وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
বিয়ে শাদীর মূল মাকসাদ শুধুমাত্র আনন্দ ফুর্তি নয়।বরং বিয়ে শাদীর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ মাকসাদ হল,সন্তান জন্ম দেয়া ও নবীর উম্মত বাড়ানো।তাই বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা যাবে না।বরং সর্বদা নির্দিষ্ট রাস্তায়ই সহবাস করতে হবে।হ্যা বিশেষ প্রয়োজনে পরস্পর পরস্পরের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের অনুমোদন ও রুখসত রয়েছে।এ রুখসত শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত।এটাকে আম হুকুম ভাবা যাবে না।
★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর বা বাচ্চার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে স্বামী তার স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুন করাতে পারবে।
স্ত্রী স্বামীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুন করাতে পারবে।
,
আরো জানুনঃ
আপনার আহলিয়ার গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর বা বাচ্চার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কিংবা তার হায়েজ চলাকালে কিংবা অসুস্থতার কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
সুতরাং এমতাবস্থায় আপনারা উভয়ে উভয়ের হাত দ্বারা ( আহলিয়ার হাত দ্বারা আপনার এবং আপনার হাত দ্বারা আহলিয়ার) যদি একান্ত মুহূর্তে পরম আনন্দ লাভ করে উভয়ের বির্যপাত হয় এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনারা গুনাহগার হবেননা।
উল্লেখ্য, বিশেষ প্রয়োজনে পরস্পর পরস্পরের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের অনুমোদন ও রুখসত রয়েছে।এ রুখসত শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত।এটাকে আম (ব্যাপক আকারে) হুকুম ভাবা যাবে না।