আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (25 points)
আমার এক বন্ধু বিষয়টা জানতে চেয়েছে। সে প্রবাসে থাকে। তার মনে হচ্ছে বিয়ে করা তার উপর ফরজ হয়ে আছে। সে গুনাহ থেকে কিছুতেই বেঁচে থাকতে পারছে না। বয়সও অনেক হয়েছে তার। এখন সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঁচ মাস পরে তার আকামার মেয়াদ শেষ। তো সে নতুন করে আকামা রেনু না করে পাঁচ মাস পরে একবারে দেশে চলে আসবে। দেশে এসে বিয়ে করবে এবং দেশেই কোন একটা ব্যবসা করবে। এখন তার কাছে প্রয়োজনীয় খরচ বাদে, এক্সট্রা ১৫ লক্ষ টাকা আছে। এখন এই ১৫ লক্ষ টাকার কারণে কি তার উপর হজ ফরজ হয়েছে?? যেহেতু এখন হজের মৌসুম চলতেছে এবং সে সৌদিতে আছে। এখন কি তার এই অতিরিক্ত টাকার কারণে তার সৌদি থেকেই হজ আদায় করা বাধযতামূলক হবে??
আর এখানে কিছু বিষয় হচ্ছে, পাঁচ মাস পরে সে দেশে চলে আসলে তার তো আর ইনকাম থাকবে না। ঐ ১৫ লক্ষ টাকার উপরই তার নির্ভর। এখন এসে যে বিয়ে করবে তার স্ত্রীকেও তো পর্দার মধ্যে রাখা তার উপর ফরজ। তো এজন্য সে ১৫ লক্ষ টাকা থেকে কিছু টাকা দিয়ে তার ঘর বানাবে যেন পর্দার সমস্যা না হয়। এবং এই ১৫ লক্ষ টাকা থেকেই তার বিয়ের আনুসাঙ্গিক খরচাপাতি এবং স্ত্রীর মোহরানা দিবে। আর বাকি কিছু টাকা দিয়ে দেশে ব্যবসা বাণিজ্য করবে। এখন যদি তার ওপর হজ ফরজ হয়ে থাকে সৌদি থেকে তার হজ করা যদি বাধ্যতামূলক হয়। তাহলে তো সে পাঁচমাস পর দেশে গিয়ে কোন কিছু করতে পারবে না। বিয়ের জন্য কিছু খরচপাতি এবং স্ত্রীর মোহরানা লাগবে। এবং স্ত্রীকে পর্দায় রাখা বা পর্দার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া যেহেতু তার উপর ফরজ সুতরাং স্ত্রীর পর্দার জন্য তার নতুন ঘর তৈরি করাও ফরজ। এখন যদি সে সৌদি থেকে ঐ টাকা দিয়ে হজ করে ফেলে তাহলে বিয়ে করা, ঘর তৈরি করা, এবং ব্যবসা করা ইত্যাদি তার জন্য সম্ভব হবে না।
বিঃদ্রঃ: সে কিছুদিন যাবত হজে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করতেছিল। কিন্তু সৌদি সরকার যেই কয়েকটা প্যাকেজ নির্ধারণ করেছে হাজীদের জন্য। তার মধ্যে কম দামে যে প্যাকেজগুলো ওইগুলো টোটালি বন্ধ হয়ে গেছে। এখন দামি দুইটা প্যাকেজ চালু আছে এবং সে যদি সেই দুইটা প্যাকেজে যে কোন একটা ক্রয় করে তাহলে তার প্রায়ই ৫ লক্ষ টাকার মত চলে যাবে। তাহলে তার মূল যে ১৫ লক্ষ টাকা তার থেকে অনেক টাকায় চলে যাবে। তো এখন তার করণীয় কি তার উপর কি হজ করা ফরজ? নাকি হজ্জ না করলে তার গুনাহ হবে না?

