আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
এই রমাদ্বানে আমি বেশ কতগুলো স্বপ্ন দেখেছি সেগুলোর তাবির কি? সবগুলো তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে দেখেছি-


প্রথম স্বপ্ন- জুবায়ের ওস্তাদ ইহরামের কাপড় পরা, আমাকে নিয়ে কোনো একটা মেলার মতন গেলেন......উনি অনেক হাসিখুশি ছিলেন......সবাই পুরুষ আর সাদা পোশাকে ছিলো......ওস্তাদ আমাকে বেলা ফুরাবার আগে বইটা কিনে দিতে চাইলে আমি বইটা দাগানো দেখে নিলাম না। আমাকে  নিরপাদে ওস্তাদ নিচ্ছিলেন যেন পুরুষদের স্পর্শ না লাগে.....আমিও খুশি ছিলাম......এরপর হুট করে দেখলাম বা শুনলাম এমনটা আলী হাসান ওস্তাদ মারা গেছেন! আমি নিচে তাকালাম এরপর দেখি খুবই শুভ্র পানির স্রোত.......তুলার মতন একটা জিনিস আমি ধরতে চেষ্টা করেও পেলাম না.....খুব সাদা ছিলো ফ্লোর, মেঘের মতন.....আমি বললাম, ওস্তাদের কোনো কষ্টই হয়নি রূহ চলে যেতে.....এত হালকা রূহটা.......


দ্বিতীয় স্বপ্ন- আমি কি যেন একটা মসজিদ খুজছিলাম...... বড় মসজিদের ইমাম সেখানে না গিয়ে ছোট মসজিদে যায় এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল হুট করে রাস্তায় ছোট চাচাকে পাওয়ায়.....এরপর খুঁজতে খুজতে আমি ময়লা স্তুপ এমন জায়গায় এলাম, সেখানে একটা সাদা, শীর্ণ গরুর পাল ময়লা খাচ্ছিলো....তার কিছু সামনেই অনেকগুলো টুপি পরা মাদ্রাসার ছেলে......তাদের সবাই পান্জাবী টুপি পরা, মাদ্রাসার এমনটা মনে হলো.....এরপর তাদের মধ্যে মোটাতাজা ফর্সা গোল মুখের ভরাট দাড়ির এক ছেলে আমার দিকে তাকালো....তারা বেশ উপরে ছিলো....সেই ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে বলল, এই মেয়ে এই ময়লার দিকে আসছে কেন.....তারা সিড়ির মতন জায়গায় উঁচুতে ছিলো......


তৃতীয় স্বপ্ন- আমি আমার বিয়ের জন্য দু'আ করছিলাম......বাসায় আম্মু না পছন্দ করায় আমি খাস পর্দা করতে পারিনা। দেখলাম-

আমার পেটে বাচ্চা.....ডেলিভারি হবে.....আমি কালো বোরখা পরা খাস পর্দার আর চোখের পানি পরছে আর দরূদে ইব্রাহিম পড়ছিলাম......আমার স্বামী হলো (যেই ছেলের সাথে হারাম সম্পর্ক ছিলো সে) সেই ছেলে আর তার বাবা-মা দূরে দাড়িয়ে তাকে তার বাবা মা আসতে দিচ্ছে না। আমি কাঁদছি আর দরূদ পড়ছি......এরমধ্যে এক ডাক্তার বলল আমার নরমাল হবে না আবার দাড়িওয়ালা একজন বলল নরমাল হবে.....নানু এসে পেট হাত দিয়ে বলল, বাচ্চার মাথা দেখা যায় নরমাল হবে.....কাঁদছি আর দরূদ পড়ছি কালো বোরখা পরা আর পেটে বাবু.......এমনটা দেখলাম.....

চতুর্থ  স্বপ্ন - আমার এক স্কুলের সহপাঠী আমাকে জানালো- সে নাকি আমাকে স্বপ্ন দেখেছে,  আমি সহীহ পর্দা করা, হাত-পা মোজা পরা আর সে আমাকে জড়ায়ে কেঁদে দিসে। সে এত দ্বীন মানতেও পারে না যে স্বপ্নটা দেখেছে।

এই স্বপ্ন গুলো সব রমাদ্বানে দেখা। এগুলার তাবির কি?

1 Answer

0 votes
by (566,040 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছে 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, যেখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এ জন্য আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর ক্ষতি থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। ( বুুুখারী ৬৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বপ্ন গুলো ভালো,আলহামদুলিল্লাহ। 
দ্বীনের পথে আপনার অনেক আগ্রহ রয়েছে বলে বুঝা যায়।

দ্বীনের উপর অটল অবিচল থাকার পরামর্শ থাকবে। 

স্বপ্নে নিজেকে হজ্জ কিংবা ওমরার সফরে দেখা,অথবা দেখা যে সে হজ্জ অথবা ওমরার কার্যক্রম আদায় করতেছে,কিংবা হজ্জ ওমরার প্রস্তুতি নিচ্ছে,ইত্যাদি ইত্যাদি। 
এগুলো সবই বাইতুল্লাহ শরীফের প্রতি মুহাব্বতের আলামত।
উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে এরকম ব্যাক্তি সাধারণত হজ্জ ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের কারনে আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।  
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে দ্রুত হজ্জ,ওমরা করার সৌভাগ্য অর্জন করার তওফিক দান করুন।
এবং বাইতুল্লাহ শরীফ,হারামাইন শরীফের বরকত লাফের তওফিক দান করুন।
আমিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...