আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
121 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম

 

বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে কাজ করা হারাম?

বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি একধরণের ব্রেইন  এস্কেরেসাইজ ফ্রিকোয়েন্সি যেটা হেডফোনের মাধ্যমে থেরাপি দিয়ে থাকা হয়।

বাইনারুল ফ্রিকোয়েন্সি হেডফোনের মাধ্যমে দুইটি ভিন্ন ধরণের ফ্রিকোয়েন্সি হেডফোনের বাম সাইড ও ডান সাইডে দেওয়া হয়, যেটা ব্রেইনকে এই ফ্রিকোয়েন্সির সাথে সিংক্রোনাইজ করতে সাহায্য করে। এটার মাধ্যমে , ব্রেইনকে শান্ত করে, মনযোগ বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত ঘাবরানো থেকে মুক্ত করে, ঘুমানোর জন্য সাহায্য করে। মেডিকেল রির্সাচ টিম এ বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি এর সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি তথ্য বের করেনি কিন্ত এটা প্রমাণ করেছে যে বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি রুগীকে ঘুমাতে সাহায্য করে অথবা অতিরিক্ত ঘাবরানো থেকে মুক্ত করে ।

যেসব রুগী অতিরিক্ত উদ্বেগ ও ডিপ্রেশনে ভুগে, তাদের নিজে নিজে চিকিৎসা সার জন্য বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি সাজেষ্ট করতে বলে কিছু ডাক্তার, কিন্তু এটার উপরে পুরোপুরি ডিপেন্ড করতে নিষেধ ও করা হয়েছে যেহেতু মেডিকেল রিশার্চ টিম এটার উপরে পুরোপুরি তথ্য দেয়নি। 

এখন বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি দুই ধরণের হয়,
একটা মিউজিক এর মাধ্যমে ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করা
আরেকটা সাউন্ড ইফেক্ট এর মাধ্যমে ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করা


অনেক কাস্টমারের কাছে আমি এই বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি তৈরি করে বিক্রি করি।
মিউজিক এর মাধ্যমে যে বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি আমি তৈরি করছি সেগুলা আমি জানি যে হারাম হয়ে যাচ্ছে, কারন এটার সাথে মিউজিক আছে।

কিন্তু সাউন্ড ইফেক্ট এর মাধ্যমে যেগুলা আমি তৈরি করছি সেগুলা আমার জন্য হালাল হচ্ছে?

অনেকে বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সি আবার মেডিটেশন পার্পসেও ব্যবহার করে।

closed

1 Answer

+1 vote
by (598,050 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সববে ক্বারিব এর হুকুম হল, বিক্রেতা বা ভাড়া প্রদাণকারীর উদ্দেশ্য যদি হয়, গোনাহের কাজে সগযোগিতা করা,তাহলে এটা গোনাহ এবং গোনাহের কাজে সরাসরি সহযোগিতা হওয়ার দরুণ স্পষ্টত নাজায়েয ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে যদি তার নিয়ত ও উদ্দেশ্য গোনাহের কাজে সহযোগিতা করা না হয়, তাহলে সেটা দুই প্রকার হবে, যথা- 
(ক) যদি তার জানা না থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা জায়েয  হিসেবে বিবেচিত হবে। 
(খ)যদি তার জানা থাকে যে, ক্রেতা আঙ্গুর ক্রয় করে সিরকা বানাবে না মদ তৈরী করবে না অন্য কোনো বৈধ কাজে ব্যবহার করবে? অথবা ভাড়ায় গ্রহণকারী ব্যক্তি উক্ত জায়গাতে কোনো নাজায়েয কাজ করবে? তাহলে এমতাবস্থায় বিক্রয় করা ও ভাড়ায় প্রদাণ করা মাকরুহ  হিসেবে বিবেচিত হবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-৯২১৪৩

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিনারুল ফ্রিকোয়েন্সিতে যদি মিউজিক থাকে, তাহলে সেটা তৈরী করা বা বিক্রি করা মাকরুহ হবে। তবে মিউজিক না থাকলে রুখসত থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...