আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ। আমার হায়েযের স্বাভাবিক অভ্যাস ১০ দিন। রমাদানেও ১০ দিন পরেই গোসল করে পবিত্র হয়েছি। কিন্তু তারপর ও চার পাঁচদিন মাঝেমধ্যে গাঢ় গোলাপি বা বাদামি হালকা স্রাব দেখা যেত। আমি তাও নামায চালিয়ে গেছি। আমার প্রতি হায়েয বন্ধের ২৫দিন পর সাধারনত পরের হায়েয আসে। কিন্তু এবার হায়েয বন্ধের মানে রমাদানে হায়েযের ১০দিন ধরেছিলাম। ঐ দশম দিনের ১৩দিন পর রক্ত দেখি যায়। ইস্তিহাযা ধরে নিয়ে সলাত চালিয়ে গেছি। ১/২টা নফল রোজাও করেছি। কিন্তু বর্ন, গন্ধ সব হায়েযের মতোই ছিলো। ৮/৯ দিন রক্ত জারি ছিলো। এরপর বন্ধ হয়ে গেছে। আমি এই ৮/৯ দিন, মানে হায়েয বন্ধের পরের ১৩-২১ তম দিন ইস্তিহাযা ই ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমার এ মাসের হায়েয আর আসেনি। আমার সন্দেহ হচ্ছে যে, ইস্তিহাযার ১/২ দিন পর ই কি হায়েয এসেছিলো নাকি,,হয়ত ইস্তিহাযা আর হায়েয আমি গুলিয়ে ফেলেছি। কারন ইস্তিহাযার পর হায়েয তো আর হয়নি এই মাসে। এখন আমি কি যেদিনগুলো ইস্তিহাযা ধরে নামায রোজা করেছিলাম সেগুলোর কাজা করব?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ঐ দশম দিনের ১৩ দিন পর যেই রক্ত এসেছে,সেটি ইস্তেহাজা ছিলো।
তবে সেটি যেহেতু ৮/৯ দিন চলমান ছিলো।
সুতরাং এমতাবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রমদানের হায়েজ বন্ধের পরদিন হতে হিসাব করে ১৬ তম দিন হতে আপনি হায়েজ ধরবেন।

এক্ষেত্রে ৬ দিনের মতো হায়েজ ধরতে হবে। 

এক্ষেত্রে এই ৬ দিনের নামাজ রোযার কাজা আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 183 views
0 votes
1 answer 120 views
...