আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in সালাত(Prayer) by (47 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি ফযরের সালাতের ফরজ সালাত আদায় করার পর সন্দেহ হয়েছে যে এখানে সাহু সেজদাহ দিতে হবে।নামাযের ওয়াক্ত বাকী থাকায় আমি আবার পুনরায় ফরজ নামায আদায় করলাম।আদায় করার পর বুঝলাম যে আমি সূরা ফাতিহার অর্ধেক আয়াত একাধিকবার পড়েছিলাম ২ বার(ইয়্যা কানাস্তাইন এই অংশটা)।সেজন্য সেজদাহ সাহু আবশ্যক কিনা সেটা জানিনা।

এখন এভাবে ২ বার সালাত পড়াতে কোনো সমস্যা?

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)

 

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

জবাব,

https://ifatwa.info/14076/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

একই রা'কাতে কোনো একটি সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ নয়।বিশেষকরে সূরা এখলাছের মত মাহাত্ম্যপূর্ণ সূরা কে তেলাওয়াত করা।

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أبي سعيد الخدري، أن رجلا سمع رجلا يقرأ: قل هو الله أحد يرددها، فلما أصبح جاء إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فذكر ذلك له، وكأن الرجل يتقالها، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده إنها لتعدل ثلث القرآن»

এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে নামাযে সূরায়ে ইখলাছ বারংবার তেলাওয়াত করতে শুনলো।অতপর যখন সকাল হলো,তখন ঐ ব্যক্তি এভাবে তেলাওয়াত করাকে কম সওয়াব মনে করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গিয়ে বিষয়টাকে উপন্থাপন করলো।রাসূলুল্লাহ সাঃ জবাবে বললেন,ঐ সত্তার কসম যাতে হাতে আমার প্রাণ,নিশ্চয় সূরায়ে ইখলাছের ফযিলত কুরআনের এক তৃতীয়াংশর সমপর্যায়ের।(সহীহ বোখারী-৫০১৩)

একই রা'কাতে কোনো একটি সূরাকে বারংবার তেলাওয়াত করা সম্পর্কে দু'টি জিনিষ লক্ষণীয়।

১. কোনো সংখ্যায় পড়াকে নির্দিষ্ট করা যাবে না। তেলাওয়াত করতে যেয়ে কমবেশ করাকে নিষিক্ত মনে করা যাবে না।কেননা তখন এটা বিদআত হয়ে যাবে।আর উপরোক্ত হাদীসে সংখ্যার কোনো নির্দিষ্টকরণ নেই।তাছাড়া সালাফে সালেহীন থেকেও এমন পদ্ধতির নামায প্রমাণিত নয়।সুতরাং শরীয়ত কর্তৃক যাকে নির্ধারণ করা হয়নি,তেমনটা নির্ধারণ করা কখনো জায়েয হবে না।(ফাতাওয়া লাজনাহ-২/৫৩২)

২. নিয়মিত এমনটা করা যাবে না।কেননা নিয়মিত এমনকরে করা বা এর প্রচলন ঘটানো কোনোটাই বৈধ হবে না।এবং এটা সালাফে সালেহীনদের আ'মলেও সচরাচর ছিলনা।যদি কেউ করতে চায়,সে যেন মাঝেমধ্যে এমন করে,নিয়মিত যেন না করে।সালাফে সালেহীনদের আ'মলে এটাই ছিল যে,তারা প্রত্যেক রা'কাতে সূরায়ে ফাতেহার সাথে একটি সূরা বা সূরার কিছু অংশ মিলিয়ে নিতেন।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

একই রা'কাতে কোনো এক সূরা বা কোনো এক আয়াতকে বারংবার তেলাওয়াত করা জায়েয হলেও অনুত্তম (মাকরুহে তানযিহি)। উত্তম হলো,কোনো এক সূরা তেলাওয়াত করার পর ভিন্ন কোনো সূরা তেলাওয়াত করা, এবং এক আয়াত তেলাওয়াত করার পর পরবর্তী আয়াত তেলাওয়াত করা।

সুতরাং জরুরতের ভিত্তিতে এক সূরাকে বারংবার বা একই রা'কাতে কয়েক সূরার অংশকে তেলাওয়াত করা যাবে।এক্ষেত্রে নামায ফাসিদ হবে না। আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2123  

সুতরাং একটি আয়াতের অংশ বিশেষ রিপিট করার দ্বারা আপনার নামাজ ভঙ্গ হয়নি। বরং নামাজ সহিহ হয়েছে। বিধায় পরবর্তিতে পুনরায় নামাজ পড়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। আপনার প্রথম নামাজের দ্বারাই ফরজ আদায় হয়ে গিয়েছে। পরবর্তিতে এমন যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 117 views
...