আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১. আমি গতরাতে স্বপ্ন দেখেছি আমি আর আমার হাজবেন্ড হজে যাবো, তো যেদিন ফ্লাইট সেদিন আমি আর উনি আমার ফুপির বাসায় গেছি আমার ফুপির কাছে একটা হিজাব বানিয়ে নেবো বলে, তো আমার ফুপি বলছিলো এটাতে কাপড় কম আছে আরেকটু হলে হিজাবটা বড় হতো, এইজন্য আমার হাজবেন্ড পাশের এক বাজারে গেছে যেখানে একটাই কাপড়ের দোকান,  সে গিয়ে দোকান্দারকে ডেকে দোকান খুলাইছে সেই সময় আমি গিয়ে বলছিলাম এর চেয়ে বরং শহরে গিয়ে ২/৩ টা বড় হিজাব কিনে আনি এই দোকানের কাপড় ভালো হবে না কিন্তু সে যাবে না এটা নিয়ে আমি তার উপর একটু মন খারাপও করি ; তারপর হঠাৎ আমার শাশুড়ীর সাথে দেখা হয়, আমার হাজবেন্ডের মামাতো ভাইয়ের কি যেনো ঝামেলা লাগছে তারপর হাবিজাবি কি জানি সব দেখেছি আর কিছু মনে নাই।

২. আমার ননদ মারা গেছে(আত্নহত্যা করে) ২০১২ সালে।

কিছুদিন আগে আমার শাশুড়ী স্বপ্নে দেখেন উনি বাসায় ওকে খুজে পাচ্ছিলেন না যার জন্য একে ওকে জিজ্ঞেস করছিলেন তোমরা কেউ সনিয়াকে দেখছো তারপর ওর সাথে দেখা হয়, উনি ওকে বলছিলো তুমি আমাকে না বলে কই গেছিলা তো ও বলছিলো আমি না প্রাইভেট পড়তে গেছিলাম আম্মু, আমার শাশুড়ী ওকে বলছিলো আমাকে বলে যাবা না এরপর কোথাও গেলে আমাকে বলে যাবা আমি তোমাকে কত জায়গায় খুজলাম, তারপর ওকে নিয়ে বাসায় আসে, বাসায় আসার পর আমার নানি শাশুড়ী(উনিও মারা গেছেন ২০১৮ সালে) আবার আমার শাশুড়ীকে বলতেছিলো তুই কই গেছিলি কিছু বলে যাস না তখন উনি সনিয়ার কথা বলছিলো ওকে খুজে পাচ্ছিলাম না তাই খুজতে গেছিলাম এসব বলতেই আবার দেখে সনিয়া নাই তখন আমার শাশুড়ী বলতেছিলো মেয়ে আবার কই গেলো, আল্লাহ মেয়েটাকে আমি খুজে পাইলে একটা ছাগল কোরবানি দিবো।

( স্বপ্নের মধ্যে সনিয়া একেবারেই স্বাভাবিক ছিলো, চিন্তিত ছিলো না শরীরে কোনো আঘাত ও ছিলো না)

এখন আমার শাশুড়ীকে কি ছাগল কোরবানি দিতে হবে, যদি দিতেই হয় তাহলে কি ছাগলই কোরবানি দিতে হবে নাকি সেই পরিমাণ টাকা সদাকা করে দিলে হবে?

৩. গত রমজানের হায়েজের সময় আমি ১১ টা রোজা কাযা করি হায়েজ ভালো হয়নি ভেবে, যদিও আমি জানি হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিন কিন্তু আমি সেই সময় ভুলেই গেছিলাম, এখন আমার করনীয় কি? (১১টা রোজাই আমি কাযা আদায় করেছি)

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বপ্নে নিজেকে হজ্জ কিংবা ওমরার সফরে দেখা,অথবা দেখা যে সে হজ্জ অথবা ওমরার কার্যক্রম আদায় করতেছে,কিংবা হজ্জ ওমরার প্রস্তুতি নিচ্ছে,ইত্যাদি ইত্যাদি। 
এগুলো সবই বাইতুল্লাহ শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত হজ্জ ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।  
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত হজ্জ,ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাফের তওফিক দান করুন।
আমিন।

(০২)
স্বপ্নের দরুন মানুষের উপর কোনো শরয়ী বিধান আবশ্যক হয়না।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার শাশুড়ীকে ছাগল কোরবানি দিতে হবেনা, সমপরিমাণ টাকা সদাকাও করতেও হবেনা।
কোনোটিই আবশ্যক নয়।

এক্ষেত্রে করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনি মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে নিবেন,ভবিষ্যতে আর এধরনের ভুল করবেননা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...