাজের নিয়ত করে নামাজ আদায় করে নিবে।
(০২)
মুগীরাহ্ বিন শু’বাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত।
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ الْإِمَامُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَإِنْ ذَكَرَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوِي قَائِما فليجلس وَإِنِ اسْتَوَى قَائِمًا فَلَا يَجْلِسْ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْو» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর (প্রথম বৈঠকে না বসে তৃতীয় রাক্’আতের জন্যে) উঠে গেলে যদি সোজা দাঁড়িয়ে যাবার পূর্বে মনে হয় তাহলে সে যেন বসে যায়। আর যদি সোজা দাঁড়িয়ে যায় তবে সে বসবে না (এবং শেষ বৈঠকে) দু’টি সাহু সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। (মিশকাত-১০২০,আবূ দাঊদ ১০৩৬, ইবনু মাজাহ্ ১২০৮, ইরওয়া ৪০৮)
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফরজ তরক করা হয়ে যাবেনা। এক্ষেত্রে সেজদায়ে আদায় করা আবশ্যক হবে।
(০৩)
চার রাকাত বা তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজে প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পর দরুদ শরীফ পাঠ করলে পরবর্তী রাকাত বিলম্ব হয়,যেহেতু সাথে সাথেই দাড়ানোর নিয়ম ছিলো,আর দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে দাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হলো,তাই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
তাশাহুদের পর শুধুমাত্র ৪২ হরফ পরিমাণ পড়লে তথা “আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মদ” পর্যন্ত পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়ে যায়। {আহসানুল ফাতওয়া-৮/২৯.৩০}
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن الشعبي ، قال : من زاد في الركعتين الأوليين على التشهد فعليه سجدتا السه (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، ما يقال بعد التشهد مما رخص فيه، رقم الحديث-3039
হযরত শাবী রহঃ বলেন-যে ব্যক্তি প্রথম দুই রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদের পর কোন কিছু পড়ে, তাহলে তার উপর দুই সেজদা দেয়া আবশ্যক। তথা সেজদায়ে সাহু। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৩৯}
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
“আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মদ” পর্যন্ত পড়লেউ সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়ে যাবে।
(০৪)
না,এভাবে নিয়ত করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রমজান মাস হলে সে ফরজ রোযার নিয়ত করবে। আর অন্য মাসে হলে সে কাজা রোযার নিয়ত করবে।
(০৫)
গুনাহ হবেনা।