আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
133 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
আসসালামু আলাইকুম
শাইখ আমার মা ৬০ বছর এর বেশি বয়স, এত বছর চাকুরি করেছি সাথে সংসার সামলেছে আমার বাবা বিদেশে থাকত, এখন সে দেশে কিন্তু দেখা যায় আমার মা প্রায় বাজার করে আব্বু করবে না বা টাইম মত করে না দেখে, আমার মেজো বোন বিয়ের পর থেকেই এইখানে তার এক বাচ্ছা ১৫ মাসের মত, তাকে মা দেখাশোনা করে আমার বোন চাকুরি করে, আবার আমার বোনকে রান্না করেও খাওয়ান মানে সে কেবল চাকুরি করে আর আমার খুব কম রান্না বা কাজ করে, আর আমার মা যেহেতু দুনিয়াবি মানুষ দেখা যায় তার বাচ্চা সামলে নামাজ পরতে পারে না ঠিক মত এখন প্রশ্ন


১/ আমার বোন তার বাচ্চা মা কে দিয়ে চাকুরি করে  এতে মা অনেক সময় নামাজ পরতে পারে না বা পরলেও শেষে কোন রকম,এতে কি তার ওপরে জুলুম হবে বা নাজায়েজ যেহেতু সে নিজে থেকে রাখতেসে কারন তার মেয়ে চাকুরি করুক সে চায়
২/ সে এক মেয়েকে তার নাতিকে বেশি করে অন্যদের করতেসে না এইটা নিয়ে প্রায় ফিতনা হয় এই যে ইনসাফ করতেসে না এইটা কি জায়েজ হচ্চে?  যেমন আমি ৮ মাস এর বেশি প্রেগন্যান্ট সবার মত আমিও বাবা র বারি আসছিলাম কিন্তু আমার মা আমার খেয়াল রাখতে পারে না বাচ্চা দেখাশোনা করে রান্না করে না ঠিক মত তাতে আমি অসুস্থ হয়ে যাই,আমি ছোট মেয়ে তারা সবাই বড় তাদের বেলায় তহ অনেক করেছে আমার বেলায় করতেসে না এতে কি আমার মা দায়ী থাকবে?
৩/ আমার বাবা যে এইখানে কোনো ব্যবস্থা নিতেসে না মানে ইনসাফ হইতেসে না বা আম্মুর ওপরে সব কাজের বোজা হইতেসে সে বিহিত করতেসে না, তাকে বার বার অনেক সলুশন দিলেও পাত্তা দিতেসে না এতে সে দায়ি থাকবে?
৪/ এক সন্তানকে বেশি করলে অন্যকে কম তাহলে কি এইটা যায়েজ হবে যদি বাকি সন্তানরা এতে ক্ষুদ্ধ থাকে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الرَّجُلَ لَيَعْمَلُ وَالْمَرْأَةُ بِطَاعَةِ اللَّهِ سِتِّينَ سَنَةً ثُمَّ يَحْضُرُهُمَا الْمَوْتُ فَيُضَارَّانِ فِي الْوَصِيَّةِ فَتَجِبُ لَهُمَا النَّارُ " 
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ অথবা স্ত্রীলোক ষাট বছর ধরে আল্লাহ্ তা’আলার আনুগত্যমূলক কাজ করল। তারপর তাদের মৃত্যু হাযির হলে তারা ওসিয়াতের মাধ্যমে ক্ষতিকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে তাদের জন্য জাহান্নামের আগুন নির্ধারিত হয়ে যায়।(সুনানে তিরমিযি ২১১৭ নং হাদীসের একাংশ)

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, 
عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيْرٍ أَنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّيْ نَحَلْتُ ابْنِيْ هَذَا غُلَامًا فَقَالَ أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَ مِثْلَهُ قَالَ لَا قَالَ فَارْجِعْهُ
তার পিতা তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এলেন এবং বললেন, আমি আমার এই পুত্রকে একটি গোলাম দান করেছি। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সব পুত্রকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ। তিনি বললেন, না; তিনি বললেন, তবে তুমি তা ফিরিয়ে নাও।(সহীহ বোখারী-২৫৮৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সকল সন্তানের প্রতি সমতা বজায় রাখা প্রত্যেক মাতাপিতার একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। নতুবা মাতাপিতার গোনাহ হবে। তবে সন্তানের উপর ওয়াজিব, সর্বদা মাতাপিতার সাথে সদ্ব্যবহার করা। চায় মাতাপিতা সমতা বজায় রাখুক বা না রাখুক। আপনার প্রশ্নগুলোর বিস্তারিত জবাব এই মূলনীতি থেকে পেয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...