আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
240 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আমি ছবি আঁকতে পছন্দ করি। ছবি আঁকার ক্ষেত্রে কিছু নিষেধ আছে ইসলামে। আমি সেই সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে চাই। আর জানতে চাই যে ইসলামিক বই গুলোতে যেমন মানুষের শরীর আঁকা থাকে মুখ ছাড়া মানে মুখের শেপ থাকে কিন্তু চোখ নাক থাকে না এমন ধরনের ছবি কি আঁকা যাবে কি না।


2. কার্টুনের ছবি আঁকা যাবে কি?

যেসব কার্টুন আমরা মোবাইলে দেখি মানুষের থেকে অনেকটা আলাদা ধরনের তাদের চোখ নাক মুখ বা বডি শেপ হয়ে থাকে । সেসব কার্টুনের ছবি আঁকা যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো প্রাণীর ছবিতে যদি এমনভাবে আর্ট করা হয় যে, দেখার পর আর প্রাণীর ছবি বুঝা যায় না, তাহলে সেই অঙ্কনকাজ হারাম থেকে বাহির হয়ে যাবে। কিন্তু যদি দেখার পর সেটাকে প্রাণীর ছবিই মনে হয় বা সেটা প্রাণীর দিকে ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সেটা হারামই থাকবে।

কিন্তু যদি সমস্ত চেহারাকে মিটিয়ে দেয়া হয় অথবা মাথাকে কর্তন করে দেয়া হয় কিংবা মাথা এবং শরীরের মধ্যে কর্তন রেখা এটে দেয়া হয়, তাহলে যেহেতু এটা দ্বারা বাস্তবিক কোনো ছবি বুঝা যাবে না বা সেটা কোনো ছবির দিকে ইঙ্গিত করবে না, তাই অবশ্যই সেটার রুখসত থাকবে।

সুতরাং আপনি যেই ছবি পোষ্ট করেছেন, এরকম ছবি হারামের আওতাধীনই থাকবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 92238 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)  নাক মুখ ছাড়া মানুষের এমন ছবি যা মানুষের দিকেই ইঙ্গিত করে, তাহলে সেই ছবি হারাম হবে।
(২) কার্টুনের ছবি আঁকা যাবে না। এটাও হারামের অন্তর্ভুক্ত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...