আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আস সালামু আলাইকুম, সম্মানিত ওস্তাজ।

আল্লাহ আপনাদের এবং আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করুন এবং নেক আমলসমূহ কবুল করুন।

আমার কিছু বিষয়ে জানা আবশ্যক ছিলো।

১) আমার আহলিয়ার গর্ভাবস্থায় কিংবা তার হায়েজ চলাকালে কিংবা শারীরিক দুর্বলতা থাকার কারনে আমরা উভয়ে উভয়ের হাত দ্বারা ( আহলিয়ার হাত দ্বারা আমার এবং আমার হাত দ্বারা আহলিয়ার) যদি একান্ত মুহূর্তে পরম আনন্দ লাভ করে উভয়ের বির্যপাত হয় এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিতে আমরা গুনাহগার হবো কিনা। উল্লেখ্য - চাকরীসূত্রে আমাদের উভয়কে আলাদা স্থানে অবস্থান করতে হয়।এবং মাসে ৪-৫ দিনের জন্য আমাদের দেখা হয়।

২) সম্প্রতি আমার আহলিয়ার মিসক্যারেজ হয়। তার গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই রক্তপাতের সমস্যা ছিলো। তিনি তখন আলেমগণের পরামর্শে ঐ রক্তপাতের সমস্যাকে ইস্তেহাজা হিসেবে গণ্য করে নামাজ আদায় করেন। কিন্তু প্রায় ৪ মাসের গর্ভাবস্থায় তার মিসক্যারেজ হয়। প্রথমে সামান্য রক্তপাত ছিলো এবং ১২-১৩ দিন রক্তপাত ছিলো কিন্তু আমার আহলিয়া অজ্ঞানতাবশত ঐ সময়কেও ইস্তেহাজা হিসেবে গণ্য করে নামাজ আদায় করেন এবং একদিন আমাদের শারীরিক সম্পর্কও হয়ে গিয়েছে এই সময়ে। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যেহেতু সন্তানের অবয়ব আসেনি তাই এই সময়টা হায়েজ বলে গণ্য হবে। এখন আমার আহলিয়া শংকিত আছেন না জানার কারনে আমাদের যে ১ দিন শারীরিক সম্পর্ক হয়ে গিয়েছে আর তিনি যে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ আদায় করেছেন এইজন্য শুদু তাওবা করাই যথেষ্ট হবে নাকি আমাদেরকে কাফফারা আদায় করতে হবে?

কাফফারা দিতে হলে কিভাবে দিতে হবে আর আমাদের ২ জনকে আলাদাভাবে কাফফারা আদায় করতে হবে কিনা জানালে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ।

৩) আমার আহলিয়ার চাকরীর কর্মস্থল আমার শশুড়বাড়ির অতি নিকটে হওয়ায় তিনি বাবার বাড়ি থাকেন। সেক্ষেত্রে আমার বাড়ি প্রায় ২৫০ কি.মি. দূরত্বে অবস্থিত,  সেখানে আমার আহলিয়া বেড়াতে গেলে তিনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন নাকি মুকিম হিসেবে সম্পূর্ণ সালাত আদায় করবেন?

অগ্রীম জাজাকাল্লহু খইর।

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ

نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ

তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)

আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।

সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।

https://ifatwa.info/46220/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বিয়ে শাদীর মূল মাকসাদ শুধুমাত্র আনন্দ ফুর্তি নয়।বরং বিয়ে শাদীর প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ মাকসাদ হল,সন্তান জন্ম দেয়া ও নবীর উম্মত বাড়ানো।তাই বিনা প্রয়োজনে এমনটা করা যাবে না।বরং সর্বদা নির্দিষ্ট রাস্তায়ই সহবাস করতে হবে।হ্যা বিশেষ প্রয়োজনে পরস্পর পরস্পরের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের অনুমোদন ও রুখসত রয়েছে।এ রুখসত শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত।এটাকে আম হুকুম ভাবা যাবে না।

★তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর বা বাচ্চার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে স্বামী তার স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুন করাতে পারবে।
স্ত্রী স্বামীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুন করাতে পারবে।
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনার আহলিয়ার গর্ভাবস্থায় স্ত্রীর বা বাচ্চার সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে কিংবা তার হায়েজ চলাকালে কিংবা অসুস্থতার কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।

সুতরাং এমতাবস্থায় আপনারা উভয়ে উভয়ের হাত দ্বারা ( আহলিয়ার হাত দ্বারা আপনার এবং আপনার হাত দ্বারা আহলিয়ার) যদি একান্ত মুহূর্তে পরম আনন্দ লাভ করে উভয়ের বির্যপাত হয় এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনারা গুনাহগার হবেননা।

উল্লেখ্য, বিশেষ প্রয়োজনে পরস্পর পরস্পরের মাধ্যমে হস্তমৈথুনের অনুমোদন ও রুখসত রয়েছে।এ রুখসত শুধুমাত্র প্রয়োজন পর্যন্ত।এটাকে আম (ব্যাপক আকারে) হুকুম ভাবা যাবে না।

(০২)
এমতাবস্থায় তওবা যথেষ্ট। 
কাফফারা আবশ্যক হবেনা।

মিসক্যারেজ হলে ব্লিডিং এর বিধান জানুনঃ- 

(০৩)
আপনার বাড়িই তো আপনাদের ওয়াতনে আসলি।

স্থায়ী ভাবে স্বামী সন্তান নিয়ে তো আপনার স্ত্রী আপনার বাসাতেই থাকবে।
তার বাবার বাসায় তো স্থায়ী ভাবে স্বামী সন্তান নিয়ে থাকবেনা।

সুতরাং আপনার বাসায় গেলে তার পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।

কসর নামাজ আদায় করতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 118 views
...