ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জবাবঃ-
মহর উভয় মিলেই নির্ধারণ করবে।পাত্রপক্ষ এবং পাত্রীপক্ষ উভয় পক্ষ মিলে সমঝোতার ভিত্তিতে মহর নির্ধারণ করবে।
মহর দাতা মূলত পাত্র এবং গ্রহিতা মূলত পাত্রী।এই দুজনের অনুমতিক্রমে উভয়ের পরিবারের লোকজন মহর নির্ধারণ করবে।ক্রয়-বিক্রয়ের মত যেকোনো একপক্ষ প্রথমে মহরের প্রস্তাব দিবে।এবং অন্যপক্ষ মহরের প্রস্তাবকে গ্রহণ করে নিবে।যদি পাত্রীপক্ষ বেশী মহরের দাবী করে,তাহলে পাত্রপক্ষ চাইলে তাদের দাবীকে মানতে পারে,আবার চাইলে মহরকে কম করারও প্রস্তাব দিতে পারে।এবং সম্ভব না হলে, সেখানে রিশতা না জুড়তে পারে।সেটা পাত্র পক্ষের সম্পূর্ণ নিজস্ব অধীকার।মহরের আলোচনা উঠার পর যে বিয়ে করতেই হবে,বিষয়টা আসলে এমন নয়,বরং তাদের ভাঙ্গা গড়ার অধীকার থাকবে।
মহর যতটুকু পরিশোধ করা যায়,ততটুকু হওয়াই কাম্য ও উচিৎ।
বিবাহের সর্বনিম্ন মহর দশ দিরহাম।
০১ দিরহাম=৩.০৬১৮ গ্রাম।
১০*৩.০৬১৮= ৩০.৬১৮ গ্রাম রূপা।অর্থাৎ দুই তোলা সাড়ে সাত মাশা।
বর্তমানে প্রতি তোলা রূপার মূল্য ১২০০/- টাকা।
১০(১০*১২০০)দিরহামের মূল্য দাঁড়ায় ৩,১৫০/- টাকা।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এটা হলো প্রত্যেক মহিলার জন্য শরীয়তের পক্ষ্য থেকে সর্বশেষ নির্ধারিত মহর।যাকে শরীয়তের হক বলা হয়ে থাকে।এর চেয়ে কম মহর নির্ধারণ করা যাবে না।সুতরাং বর্তমান হিসেব অনুযায়ী ৩,১৫০ টাকা এর নিম্নে মহর নির্ধারণ করা যাবে না।
১০দিরহামের কম মহরের উপর স্ত্রী সন্তুষ্ট থাকলেও শরীয়ত মহিলার উপর মহরে মিছিল ওয়াজিব করবে।
উল্লেখ্য যে,
হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,২০মিছকাল স্বর্ণ বা ২০০দিরহাম রূপা কারো নিকট থাকলে তার উপর যাকাত ফরয হয়।এবং হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,হযরত ফাতেমা রাযি এর মহর ছিলো,৫০০দিরহাম
প্রশ্ন জাগে যে,বর্তমান বৃটিশ হিসাব পদ্ধতিতে ১মিছকাল সমান কত গ্রাম বা ভড়ি,এবং ১দিরহাম সমান কত গ্রাম বা ভড়ি।
এ সম্পর্কে জানতে নিচের আলোচনা গুলো গুরুত্ব সহকারে আমাদেরকে বুঝতে হবে।