1 Answer

0 votes
by (568,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সুন্নত মুতাবেক বিয়ের জন্য যতটুকু টাকার প্রয়োজন, শরীয়তের দৃষ্টিতে ততটুকু টাকাই বিয়ের খরচ হিসেবে ধর্তব্য। সুন্নত মুতাবেক বিয়েতে স্বামী যতটাকা মহর দিবে, তত টাকা এবং স্ত্রীর বাসস্থান ওয়ালিমা বাবৎ যতটাকা প্রয়োজনিয়তা পড়বে, তত টাকাই বিয়ের খরচ হিসেবে ধর্তব্য হবে। এছাড়া অন্যান্য খরচ জরুরতের আওতাধীন হবে না। 


কোনো অবিবাহিত ব্যক্তির নিকট যদি এই পরিমাণ টাকা থাকে যে, হজ্ব ফরয। এখন দেখতে হবে, বিয়ে না করলে কি যিনাতে লিপ্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে? না কি নাই? যদি যিনাতে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থাকে, তাহলে ফরয হজ্বের পূর্বে তাৎক্ষণিক বিয়ে করা জরুরী। এক্ষেত্রে হজ্ব বিলম্ব হওয়াতে বা হজ্ব না করাতে কোনো গোনাহ হবে না। আর যদি গোনাহকে লিপ্ত হওয়ার কোনো আশংকা না থাকে, তাহলে তখন হজ্ব করাই জরুরী। হজ্ব ফরয হওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/69243


وفي الأشباہ: معہ ألف وفاف العزوبة إن کان قبل خروج أہل بلدہ فلہ التزوّج ولو وقتہ لزمہ الحج (درمختار)․․․ ولذا اعترضہ ابن کمال باشا فی شرحہ علی الہدایة بأنہ حال التوقان مقدّم علی الحج اتفاقًا؛ لأن في ترکہ امرین: ترک الفرض والوقوع في الزنا، وجواب أبي حنیفة في غیر حال التوقان اھ أي في غیر حال تحققہ الزنا لأنہ لو تحققہ فرض التزوج أما لو خافہ فالتزوج واجب لا فرض فیقدم الحج الفرض علیہ فافھم․ (الدر مع الرد: ۳/۴۶۱، ط: زکریا) وانظر (أنوار مناسک، ص: ۱۵۸)


দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa ID: 202-168/Sn=4/1436-U
 صورت مسئولہ سے متعلق اصل حکم شرعی یہ ہے: اگر کسی غیر شادی شدہ شخص کے پاس اتنا پیسہ ہے کہ اس سے یا تو شادی کرسکتا ہے یا حج، اگر حج کو جائے تو شادی کے لیے باقی نہ رہے گا، اکر شادی کرے گا تو حج کے لیے باقی نہ رہے گا، تو دیکھا جائے کہ اس شخص کی حالت ایسی ہے کہ شادی کی بہت ضرورت تو ہے مگر نفس بے قابو نہیں ہے تو اگر حج کا وقت آگیا تو اس پر حج میں جانا شرعاً ضروری ہے؛ ہاں اگر حج کا وقت ہنوز نہیں آیا تو پھر اس کے لیے شادی کرلینا بھی جائز ہے؛ لیکن اکر شادی کے لیے نفس بے قابو ہے؛ بلکہ معصیت کا اندیشہ ہے تو پھر بہرصورت شادی کرلینا جائز ہے خواہ وقت آگیا ہو یا نہ آیا ہو، جن صورتوں میں شادی کرلینا جائز ہے، ان میں اس شخص پر دوبارہ حج اس وقت فرض ہوگا جب اس کے پاس حج کے اخراجات مہیا ہوجائیں 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবর্রনমতে আপনার উপর হজ্ব ফরয।  আপনি এখনই হজ্ব করে নিবেন। হজ্ব করা আপনার উপর ফরয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 106 views
0 votes
1 answer 122 views
...