স্বপ্ন নিয়ে কিছু প্রশ্ন

Question

اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ
১. বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্র দেখার পর পাত্রের পছন্দ হয়, তবে পরিবারের কারনে পাত্র পক্ষ থেকে মানা করে দেওয়া হয়। মানা করার পরও যদি কেও স্বপ্নে দেখে যে, সেই পাত্রের সাথে আবার কথা হচ্ছে বা যোগাযোগ হবে, তবে কি এর কোনো ব্যাখ্যা আছে?
২. স্বপ্নে বজ্রপাত দেখার কি কোনো ব্যাখ্যা আছে?
৩. তিন কূল, আয়তুল কুরসি, ঘুমানোর দুআ', বাক্বারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি পড়ার পরও যদি কেও ভয়ানক বা ডিসটার্বিং স্বপ্ন দেখে তবে কি এটা কি শয়তানের পক্ষ থেকে ই? নাকি এটা সিহরের লক্ষন হিসেবে আল্লাহ পাক ই দেখাচ্ছেন?

৪. স্বপ্ন তিন প্রকার- আল্লাহর পক্ষ থেকে, শয়তানের পক্ষ থেকে, বাস্তব জীবনের কিছু প্রতিফলন।  তবে ভয়ানক স্বপ্ন দেখলে সেগুলো সব ই শয়তানের পক্ষ থেকে হয় না? শয়তানরা তো ধোঁকাবাজ।  তবে রাক্বিরা এই ভয়ানক স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে জিনের রুগী নির্ধারণ করেন কেনো? এই স্বপ্ন তো শয়তান থেকে আসে তাইনা?
আল্লাহ ভালো জানেন রাক্বিরা কিভাবে চিকিৎসা দেন বা তাদের দৃষ্টি ভংগিতে স্বপ্নকে কিভাবে দেখেন। তবে এটা আমি দেখেছি যে স্বপ্নে খাওয়া বা টয়লেট বা নোংরা বা পরিত্যাক্ত জায়গা দেখলে এক এক ক্যাটাগরির জিনের রুগী ধরা হয়। যদি এইগুলে বাজে স্বপ্ন শয়তান থেকে ই আসে এবং শয়তান হলো ধোঁকাবাজ, তবে এগুলোর সাথে রুকইয়াহর সম্পর্ক কি?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

«الرُّؤْيَا عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ، مَا لَمْ تُعْبَرْ، فَإِذَا عُبِرَتْ وَقَعَتْ» .

“স্বপ্ন হলো, উড়ন্ত পায়ের মতো। (যা ভালো ও খারাপ উভয়ের সম্ভাবনা রাখে) যতক্ষণ না তার ব্যাখ্যা করা হয়। যখন একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয় তখন তা বাস্তবায়িত হয়”।(ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩৯১৪; আবূ দাউদ, হাদীস নং ৫০২০)

সত্যবাদীর স্বপ্ন অধিকংশ সময়ই সত্য হয়।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে....

و أصدق الرؤيا أصدقهم حديثا 

তরজমাঃ-যারা সদা সত্য কথা বলবে তাদের অধিকাংশ স্বপ্নই সত্য হবে।(তিরমিযি-২২৭০)

واصدق الرؤيا بالاسحار

রাত্রের শেষাংশের(সেহরীর) স্বপ্ন বাস্তব সম্মত হয়।(তিরমিযি-২২৭৪)

যখন দিন রাত্রি বরাবর বা সমান সমান হবে তখন অধিকাংশ স্বপ্নই বাস্তব সম্মত হবে। হবে।(আবুদাউদ-৫০১৯) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 734 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) বিয়ের উদ্দেশ্যে পাত্র দেখার পর পাত্রের পছন্দ হয়, তবে পরিবারের কারনে পাত্র পক্ষ থেকে মানা করে দেওয়া হয়। মানা করার পরও যদি কেউ স্বপ্নে দেখে যে, সেই পাত্রের সাথে আবার কথা হচ্ছে বা যোগাযোগ হবে। এমন স্বপ্ন মনের কল্পনাপ্রসূত। 

(২) স্বপ্নে বজ্রপাত কামিয়াবির আ'লামত।

يبشر البرق في الأحلام بسعادة ونجاح قصير الأمد. 

(موسوعة تفسير الاحلام ص:٢٢)

(৩) তিন কূল, আয়তুল কুরসি, ঘুমানোর দুআ', বাক্বারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি পড়ার পরও যদি কেউ ভয়ানক বা ডিসটার্বিং স্বপ্ন দেখে, তাহলে যে সেটা  শয়তানের পক্ষ থেকেই যে হচ্ছে, এমনটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। 

(৪) 

আল্লাহ ভালো জানেন রাক্বিরা কিভাবে চিকিৎসা দেন বা তাদের দৃষ্টি ভংগিতে স্বপ্নকে কিভাবে দেখেন।