আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
122 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম,
উস্তাদ আমি জানতে চাচ্ছি,
১। শার্ট, প্যান্ট,গেঞ্জি,টি শার্ট এসব পরা কি যাবে না? এগুলো পরা জায়েজ কি? এগুলো পরে নামায পরা যাবে না? কোন কোন রঙ পুরুষদের জন্য হারাম?
২। ঘরকে নানা ফারনিচার দিয়ে সাজানো কি জায়েজ আছে? ঘরে বেশি ফারনিচার কি থাকা রাখা যাবে না??

৩। মুসলমান রা কি দোলনাতে চড়তে পারবে না????

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ বলেনঃ-

ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ ﻗَﺪْ ﺃَﻧﺰَﻟْﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻟِﺒَﺎﺳًﺎ ﻳُﻮَﺍﺭِﻱ ﺳَﻮْﺀَﺍﺗِﻜُﻢْ ﻭَﺭِﻳﺸًﺎ ﻭَﻟِﺒَﺎﺱُ ﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯَ ﺫَﻟِﻚَ ﺧَﻴْﺮٌ ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺁﻳَﺎﺕِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻟَﻌَﻠَّﻬُﻢْ ﻳَﺬَّﻛَّﺮُﻭﻥَ

তরজমাঃ-হে বনী-আদম আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবর্তীণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে এবং অবর্তীণ করেছি সাজ সজ্জার বস্ত্র এবং পরহেযগারীর পোশাক, এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতেরঅন্যতম নিদর্শন, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।[সূরা আল আ’রাফ ২৬]

পোশাক সংক্রান্ত ইসলামী মূলনীতি জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
গেঞ্জি পড়া জায়েজ।

স্বাভাবিক অবস্থায় শার্ট প্যান্ট পড়া বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। 
,
১ম পক্ষ নাজায়েজ বলেন। 
২য় পক্ষের উলামায়ে কেরামদের মত অনুযায়ী আমরা বলতে পারি যে,  কোন ব্যক্তি যদি ইসলামিক ড্রেসকোড মেনে অর্থাৎ ঢিলেঢালা শার্ট-প্যান্ট পড়লো,টাখনুর উপরে প্যান্ট পরিধান করলো,তার শার্ট-প্যান্ট পরিধানের দ্বারা তার শরীরের কোন অঙ্গ প্রকাশিত হলো না এবং অন্যান্য ইসলামিক নিয়মাবলী মেনে ঢিলেঢালা শার্ট প্যান্ট ট্রাওজার পরিধান করলো তাহলে সুন্নাহ পালন হবে।
.
★উলামায়ে কেরামদের মাঝে যেহেতু মতবিরোধ রয়েছে, তাই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া শার্ট প্যান্ট না পড়াই উত্তম মনে করছি।     

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
পুরুষদের জন্য লাল আর হলুদ কালারের কাপড় পরিধান করার নিষেধাজ্ঞা হাদীস শরীফে এসেছে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০২)
ঘরে ফার্নিচার রাখা যাবে।
তবে তাহা প্রয়োজন অতিরিক্ত যেনো না হয়,অপচয় যেনো না হয়।

(০৩)
দোলনাতে চড়া জায়েজ।
তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে শর্ত হলো সেখানে গায়রে মাহরাম পুরুষ থাকা যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها، قَالَتْ فَلَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ جَاءَنِي نِسْوَةٌ وَأَنَا أَلْعَبُ عَلَى أُرْجُوحَةٍ وَأَنَا مُجَمَّمَةٌ فَذَهَبْنَ بِي فَهَيَّأْنَنِي وَصَنَّعْنَنِي ثُمَّ أَتَيْنَ بِي رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَنَى بِي وَأَنَا ابْنَةُ تِسْعِ سِنِينَ 

মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা যখন মদীনায় আসি, তখন আমার কাছে কয়েকজন মহিলা আসে, আর সে সময় আমি দোলনায় দোল খাচ্ছিলাম। এ সময় আমার মাথার চুল ছোট ছিল। তারা আমাকে নিয়ে গিয়ে সুন্দররূপে সুসজ্জিত করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসে। এ সময় তিনি আমার সাথে সহবাস করেন, আর তখন আমার বয়স ছিল নয় বছর।
(আবু দাউদ ৪৮৫১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...