ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা জায়েয।চায় জীবিত মানুষের হোক বা মৃত মানুষের,চায় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বর উসীলা হোক বা নেককাজের।সব-ই জায়েয।সকল প্রকার উসীলার সারমর্ম একটাই হবে।সেটা হল,যা উসীলা গ্রহণ করা হচ্ছে,তার উপর আল্লাহর যে বিশেষ রহম আর ফজল রয়েছে,তার উসীলা গ্রহণ করে করে দু'আ করা।কোনো ব্যক্তি বিশেষের ব্যক্তিত্বের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে না। এরকম আকিদা-বিশ্বাস রেখে দু'আ করা শিরকের পর্যায়ভুক্ত।তবে উক্ত ব্যক্তির নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।যেমন গুহায় আটকে যাওয়া তিন ব্যক্তি তারা তাদের নেককাজের উসীলা গ্রহণ করে নাজাত পেয়েছিলো।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1956
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আল্লাহর রাসূল সাঃ এর ব্যক্তিত্বের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা জায়েয। এছাড়া অন্যান্যদের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করার অর্থ এই যে, উক্ত ব্যক্তিবর্গের নেক কাজের উসিলা গ্রহণ করা হবে। তবে কোনো ব্যক্তি বিশেষের উসিলা গ্রহণ করে দুআ করা যাবে না।
(১) কোনো পীরের উছিলা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাবে না, এটা শিরক হবে। তবে পীর সাহেবের কোনো নেক আ'মল জানা থাকলে,সেই নেক আমলের উসিলা গ্রহণ করে দু'আ করা যাবে।
(২) চোখের থেকে নির্গত হওয়া পানি যদি আঠালো এবং দুর্গন্ধ যুক্ত হয়। তাহলে এই পানি পড়ার মাধ্যমে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। তবে সাধারণ কান্নার পানি দ্বারা অজু নষ্ট হবে না।
لما في البحر الرائق شرح كنز الدقائق:
"ولو كان في عينيه رمد يسيل دمعها يؤمر بالوضوء لكل وقت لاحتمال كونه صديدا وفي فتح القدير وأقول: هذا التعليل يقتضي أنه أمر استحباب فإن الشك والاحتمال في كونه ناقضا لا يوجب الحكم بالنقض إذ اليقين لا يزول بالشك نعم إذا علم من طريق غلبة الظن بإخبار الأطباء أو علامات تغلب على ظن المبتلى يجب اهـ، و هو حسن لكن صرح في السراج الوهاج بأنه صاحب عذر فكان الأمر للإيجاب."
(كتاب الطهارة، باب الحيض، ١ / ٢٢٧، ط: دار الكتاب الإسلامي)
(৩) আল্লাহ একত্ববাদের সাথে কোনো কিছুকে শরীক করার নামই হল শিরক। শিরক অনেক প্রকারের হতে পারে।