আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
হুজুর উওর টা দয়া করে দিবেন জানা খুব দরকার।।ওয়াসওয়াসা বলে এড়িয়ে যাবেন না।। উওর টা পেলে আর প্রশ্ন করগো না।।।।দয়া করেন হুজুর এগুলের উত্তর জানা দরকার।।টেনশন হচ্ছে খুব

১।স্বামী যদি বলে কেউ চলে গেলে তাকে থাকার জন্য বলবো না,,তখন স্ত্রী যদি বলে আমি যদি চলে যায়, তখন স্বামী বলে যদি কথার অর্থ নেই।।হ্যাঁ অথবা না বলো।।তখন স্ত্রী বলপ আমি  চলে যাবো বললে তো আপনি বলবেন যাওগা,,তখন স্বামী বলে বলে হা অথবা না বলো তখন স্ত্রী বলে চলে যাবো এখন কি বলবেন বলেন।।।তখন স্বামী বলে তুমি মন থেকে বলো নি আমি যেতে দিব না।।।স্ত্রীর ও তালাকের নিজের উপর তালাক গ্রহন করার নিয়ত ছিল না।।স্ত্রী শুধু স্বামীর কথার প্রেক্ষিতে বলছে,,স্ত্রী চলে যাবে বললে স্বামী যাওগা বলে কি দেখার জন্য।। স্বামীর কথার প্রেক্ষিতে স্ত্রী  যে নিয়ত ছাড়া বলছে চলে যাবে তাতে কি সমস্যা হবে।।

২।।স্বামী বলে তুমিও তো চলে যাবো বলছো তার মানে তালাাকের নিয়তে বলছো।।তখন স্ত্রী বলে আমি তো নিজের উপর তালাক পতিত করি নি।।কিন্তু স্বামী বার বাট বলতেছে তালাকের জন্য বলছো নয়তো কোন উদ্দেশ্য বলছো।।তখন স্ত্রী রাগে বলছে আমি আপনাকে তালাক দিছি এই উদ্দেশ্য বলছি,,তারপর আবার বলছি আমি আপনাকে তালাক দিছি এখন আর আপনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই সব সম্পর্ক শেষ  আপনি আমার জন্য পরপুরুষ।।।  কিন্তু আমি নিজের উপর তালাক পতিত হওয়ার নিয়তে কিছু বলি নি।।স্ত্রীর এসব কথায় কি সমস্যা হবে।।।কিন্তু মনের মধ্যে নফসের উপর তালাক নেওয়ার কথা চলে আসছে।স্বামী তালাকের অধিকার দিয়ে থাকলে বোনের এসব কথায় কি সমস্যা হবে
হুজুর আমার এসব কথায় কি কোন সমস্যা হবেে

৩।। স্ত্রী তালাক চাইলে স্বামী আচ্ছা বললে কি সমস্যা হবে।।।যদিও স্বামী বলে সে আচ্ছা বলে নি।।কিন্তু স্ত্রী বলে যদি আচ্ছা বলে থাকো তখন স্বামী বলে আমি আচ্ছা বলি নি তারপর স্ত্রী বলছে যদিও বলে থাকো তাহলে কেন বলছো একটু বলো তখন স্বামী বলে যদি বলে থাকি আচ্ছা তাহলে সেটা ঠিকাছে কিংবা বুঝেছি এটা বুঝায়ছি।। আচ্ছা বলার কারণে কি সমস্যা হবে।।।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

رجل قال لامرأتہ خذي طلاقک، فقالت: أخذت، یقع الطلاق۔ (الفتاویٰ الہندیۃ، کتاب الطلاق / الفصل الثاني في إیقاع الطلاق ۱؍۳۵۹)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার তালাক গ্রহন করো।
স্ত্রী যদি বলে যে গ্রহন করলাম,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।    

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উপরোক্ত কোনো ছুরতেই তালাক পতিত হয়নি।
তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...