আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
closed by
আমি অনলাইনে একটা সফটয়্যার কোম্পানিতে কাজ করি, ঘরে বসেই। আমি যখন জবে জয়েন করি, অফিস আমাকে জানিয়েছিল, তখন তারা আমাকে যে স্যালারি দিবে তা দৈনিক ৬ ঘন্টা কাজ করার বিনিময়ে, অফিস ৮ ঘন্টাই কিন্তু আমাকে ২ ঘন্টার রেস্ট ব্রেক দিবে তারা, কাজ করতে হবে মূলত ছয় ঘন্টা। এরপরে আমি জয়েন করি। আমি মাঝে মাঝে অফিস টাইম এর পরে এক্সট্রা ৩০/৪০ মিনিট ওভার টাইম করতাম ফলে এক্সট্রা আরো কিছু টাকা পেতাম বেতনের সাথে।
.

হুট করে তারা সিদ্ধান্ত নিলো আমাকে আরো ৩০ মিনিট এক্সট্রা কাজ করতে হবে, অর্থাৎ ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট এবং এর জন্য তারা আমার স্যালারি আনুপাতিক হারে বাড়াবে না। অর্থাৎ আমি আগে যে ওভারটাইম কাজ করে এক্সট্রা কিছু টাকা পেতাম সেটাও আর পাবো না, উল্টো মাসে ১৫ ঘন্টা এক্সট্রা কাজ করতে হবে। এতে তারা আমার অনুমতি একদমই নেয়নি। বরং দ্বিমত করলেও তারা জোর করে এটি আমার উপরে চাপিয়ে দিয়েছে। চাকুরী বাঁচানোর স্বার্থে আমি তাদেরকে কিছু বলতে পারিনি। অথচ জয়েন করার টাইম তারা বলেছিল আমাকে ৬ ঘন্টা কাজ করতে হবে। বেতনের ইনক্রিমেন্টেও তারা এই এক্সট্রা ১৫ ঘন্টা কাজের জন্য বাড়ায় নি। তারা তাদের নিয়মেই ইনক্রিমেন্ট করছে। বেশি কাজ করানো যাবে, এই জন্যই তারা টাইম বাড়িয়েছে।

.

২ মাস আগে হুট করে আবার বলতেছে আরো এক্সট্রা ১৫ মিনিট কাজ করতে হবে। অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট। মানে মাসে এক্সট্রা ২২.৫ ঘন্টা কাজ করতে হবে, অথচ তারা আমকে এক্সট্রা কোন টাকা দিবে না। আগের নিয়মে হলে, ২২.৫ ঘন্টায় আমি ৫/৫.৫ হাজার টাকার মত ওভার টাইম পেতাম।
.

এখন আমার সমস্যা হচ্ছে, আমার রেস্ট এর জন্য বরাদ্দ করা ব্রেক টাইম কমে গেছে। আমার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। এত ক্ষণ টানা কম্পিউটারে কাজ করা যায়না। রেস্ট নিতে হয়, এই রেস্ট নিতে না পারার কারণে আমার অফিসের কাজেই খারাপ প্রভাব পড়েছে। এটা জানানোর পরেও তারা অফিস টাইম কমাবেও না। অথচ আমি অফিসের হকের ব্যাপারে খুব সচেতন, ১ মিনিট ও এদিক ওদিক করিনা। ১ মিনিটের জন্য চেয়ার থেকে উঠলেও আমি তার হিসাব রাখি, পরে অতিরিক্ত সময় কাজ করে ওই টাইম পুষিয়ে দেই। যেন তাদের হক না নস্ট হয়ে যায় কিন্তু তারা আমার বিষয় বুঝে না, আমি বলার পরেও মানে না। বেশি বললে চাকরি ছেড়ে দিতে বলবে।

.

আমার প্রশ্ন হলো, আমি ৬ ঘন্টাই কাজ করব, কিন্তু তারা জানবে আমি তাদের চাপিয়ে দেয়া এক্সট্রা ৪৫ মিনিট ও কাজ করতেছি, আমি যদি এমনটা করি, তাহলে তারা কখনোই বুঝতে পারবে না। (যেহেতু এক্সট্রা যেহেতু আমাকে টাকা দিচ্ছে না, ইচ্ছাকৃত ভাবে বেশি কাজ করিয়ে নিচ্ছে। আনুপাতিক হারে স্যালারি বাড়াচ্ছে না। আমার অনুমতি না নিয়ে তারা অফিসের কর্মঘন্টা বৃদ্ধি করেছে, অথচ শুরুতে বলেছিল ৬ ঘন্টা কাজ করতে হবে।)
.

উক্ত ৬ ঘন্টায় আমি তাদের হকের সামান্যতম নষ্ট করব না। প্রতিটা মিনিটের হিসাব রাখবো, হালাল হারামের ব্যাপারে আমি আল্লাহকে ভয় করি। এই এক্সট্রা ৪৫ মিনিট যদি আমি বিশ্রাম নিতে পারি তবে আমার প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে, রিফ্রেশ মাইন্ডে কাজ করতে পারব যা মূলত অফিসেরই লাভ।

.
উক্ত ৪৫ মিনিট যদি আমি তাদের না জানিয়ে বিশ্রাম নেই, কেননা তারা আমার উপরে জোর করে চাপিয়ে দিয়েছে, তবে আমার বেতনে কোন হারাম প্রবেশ করবে কিনা.? জায়েজ হবে কিনা.?
তাদের বোঝানোর কোনো উপায় আর নেই। বললেই উল্টাপাল্টা বকা শুরু করবে।
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,990 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
চাকুরীতে জয়েনের পূর্বে যেই চুক্তিনামা হয়েছিলো, সেই চুক্তিতে যদি এমন কোনো শর্ত বিদ্যমান না থাকে যে, ভবিষ্যতে কর্ম ঘন্টা বৃদ্ধি হতে পারে, তাহলে এখন প্রতিষ্টানের জন্য কর্ম ঘন্টা বৃদ্ধি করার কোনো অধিকার নাই। সুতরাং আপনি যদি পূর্বের কর্ম ঘন্টা অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আপনার ইনকাম নাজায়েয হবে না। হ্যা, স্বাভাবিক পরিবর্তন যা সমাজে বেশী মনে হয় না, এমন কর্ম ঘন্টা প্রতিষ্টান বৃদ্ধি করতে পারবে। আপনার হাতে সময় সুযোগ থাকলে অযথা বসে না থেকে কাজ করে নিবেন, অথবা প্রতিষ্টানের সাথে নতুন চুক্তি করে নিবেন।

"(والثاني) وهو الأجير (الخاص)...وليس للخاص أن يعمل لغيره.
(قوله وليس للخاص أن يعمل لغيره) بل ولا أن يصلي النافلة. قال في التتارخانية: وفي فتاوى الفضلي وإذا استأجر رجلا يوما يعمل كذا فعليه أن يعمل ذلك العمل إلى تمام المدة ولا يشتغل بشيء آخر سوى المكتوبة وفي فتاوى سمرقند: وقد قال بعض مشايخنا له أن يؤدي السنة أيضا. واتفقوا أنه لا يؤدي نفلا وعليه الفتوى."
("رد المحتار على الدر المختار"ص:٧٠،ج:٦،كتاب الإجارة،مطلب ليس للأجير الخاص أن يصلي النافلة،ط:ايج ايم سعيد)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...