আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُه

উস্তাজ আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল:

১. কেউ যদি নতুন নতুন সূরা শিখে এবং পাকাপোক্ত করা এবং মনোযোগ ধরে রাখার জন্য নামাযের মধ্যে সে সূরাগুলো তিলাওয়াত করে সেক্ষেত্রে প্রায়সময় যদি হরফ/হারাকাতে পরিবর্তন করে ফেলে, যেমন هم কে كم পড়ে বা يومَ تَملكُ কে   يومُ تُملك পড়ে। নামাজ শেষে চেক করে যদি দেখা যায় যে সে ভুল পড়েছে এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ আদায় করলে কি একই সূরা দিয়ে নামায কমপ্লিট করতে হবে?
আর এক্ষেত্রে কি পাঠকের গুনাহ হবে? নামাজটা কি হবে নাকি পুনরায় আদায় করতে হবে? পুনরায় আদায় করতে হলে নিয়মটা কেমন হবে?

২. কেউ যদি নামাজের দ্বিতীয় বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যায় এবং ততক্ষণাৎ আবার বসে পড়ে তাহলে কি এটা ওয়াজিবের জন্য ফরজ তরক করা হয়ে যাবে (যদিও সে এটা মনে না করে)? এক্ষেত্রে মাসায়ালাটা কেমন হবে উস্তাজ?

৩. আর কেউ যদি ভুলে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে দরুদ ও কিছুটা পড়ে ফেলে বা দরুদ পড়া শেষ করে বুঝতে পারে তাহলে দুইটার ক্ষেত্রে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৪. কেউ যদি তার পূর্ববর্তী কাযা রোজা কমপ্লিট হয়েছে কিনা কনফিউশনে থাকে সেক্ষেত্রে সে এমন নিয়ত করতে পারবে কিনা? যেমন, আল্লাহ আমি ফরজ রোজা রাখছি, যদি ফরজ রোজা কমপ্লিট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কাযা রোজা রাখছি।

৫. কেউ যদি হিন্দু টিচারকে السلام عليكم على من اتبع الهدى না বলে আদব বলে সেক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজ আদায় করলে একই সূরা দিয়ে নামায কমপ্লিট করতে হবেনা।
তার যেই সুরা ইচ্ছা,সেই সুরা দিয়েই নামাজ আদায় করতে পারবে।

আর অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের দরুন এক্ষেত্রে পাঠকের গুনাহ হবেনা।

এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে সেক্ষেত্রে নামাজটা পুনরায় আদায় করতে হবে।

পুনরায় আদায় করতে হলে এর জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই।
স্বাভাবিক ভাবেই সেই নামাজের নিয়ত করে নামাজ আদায় করে নিবে।

(০২)
মুগীরাহ্ বিন শু’বাহ্ (রাঃ)থেকে বর্ণিত।
وَعَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا قَامَ الْإِمَامُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ فَإِنْ ذَكَرَ قَبْلَ أَنْ يَسْتَوِي قَائِما فليجلس وَإِنِ اسْتَوَى قَائِمًا فَلَا يَجْلِسْ وَلْيَسْجُدْ سَجْدَتَيِ السَّهْو» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম দু’ রাক্’আত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার পর (প্রথম বৈঠকে না বসে তৃতীয় রাক্’আতের জন্যে) উঠে গেলে যদি সোজা দাঁড়িয়ে যাবার পূর্বে মনে হয় তাহলে সে যেন বসে যায়। আর যদি সোজা দাঁড়িয়ে যায় তবে সে বসবে না (এবং শেষ বৈঠকে) দু’টি সাহু সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করবে। (মিশকাত-১০২০,আবূ দাঊদ ১০৩৬, ইবনু মাজাহ্ ১২০৮, ইরওয়া ৪০৮)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফরজ তরক করা হয়ে যাবেনা। এক্ষেত্রে সেজদায়ে আদায় করা আবশ্যক হবে।

(০৩)
চার রাকাত বা তিন রাকাতবিশিষ্ট নামাজে প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ার পর দরুদ শরীফ পাঠ করলে পরবর্তী রাকাত বিলম্ব হয়,যেহেতু সাথে সাথেই দাড়ানোর নিয়ম ছিলো,আর দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে দাড়ানোর ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হলো,তাই সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।    

তাশাহুদের পর শুধুমাত্র ৪২ হরফ পরিমাণ পড়লে তথা “আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মদ” পর্যন্ত পড়লে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়ে যায়। {আহসানুল ফাতওয়া-৮/২৯.৩০}
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عن الشعبي ، قال : من زاد في الركعتين الأوليين على التشهد فعليه سجدتا السه (مصنف ابن ابى شيبة، كتاب الصلاة، ما يقال بعد التشهد مما رخص فيه، رقم الحديث-3039

হযরত শাবী রহঃ বলেন-যে ব্যক্তি প্রথম দুই রাকাতের বৈঠকে তাশাহুদের পর কোন কিছু পড়ে, তাহলে তার উপর দুই সেজদা দেয়া আবশ্যক। তথা সেজদায়ে সাহু। {মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৩৯}

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
“আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলী মুহাম্মদ” পর্যন্ত পড়লেউ সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হয়ে যাবে।

(০৪)
না,এভাবে নিয়ত করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে রমজান মাস হলে সে ফরজ রোযার নিয়ত করবে। আর অন্য মাসে হলে সে কাজা রোযার নিয়ত করবে।

(০৫)
গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 126 views
...