আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আমার বিয়ের প্রায় দেড় বছর হবে সামনে ইং শা আল্লাহ্।আমার স্বামীর সাথে আমার প্রায়ই সমস্যা হয়।উনি এমন এমন ছোট বিষয়কে এতো বেশি বড় করে আমি সহ্য করতে পারিনা।আমি খুব ই সেনসিটিভ ।আমি উনার রাগ,মেজাজ দেখলে কাঁদতে কাঁদতে অসুস্থ হয়ে যাই।এরপর এর ২-৩ দিন আমি দুর্বল থাকি।আমি উনাকে অত্যাধিক ভালোবাসি।উনার জন্য সবকিছু করার চেষ্টা করি।আমার শরীর প্রায়ই দুর্বল থাকে।তাও আমি উনার পছন্দ মতো সব করার ট্রাই করি।আমার স্বামী ছাত্র এখনো।আমরা উনার ভাইয়ের সাথে থাকি।উনার ভাই ডিভোর্সড।

আমার শারীরিক কিছু সমস্যা আছে।যার কারণে শরীর দুর্বল থাকে বেশ।তাও আমি সবকিছু পারফেক্ট করার ট্রাই করি।যেটা তে কমবেশ থাকে সেটা নিয়েও আমাকে একটা কথা শুনায় দেয়।আমি এগুলা সইতে পারি না।১০০ টা কাজে ৯৯ আ ভালো হলেও সেগুলো চোখেই পড়েনা।

গতকাল আমার জ্বরে আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম।কোনোমতে রান্না করে আমি গোসল করে নামায পড়ে বিছানায় শুয়ে আছি।আমার হাসবেন্ড বিকাল ৪.৩০ টায় আসছে বাসায়।আমি ততক্ষণ না খাওয়া উনার জন্য।মাগরিবের পর উনার ভাই উনাকে বলে উনি নাকি এক্সপেক্ট করছে আমি উনাকে খাওয়ার জন্য ডাকতাম।(আমি পর্দার ভিতর ই থাকি সবসময়) এটা আবার আমার স্বামী এসে আমাকে শুনাইছে।আমার খুব ই কষ্ট লাগছে।আমি এমনি সারাদিন জ্বরে কাতরাচ্ছি।আমার স্বামী এটা দেখলোনা।উনি সবসময় সবকিছুতে উনার ফ্যামিলি কেই প্রায়োরিটি দেয়।তো আমি কি কেউ ই না?

আমার সব কথা কেই উনি নেগেটিভলি নিয়ে অনেক বড় করে ফেলে।কয়দিন ভালো থাকে।এরপর আবার এমন হয়।আমি সারারত কাদি।কাদতে কাদতে আমি এমন অবস্থা হয় ২-৩ দিন আমি আধমরা থাকি।এভাবে তো আমি একদিন মারা যাবো।

আমি কি করবো?উনার ভাই যথেষ্ঠ বড়।বয়স ৩৫+.. আমি অপ্রয়োজনীয় কথা বলিনা উনার সাথে।আমার কি এটা খুব গুনাহ হয়ে গেছে উনাকে খাওয়ার জন্য না ডাকা?যেখানে‌এতো অসুস্থতার মধ্যেও আমি সব করে টেবিলে‌সাজায় গেছি.?? উনি আমাকে এটা নিয়ে বলতে থাকায় আমি উনাকে বলছি ভাইয়া তো বাচ্চা না যে ডেকে খাওয়াতে হবে।এটা বলছি দেখে উনি আরো রেগে গেছে।

স্বামীদের কি বউদের মন বুঝার কোনো দরকার নেই?এভাবেই আজীবন পার করে দিবো?কিভাবে করবো নাসিহা দিন।

আমি উনার আচরণে মানসিক ভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।প্লিজ আমাকে স হায্য করুন।এতোকিছু করার পরেও উনার এসব কথা আমাকে শেষ করে দেয়

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো।একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাঃ! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম?
রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,দেবর হল,মৃত্যু।(সহীহ বোখারী-৫২৩২)
সহীহ বোখারীর বিশিষ্ট টিকাকার মুস্তাফা আল-বাগা বলেন, এখানে হামউন শব্দ দ্বারা স্বামীর সকল নিকটাত্মীয় পুরুষ উদ্দেশ্য। যেহেতু এদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ ও কথাবার্তাকে মানুষ তত গুরুত্ব সহকারে নেয় না, তাই এখানে ফিতনার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 430 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যতটুকু সম্ভব পর্দায় থেকে ধর্য্যসহকারে পারিবারিক শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করবেন। নিজ থেকে কখনো কোনো অভিযোগ আনবেন না। আপনার স্বামী নিজে কিভাবে স্বাবলম্বী হয়, তাকে প্রেরণা দিবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...