ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ২০০ থেকে ৩০০ বছর আগে বা তারও আগের সময়কার ধাতব মুদ্রাকে বর্তমানে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া যাবে।
(২)যেহেতু এই টাকার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করাও সম্ভব নয়, তাই সদকাহ করে দিবেন। আপনার হাজত থাকলে আপনিও ব্যবহার করতে পারবেন।
(৩) প্রশ্নের বিবরণ মতে এটাকে মুশারাকা বলা হবে।
এবং চুক্তি অনুযায়ী মুনাফা উভয়ের মধ্যে বন্টিত হবে।
لما"المبسوط للسرخسی":
"وربما يشترط لأحدهما زيادة ربح لحذاقته وإن كان الآخر أكثر عملاً منه، فكذلك يكون الربح بينهما على الشرط ما بقى العقد بينهما وإن كان المباشر للعمل أحدهما ويستوي إن امتنع الآخر من العمل بعذر أو بغير عذر لأن العقد لا يرتفع بمجرد امتناعه من العمل واستحقاق الربح بالشرط في العقد".(11/287،دارالفکر)
(৪) মৌখিক চুক্তি হলেই হবে।লিখিত চুক্তি জরুরী নয়।
(৫) মহিলা কাস্টমার বা সম্ভাব্য কাস্টমারের সাথে ইনবক্সে কথা বলা জায়েয হবে যদি ফিতনার কোনো আশংকা না থাকে।
(৬)প্রয়োজনে গায়রে মাহরাম কাস্টমার যদি কল দেয়, তার সাথে কথা বলা জায়েয হবে যদি ফিতনার আশংকা না থাকে। প্রয়োজনে বিক্রেতা যদি তাকে কল দেয়, সেটাো জায়েয হবে যদি ফিতনার অাশংকা না থাকে।
(৭)কোন এক গ্রুপে যদি কেউ, পুরুষ বা গায়রে মাহরাম নারী পণ্যের দাম জানতে চায়, তাকে ইনবক্সে নিজ থেকে নক দিয়ে দাম জানানো না জায়েয না হলেও ইনবক্স না করাই উচিৎ। বরং কমেন্টে তাকে দাম জানানো উচিত।
(৮)একই পণ্যর একাধিক ক্রেতা থাকলে সবার নিকট একই মূল্যে পণ্য বিক্রয় করা উচিৎ। হ্যা, কেউ মূল্যে তারতম্য করলে, ইনকাম নাজায়েয হবে না।
(৯)পিস হিসেবে ক্রয় করে কেজি হিসেবে বিক্রি করা, আবার কেজি হিসেবে ক্রয় করে পিস হিসেবে বিক্রয় করা, উভয়টিই জায়েয হবে।
(১০)কুরিয়ার অফিসে প্রোডাক্ট পৌঁছে গেছে, ডেলিভারি ম্যানের কাছেও পৌঁছে গেছে, এখন দুপুর থেকে কাস্টমার ১০ বারের অধিক কল কল করেও তাকে পায়নি, এজন্য তার ম্যানেজারকে এই বিষয়টা জানানো গীবতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।