ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আদ্দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে জামাত সম্পর্কিয় বিধি-বিধান সুবিস্তারে বর্ণিত রয়েছে, সেখান থেকে কিছু আলোচনা ভাবার্থ সহ উল্লেখ করছি---
(والجماعة سنة مؤكدة للرجال) قال الزاهدي: أرادوا بالتأكيد الوجوب إلا في جمعة وعيد فشرط. وفي التراويح سنة كفاية، وفي وتر رمضان مستحبة على قول. وفي وتر غيره وتطوع على سبيل التداعي مكروهة، وسنحققه. ويكره تكرار الجماعة بأذان وإقامة في مسجد محلة لا في مسجد طريق أو مسجد لا إمام له ولا مؤذن
জামাতে নামায পড়া পুরুষদের জন্য সুন্নতে মু'আকক্কাদাহ।মু'আক্কাদাহ দ্বারা ওয়াজিব উদ্দেশ্য।তবে জুম্মা এবং ঈদের নামাযে জামাত সুন্নত নয়,বরং এক্ষেত্রে জামাত হওয়া এই নামাযের জন্য শর্ত।তারাবিহর নামাযে জামাত সুন্নতে মু'আক্কাদাহ আলাল কেফায়া।রমজানে বিতিরের নামাযে জামাত মুস্তাহাব।রমজান ব্যতীত বিতিরের জামাত এবং হাকডাক করে অন্যান্য নফল নামাযের জামাত মাকরুহ।মহল্লার মসজিদে এক আজান এবং এক ঈকামতে দুই জামাত মাকরুহ।তবে রাস্তার পাশের মসজিদ বা এমন মসজিদ যেখানে ইমাম-মু'য়াজ্জিন নির্ধারিত নয়,সেখানে একাধিক জামাত মাকরুহ নয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1365
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে কোনো ভাবে জুম্মার নামায পড়ার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে চাকুরী বদল করবেন। বা দেশ পরিবর্তন করবেন। এজন্যই অমুসলিম দেশে বসবাসকে ইসলাম নাজায়েয বলে। হ্যা, যারা দ্বীনের দাওয়াতকে মূল উদ্দেশ্য রেখে অমুসলিম দেশে পাড়ি জমায়, তারা যদি এমন পরিস্থিতির স্বীকার হয়, তাহলে সাময়িকভাবে জুম্মা পড়া সম্ভব না হলে জুহর পড়ে নিবে।