আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম

১.মাসিক অবস্থায় স্ত্রীকে আদর করা,  স্ত্রীর ঠোট মুখে নেওয়া, স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা,  স্ত্রীর স্তন টিপা ও চোষা যাবে কি?
২.মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর সাথে ইচ্ছা করে সহবাস করার পর কাফফারা না দিলে কি বিয়ে বিচ্ছেদ বা  স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস হারাম। 
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর নাভি ও নাভির উপরের অংশ থেকে এবং হাটু ও হাটুর নিচের অংশ থেকে উপকৃত হওয়া যাবে।
নাভি ও হাটুর মাঝের স্থান থেকে কাপড় বিহীন উপকৃত হওয়া যাবেনা।
তবে মাঝে কাপড় থাকলে এ অঙ্গ গুলি থেকেও উপকৃত হওয়া যাবে।
তবে সহবাস তথা লিঙ্গ প্রবেশ করা যাবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ ـ هُوَ الشَّيْبَانِيُّ ـ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا، أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا. قَالَتْ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ

আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের কারো হায়েয শুরু হলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তার লজ্জাস্থানে শক্ত করে পাজামা বাঁধার নির্দেশ দিতেন, অতঃপর তিনি তার সাথে আলিঙ্গন করতেন। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে তার প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে পারে, যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রবৃত্তিকে বশে রাখতে সক্ষম ছিলেন!
বুখারী ৩০১-২, মুসলিম ২৯১-২, নাসায়ী ২৮৫-৮৬, ৩৭৩-৭৫; আবূ দাঊদ ২৬৮, ২৭৩; আহমাদ ২৪৩৯৪, ২৪৫০০, ২৪৫৮০, ২৪৮৮২, ২৪৯৬৫, ২৫০৩৫, ২৫১৫৪, ২৫২২২, ২৫৪৪৯; মুওয়াত্ত্বা মালিক ১২৭-২৮, ৭৯৫; দারিমী ১০৩৩, ১০৩৭, ১০৪৭; ইবনু মাজাহ ৬৩৬।

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ أَمَرَهَا فَاتَّزَرَتْ وَهْىَ حَائِضٌ.

মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়েয অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন। শায়বানী (রহঃ) হতে সুফিয়ান (রহঃ) এ বর্ণনা করেছেন। (বুখারী ৩০৩.মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৪, আহমাদ ২৬৯১৮) (আ.প্র. ২৯২, ই.ফা. ২৯৭)

فیجوز الاستمتاع بالسرۃ وما فوقہا والرکبۃ وما تحتہا ولو بلا حائل، وکذا بما بینہما بحائل بغیر وطي ولو تلطخ دماً۔ (شامي ۱؍۳۹۰ زکریا، البحر الرائق ۱؍۱۹۸، الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۱۳۹)
সারমর্মঃ
অতএব নাভি ও নাভির উপরের অংশ থেকে এবং হাটু ও হাটুর নিচের অংশ থেকে উপকৃত হওয়া যাবে।যদিও কাপড় বিহীন হোক।
এ দুয়ের মাঝের অঙ্গ থেকে কাপড়ের উপর থেকে উপকৃত হওয়া যাবে,সহবাস ব্যাতিত।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
মাসিক অবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ গুলি করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। 
তবে কোনো অবস্থাতেই নাভি ও হাটুর মাঝের স্থান থেকে কাপড় বিহীন উপকৃত হওয়া যাবেনা। সহবাস করা যাবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে বিয়ে বিচ্ছেদ বা  স্ত্রী তালাক হয়ে যাবেনা।

হানাফি মাযহাব মোতাবেক এক্ষেত্রে কাফফারা আবশ্যক হয়না।
অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবাই যথেষ্ট। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 62 views
...