আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
134 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (14 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন-১ঃ

আমি ২০২০ সাল পর্যন্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ২০১৯ সালে, যখন করোনা মহামারি চলছিল, অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হতো এবং আগের পরীক্ষার খাতা বাসায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা ছিল। আমিও কিছু পরীক্ষার খাতা বাসায় নিয়ে এসেছিলাম, যা দেখে মার্কসও দিয়েছিলাম। করোনার কারণে আর কলেজে যাওয়া হয়নি। এর মধ্যে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু খাতাগুলো আমার কাছেই থেকে যায়। পরে আমি ২০২১ সালে বিদেশ চলে আসি, কিন্তু খাতাগুলো বাসায় রেখে দিয়েছিলাম যাতে সুযোগ হলে কাউকে দিয়ে দিতে পারি।

কিছুদিন আগে, আমি যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করতাম তার প্রধানকে (তিনি এখন অন্য জায়গায় চাকরি করছেন) ফোন দিয়ে জানাই যে আমার কাছে কিছু খাতা আছে, এগুলো কী করব? তিনি বললেন যে এগুলো ভুলে যেতে, কারণ এগুলো ফেরত দিলে আমরা দুজনেই সমস্যায় পড়ব। তাছাড়া কলেজের নীতিমালা অনুযায়ী কয়েক বছর পর খাতাগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, যদি আমি ওই খাতাগুলো বিক্রি করে যে টাকা পাই তা ওই প্রতিষ্ঠানের নামে সদকা করে দিই, তাহলে কি হবে? আর নাহলে কি করবো? কলেজের আরা ওই খাতার আসলে দরকার নাই। দরকার থাকলে তো তারা নিজেরাই আগে যোগাযোগ করতো। 

 

প্রশ্ন-২ঃ

আমি এখন যে জায়গায় চাকরি করি সেখানে আমার ম্যানেজার যে কাজ দেন, আমি সেটা ঠিকমতো করি। এটি ৯টা-৫টা এই টাইপের কাজ। কাজ করার পর আমি ডেডলাইনের আগেই কাজ জমা দিই। আমি আবার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাও করি যে আমি ঠিকমতো কাজ করছি কিনা? আমার পারফরম্যান্স ঠিক আছে কিনা? তারা খুশি থাকে।

যদিও আমি ঠিকমতোই কাজ করি এবং তারাও খুশি, মাঝে মাঝে আমি যা এক দিনে করতে পারি, সেটা ইচ্ছা করে দুই দিনে করি। মানে ইচ্ছা করে দেরি করি। আবার কখনও কখনও তারা দুই দিনে একটি কাজ করতে দেয়, আমি দুই দিনেই করি, কিন্তু আসলে আমার দুই দিন লাগে না। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত কাজও করি। অনেক সময় কাজের প্রেশার থাকে না, তাই আমি আমার ব্যক্তিগত কাজ করি। কিন্তু এমন কখনও হয়নি যে তারা একটি কাজ দুই দিনে করতে বলেছে, আর আমি আমার ব্যক্তিগত কাজ করার কারণে তিন দিন লাগিয়েছি। যদি তিন দিন লাগে, তাহলে সেটা আমি আসলেই পারিনি, তাই তিন দিন লেগেছে।

এটা কি ঠিক হচ্ছে? তাদের কাজ ঠিকমতো করেই সেই সময়ের মধ্যে আমার ব্যক্তিগত কাজ করা, এতে কি আমার টাকা হালাল হবে?

অনেক সময় যেহেতু কাজের প্রেশার থাকে না, তাই করি। এখন আমি যদি তাদের বলি যে আমি ফ্রি বা দুই দিনের কাজ এক দিনে করে ফেলেছি, তাহলে তারা আবার নতুন নতুন কাজ দেবে (কিছু কিছু কাজ দিতে পারে যেগুলো আমার জব রেস্পন্সিবিলিটির মধ্যে পড়ে না)। যেহেতু কর্পোরেট জগত, তাই যতটা খাটিয়ে নিতে পারে, চেষ্টা করবে। 

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

closed

1 Answer

0 votes
by (561,030 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উক্ত খাতা গুলি সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। সুতরাং প্রশ্নের বিবরন মতে তাহা বিক্রয় করলে সমপরিমাণ টাকা সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো এক খাতে যে নামেই হোক জমা করে দিবেন।

(০২)
আপনার সময় যেহেতু নির্দিষ্ট,সুতরাং সেই সময়ের মধ্যে আপনার ব্যাক্তিগত কাজ করা যাবেনা।

এভাবে ব্যাক্তিগত কাজ করতে চাইলে কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
জাযাকাল্লাহ খাইরান,

কিন্তু টাকা কিভাবে ওইখানে দিবো? যেহেতু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিদিষ্ট খাত ছাড়া তো টাকা দেওয়া যাবে না। লাইক, খালি ছাত্র ছাত্রী রা টাকা দিতে পারবে। তাও তো নিদিষ্ট।

আর ১০০/২০০ টাকা তো ডোনেশন ও দেওয়া যাবে না (জদিওবা তারা ডোনেশন নেয় বলে মনে হয় না)। 

by (561,030 points)
টাকা দেয়া কোনো ভাবেই সম্ভব না হলে সেক্ষেত্রে টাকাটি সদকাহ করে দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...