আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)

আসসালামু আলাইকুম। 

 

যদি কোন ব্যক্তির  (তা..)  এর কোনরকম নিয়ত নাই, সে তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসে কিন্তু কোন কাজে গাণিতিক সংখ্যা লিখার প্রয়োজনের  সময় তার মাথায় যদি  (তা..)  চিন্তা আসে তাই গাণিতিক সংখ্যা লেখার সময় যদি প্রতিবারই নিয়ত নাই নিয়ত নাই মনে মনে বলে আর প্রতিবারই যদি নিয়ত নাই নিয়ত নাই মনে মনে বলার কারনে  বিরক্ত  ও  রাগ করে যদি ভাবে "এমনি যদি হয়ে যায় তো হয়েযাক" এরপর তখনি  যদি কোন কাজে গাণিতিক সংখ্যা লেখার প্রয়োজনে কোন গানিতীক সংখ্যা   যেমন " ১"  লিখে তাহলে  (তা...)এর নিয়ত হবে কি? তার স্ত্রীর উপর কোন কিছু পতিত হবে কি?

 

★★ "এমনি যদি হয়ে যায় তো হয়ে যাক" এ কথার অর্থ তার তো( তা..)নিয়ত নাই এখন যদি গাণিতিক সংখ্যা লিখলেই যদি এমনি আপনা আপনি  হয়ে যায়  তাহলে হোক এরূপ অর্থে যদি রাগ করে উক্ত কথাটি মনে মনে ভাবে আর যদি ঠিক তখনি কোন কাজের প্রয়োজনে কোন  গাণিতিক সংখ্যা লিখে তাহলে তার স্ত্রীর উপরে কোন কিছু পতিত হবে কি? । 

 

প্রশ্ন (১) এক্ষেত্রে (তা..) নিয়ত হয়েছে   কি?

 

প্রশ্ন (২) তার স্ত্রীর উপরে কোন কিছু পতিত হবে কি? 

 

প্রশ্ন (৩) উক্ত ব্যক্তি যদি ওয়সওয়াসা কোর্সে  ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে আপনার উপদেশ কি? 

 

প্রশ্ন (৪) প্রায় দেখা যায় ফলের গাছে  মানুষ আল্লাহ এবং সুবহানাল্লাহ এসব শব্দ লিখে রাখে এগুলো কি ইসলামে কি জায়েজ? 


 

হুজুর এ বিষয়ে আর আপনাকে কোন প্রশ্ন করে বিরক্ত করা হবে না। হুজুর দয়া করে আপনার দুই হাত জোড় করে অনুরোধ করছি  ৪টা প্রশ্নের উত্তর টা দিয়েন ফিরায় দিয়েন না আল্লাহর কসম করে বলছি হুজুর আল্লাহর কসম লাগে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০৪)
আল্লাহর নাম,রাসুলের নাম,কুরআনের অসম্মানী হয়,এমন কোনো কাজ করা যাবেনা।
সেটি আদবের খেলাফ।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।

(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি তাসবিহাতকে এমনভাবে লিখা হয় যে, তা পড়ে গিয়ে পদপৃষ্ঠ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না, তাহলে এমন হলে অবশ্যই লোকদের স্বরণের জন্য তাসবিহাতকে রাস্তার পাশে প্রতিস্থাপনের রুখসত থাকবে। তবে শর্ত হল, ময়লা ও দুর্গন্ধ যুক্ত স্থানে স্থাপন করা যাবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(১.২.৩)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...