আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
শায়খ আমি এই প্রশ্নটিই করেছিলাম।

https://ifatwa.info/96565/

শায়খ বেয়াদবি হিসেবে নিয়েননা। খুব আর্জেন্ট প্রশ্ন। আর যেহেতু এটি ওয়েবসাইট এখানে প্রশ্ন বুঝা এবং বুঝানো দুটিই কঠিন। অফলাইন এ একটা প্রশ্ন মুফতি সাহেব না বুঝলে আবার জিজ্ঞেস করতে পারেন। কিন্তু অনলাইন এ তো সেই সুযোগ নেই।

শায়খ আমার প্রশ্ন হলো যদি শায়খ অনেক গ্রহণযোগ্য আলেম হন। তাহলে কি আমি উনার সব ফতুয়া গ্রহণ করতে পারব যেহেতু আমি কোন আলেম না আমি বুঝি না কোনটা বেশি শক্তিশালী মত। এমন অনেক সময় আসে যখন তাড়াতাড়ি ফতুয়া শাইখের বলতে হয় যেমন ফোনে আর অধিকাংশ প্রশ্ন ফোনেই জিজ্ঞেস করা হয়। উনার মাইন্ড এ রেফারেন্স থাকলেও তখন বলা হয় না। শায়খ আমি এই কারণেই একজন আলেম কে ফলো করতে চাচ্ছি যেন নিজের সুবিধা মতো মত গ্রহণ এর বিষয়ে টা না থাকে।

১শায়খ যদি উনি কোনো রেফারেন্স ছাড়া উত্তর দেন আর যেহেতু আমি একজন আলেমকে অনুসরণ করতে চাচ্ছি নিজের প্রবৃত্তির অনুসরণ এবং দ্বিধান্বিত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য আমি কি উনার মত গ্রহণ করতে পারব অন্য আলেমের রেফারেন্স সহ মত আসার পরও? কারণ অনেক সময় এমন হয় যে অনেকে ভুল উত্তর রেফারেন্স সহ দেয়।
২আর শায়খ এটাকি আবশ্যক যে রেফারেন্স সহ উত্তর এবং রেফারেন্স ছাড়া উত্তর আসলে রেফারেন্স ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না যদিও যিনি রেফারেন্স ছাড়া দিয়েছেন উনি বেশি অভিজ্ঞ?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই। 
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।
,
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُه عَلى مَنْ أَفْتَاهُ وَمَنْ أَشَارَ عَلى أَخِيهِ بِأَمْرٍ يَعْلَمُ أَنَّ الرُّشْدَ فِي غَيْرِه فَقَدْ خَانَه

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ভুল ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ- বিনা ‘ইলমে (বিদ্যায়) ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে এর গুনাহ তার ওপর বর্তাবে যে তাকে ফাতাওয়া দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার কোন ভাইকে (অপরকে) এমন কোন কাজের পরামর্শ দিয়েছে, যা কল্যাণ হবে না বলে সে জানে, সে নিশ্চয়ই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, সহীহুল জামি‘ ৬০৬৮। ইমাম দারিমীও এটিকে (হাদীস নং ১৫৯) হাসান বলে উল্লেখ করেছেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আলেম হলেই হবেনা,বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহেব হতে হবে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে একই মাযহাবের দুই মুফতী সাহেবের ফতোয়া যদি বিপরীত মুখী হয়,আর ভিন্ন মুফতী সাহেব নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট রেফারেন্স দিয়ে থাকলে জেনে শুনে আপনি নিজ পরিচিত মুফতী সাহেবের ফতোয়ার উপর আমল করতে পারবেননা।

করলে এর দায়ভার আপনার উপর বর্তাবে।

(০২)
এটা আবশ্যক নয়।
তবে একই মাযহাবের দুই বিজ্ঞ মুফতী সাহেবের ফতোয়া যদি বিপরীত মুখী হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তো স্পষ্ট কথা যে একজনের মত সহীহ,আর অপরজনের মত ভুল।

সুতরাং ভুল কোনটা,তাহা জানার জন্য রেফারেন্স থাকা জরুরী। 
অন্যথায় কিভাবে বুঝবেন যে কোন মতটি সহীহ?

সুতরাং এমতাবস্থায় কোন মতটা সহীহ, সেটি বুঝার জন্য নিজ মতের স্বপক্ষে রেফারেন্স থাকা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...