ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
স্বপ্ন দেখার পর নিম্নোক্ত দু'আ পড়া সুন্নাহ।
خير لنا و شر علي أعدائنا والحمدلله رب العالمين
(ভালো আমাদের জন্য,খারাপ আমাদের শত্রুদের জন্য,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার।)
ভালো স্বপ্ন দেখলে স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করতে হবে। আর মন্দ স্বপ্ন দেখার বামদিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করে নিম্নোক্ত দু'আ পড়তে হবে।
'আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম,ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরুরিহিম।'
এবং আল্লাহর কাছে দুনিয়া আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে দু'আ করতে হবে।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَال: (الرُّؤْيَا ثَلاثٌ : فَبُشْرَى مِنَ اللَّهِ ، وَحَدِيثُ النَّفْسِ ، وَتَخْوِيفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَإِنْ رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا تُعْجِبُهُ فَلْيَقُصَّ إِنْ شَاءَ وَإِنْ رَأَى شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلا يَقُصَّهُ عَلَى أَحَدٍ وَلْيَقُمْ يُصَلِّي )
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ স্বপ্ন তিনি প্রকার। (১) আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ, (২) বান্দার মনের খেয়াল এবং (৩)শয়তানের পক্ষ থেকে ভীতি প্রদর্শনমূলক কিছু। অতএব তোমাদের কেউ পছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে তা ইচ্ছা করলে অপরের কাছে ব্যক্ত করতে পারে। আর সে অপছন্দনীয় কিছু স্বপ্নে দেখলে যেন তা ব্যক্ত না করে এবং উঠে নামায পড়ে।(সুনানে ইবনে মাজা-৩৯০৬, সহীহ বুখারী-৭০১৭, সহীহ মুসলিম-২২৬৩, সুনানে তিরমিযী-২২৭০,২২৮০,২২৯১, সুনানে আবূ দাউদ ৫০১৯, মুসনাদে আহমাদ ৭৫৮৬, ১০২১২, সুনানে দারেমী ২১৪৩, সহীহাহ ১৩৪১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বপ্ন যদি ভালো হয়, তবে সেটা কাউকে না বললে বা বুজুর্গ আলেমদের কাছে ব্যাখ্যা না নইলে, তা যে আর বাস্তবে সংঘটিত হবার সম্ভাবনা থাকবে না, এরকম কোনো বিষয় নেই। বরং হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। এসবই আল্লাহর ইচ্ছাধীন।
(২)
কুফফার দেশে অবস্থান করা একজন মুসলমানের ঈমান ও আ'মলের জন্য ক্ষতিকারক হওয়ার কারণে সেটা নাজায়েয। তবে দওয়াহর উদ্দেশ্য থাকলে ভিন্ন কথা। যেহেতু আপনার সাহায্য না করলেও ওরা সেখানে থাকবে, তাছাড়া এখানে সরাসরি কোনো গোনাহের কাজে সাহায্যও হচ্ছে না, তাই আপনি মধ্যস্থতা কারি হতে পারবেন।