আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
106 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (9 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর প্রয়োজন।

১. ২০০ থেকে ৩০০ বছর আগে বা তারও আগের সময়কার ধাতব মুদ্রা বর্তমানে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া যাবে কি?

২. আমার সংগ্রহে বেশ কিছু আছে, তবে এগুলো মামার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের কাপড়ের দোকান আছে, যারা বিদেশ থেকে কাপড় নিয়ে আসে, সেই বিদেশীদের ব্যবহৃত কাপড়ের পকেটে হয়তো কিছু ছিল সেই দেশের ধাতব মুদ্রা, এগুলো মামা বা মামি আমাকে দিয়েছে, ছোটবেলায়, এখন এগুলো বিক্রি করা কি জায়েজ হবে? আর এই টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করাও সম্ভব নয়।

৩. আমি যতদূর জানি মুদারাবা ও মুশারাকা ব্যবসার দুইটি হালাল পদ্ধতি। এখন দুইজন ভাই যদি এইভাবে ব্যবসা করে যে, একজন ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করল, আরেকজন ৮ লক্ষ টাকা, যে ৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছে সে শুধু শ্রম দেবে, আর ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগকারী ভাই শ্রম দেবে না। আগেই মৌখিকভাবে কথা হয়েছে যে, বিক্রয় মূল্য দুইভাগ হবে, ফিফটি ফিফটি। এটা কি জায়েজ পদ্ধতি? আর এটা ব্যবসার কোন পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত?

৪. ফিফটি ফিফটি ভাগের বিষয়টার লিখিত কোন চুক্তি নেই। মৌখিকভাবেই উভয় সম্মতি প্রদান করেছে, লিখিত ছাড়া কি এইভাবে চুক্তি করা জায়েজ?

৫. মহিলা কাস্টমার বা সম্ভাব্য কাস্টমারের সাথে ইনবক্সে কথা বলা কি জায়েজ হবে?

৬. এমনকি প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম কাস্টমার যদি কল দেয়, তার সাথে কথা বলা কি জায়েজ হবে? বা প্রয়োজনে বিক্রেতা যদি তাকে কল দেয়  এটা কি জায়েজ হবে?

৭. কোন এক গ্রুপে যদি কেউ, পুরুষ বা গায়রে মাহরাম নারী পণ্যের দাম জানতে চায়, তাকে ইনবক্সে নিজ থেকে নক দিয়ে দাম জানানো কি জায়েজ হবে? কারণ সে আগে দাম জানতে ইনবক্সে প্রশ্ন করেনি, শুধু পোষ্টের মন্তব্য ঘরে মন্তব্য করেছে।

৮. ধরলাম কোন পণ্যের মূল্য ১ হাজার টাকা। এখন কেউ নয়শো টাকা দিতে চাইলো, দামাদামি করে তাকে সাড়ে ন'শ টাকা দিয়ে দিলাম, আবার কেউ এক হাজার টাকা দিয়েই কিনে নিল। এখানে যে উভয় ক্রেতার মাঝে মূল্যের তারতম্য হলো, এটা কি নাজায়েজ? এখানে কি একজনের সাথে বেইনসাফি করা হলো?

৯. পিস হিসেবে ক্রয় করে কেজি হিসেবে বিক্রি করা, আবার কেজি হিসেবে ক্রয় করে পিস হিসেবে বিক্রয় করা কি জায়েজ?

১০. কুরিয়ার অফিসে প্রোডাক্ট পৌঁছে গেছে, ডেলিভারি ম্যান এর কাছেও পৌঁছে গেছে, এখন দুপুর থেকে কাস্টমার ১০ বারের অধিক কল কল করেও তাকে পায়নি, এজন্য তার ম্যানেজারকে এই বিষয়টা জানানো কি গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ২০০ থেকে ৩০০ বছর আগে বা তারও আগের সময়কার ধাতব মুদ্রাকে বর্তমানে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া যাবে। 

(২)যেহেতু এই টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করাও সম্ভব নয়, তাই সদকাহ করে দিবেন। আপনার হাজত থাকলে আপনিও ব্যবহার করতে পারবেন।

(৩)  প্রশ্নের বিবরণ মতে এটাকে মুশারাকা বলা হবে।
এবং চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা উভয়ের মধ্যে বন্টিত হবে।
لما"المبسوط للسرخسی":
"وربما يشترط لأحدهما زيادة ربح لحذاقته وإن كان الآخر أكثر عملاً منه، فكذلك يكون الربح بينهما على الشرط ما بقى العقد بينهما وإن كان المباشر للعمل أحدهما ويستوي إن امتنع الآخر من العمل بعذر أو بغير عذر لأن العقد لا يرتفع بمجرد امتناعه من العمل واستحقاق الربح بالشرط في العقد".(11/287،دارالفکر) 


(৪) মৌখিক চুক্তি হলেই হবে।লিখিত চুক্তি জরুরী নয়।

(৫) মহিলা কাস্টমার বা সম্ভাব্য কাস্টমারের সাথে ইনবক্সে কথা বলা জায়েয হবে যদি ফিতনার কোনো আশংকা না থাকে।

(৬)প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম কাস্টমার যদি কল দেয়, তার সাথে কথা বলা জায়েয হবে যদি ফিতনার আশংকা না থাকে। প্রয়োজনে বিক্রেতা যদি তাকে কল দেয়, সেটাো জায়েয হবে যদি ফিতনার অাশংকা না থাকে।

(৭)কোন এক গ্রুপে যদি কেউ, পুরুষ বা গায়রে মাহরাম নারী পণ্যের দাম জানতে চায়, তাকে ইনবক্সে নিজ থেকে নক দিয়ে দাম জানানো না জায়েয না হলেও ইনবক্স না করাই উচিৎ। বরং কমেন্টে তাকে দাম জানানো উচিত।

(৮)একই পণ্যর একাধিক ক্রেতা থাকলে সবার নিকট একই মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা উচিৎ। হ্যা, কেউ মূল্যে তারতম্য করলে, ইনকাম নাজায়েয হবে না।

(৯)পিস হিসেবে ক্রয় করে কেজি হিসেবে বিক্রি করা, আবার কেজি হিসেবে ক্রয় করে পিস হিসেবে বিক্রয় করা, উভয়টিই জায়েয হবে।

(১০)কুরিয়ার অফিসে প্রোডাক্ট পৌঁছে গেছে, ডেলিভারি ম্যানের কাছেও পৌঁছে গেছে, এখন দুপুর থেকে কাস্টমার ১০ বারের অধিক কল কল করেও তাকে পায়নি, এজন্য তার ম্যানেজারকে এই বিষয়টা জানানো গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...