আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (25 points)
বিকাশের ব্যবসা বিষয়ক একটা বিষ বিকাশের ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে এবং আলহামদুলিল্লাহ এর মাধ্যমে মাসআলা জানতে পেরেছি।

তো এখন বিষয়টা হচ্ছে যে: পূর্বে একটা বিষয় আমি বলেছিলাম। যে বিদেশ থেকে আমার ভাই আমাকে একটা এমাউন্ট দিবে ৫ লাখ বা ১০ লাখ ইত্যাদী। তারপর সে বিদেশ থেকে যেসব ভাইয়েরা দেশে টাকা পাঠাবে বিকাশে। সেসব ভাইদের নাম্বার দিবে একেক করে এবং টাকার সংখ্যা বলে দিবে আমি সেই নাম্বারে সেই পর্যাপ্ত এমাউন্ট বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিব। তো আমি যেহেতু এজেন্ট ব্যবসায়ী বিকাশ তো আমাকে প্রতি হাজারে একটা কমিশন দিচ্ছেই।
এখন আমার প্রশ্ন হল যে আমি বিকাশের সাথে কথা বলেছিলাম এ বিষয়ে যে বাহির থেকে এভাবে নাম্বার দিলে এভাবে টাকা ক্যাশ ইন করা বিকাশ কি বলে। তো বিকাশে আমি কথা বলার পর তারা বলল যে এই প্রসেসে লেনদেন টা তাদের নিয়মের বহির্ভূত কাজ, এটা তাদের নিয়মের বাহিরে। তো এ বিষয়ে যখন আমি এখানে মাসআলা জানতে প্রশ্ন করেছিলাম। তো ওস্তাদ বলেছিল যদিও স্বাভাবিকভাবে এটা হালাল সমস্যা নেই, তবে বিকাশ যেহেতু এভাবে লেনদেন তাদের নিয়মের বাহিরে বলেছে সেজন্য একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে এভাবে লেনদেন করা বৈধ হবে না। কারণ এজেন্ট ব্যবসায়ী যেহেতু বিকাশের হয়ে কাজ করতেছে সেজন্য বিকাশের নিয়ম মান্য করাও তার উপরে আবশ্যক। তো এই কারণে বিকাশের নিয়মের বাহিরে কোন লেনদেন করা বিকাশ ব্যবসায়ী জন্য হালাল হবে না, যদিও তা সাধারণভাবে হালাল হয়।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে: আমি যদি বিকাশের শর্তটা মেনে একটা কৌশল অবলম্বন করে লেনদেন করি তাহলে কি বৈধ হবে কিনা লেনদেন করা। যেমন বিকাশে শর্ত হচ্ছে: আমি এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে ক্যাশ ইন বা কাস্টমারের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কাস্টমারকে ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসতে হবে। এবং তার 5000 টাকার ঊর্ধ্বে টাকা পাঠালে তার আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখতে হবে ইত্যাদি। অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে রাখতে হবে। তো এখন আমার ভাই বিদেশ থেকে যেই নাম্বার গুলো দেয় এগুলো তো বিভিন্ন জায়গার। তারা তো ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসতেছে না। এখন এই ক্ষেত্রে যদি আমি থার্ড পারসন আরেকজনকে ইউজ করি। যেমন বিদেশ থেকে যেই ভাই আমাকে টাকা দিতেছে উনি সরাসরি আমাকে টাকা দিবে না। উনি উনার ছোট ভাইকে টাকা দিবে এবং বিকাশ নাম্বার দিবে। এবং উনার ছোট ভাই ফিজিক্যালি আমার দোকানে এসে আমাকে নাম্বার দিবে এবং অ্যামাউন্ট দিবে, আমি সেই নাম্বারে সেই অ্যামাউন্ট পাঠায় দিবো। তো সে যেহেতু আমার পরিচিত খালাত ভাই তাকে তো আমি চিনিই। তো আমার ভাই তাকে বিদেশ থেকে টাকা দিবে এবং তাকে বিকাশ নাম্বারগুলো দিবে। পরে সে whatsapp এ নাম্বার গুলো আমাকে সেন্ড করে দিবে। এবং বলে দিবে কোন নাম্বার কত টাকা পাঠাতে হবে আমি সেই নাম্বারে ঠিক তত টাকাই পাঠিয়ে দিব।
তো এভাবে যদি লেনদেন করি তাহলে বিকাশের শর্ত মানা হচ্ছে। যে টাকা পাঠাচ্ছে তার আইডি কার্ডে ফটোকপি আমি রেখে দিলাম। যেহেতু সে পরিচিত এবং কন্টিনিউয়াসলি পাঠাবে সেই ক্ষেত্রে একবার আইডি কার্ডের ফটকপি রেখে দিলেই হবে, বারবার রাখার প্রয়োজন নেই কারণ কাস্টমার যেহেতু একজন ব্যক্তিই।
তো এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এইভাবে কৌশল অবলম্বন করে লেনদেন করা কি বৈধ হবে কিনা আমি একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে। বিকাশ যেই শর্ত দিয়েছে সেই শর্ত তো মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টা একটু ঘুরিয়ে লেনদেনটা করা হচ্ছে আরকি। তো এভাবে লেনদেন করা কি আমার জন্য বৈধ হবে কিনা? এর থেকে প্রফিট কি আমার জন্য হালাল হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বন করতে চাচ্ছেন,সেক্ষেত্রে আপনার কথা মতে বিকাশের কোনো আইন ভঙ্গ হচ্ছেনা,এবং পাশাপাশি গ্রাহককেও কোনো ধোকা দেয়া হচ্ছেনা।
এবং আপনি বৈধ পদ্ধতিতেই টাকা দেশে আনছেন। 

সুতরাং এভাবে লেনদেন আপনার জন্য জায়েজ হবে।
তবে এজেন্ট হিসাবে বিকাশ আপনাকে যে লাভ দিবে,শুধু সেই লাভ নেয়াই জায়েজ হবে,এর থেকে অতিরিক্ত লাভ নেয়া বৈধ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
ওস্তায এখানে একটা বিষয় আমার খটকা লাগতেছে যে কারণেই এই প্রশ্নটা করা। সেটা হচ্ছে যে আসলে বিকাশ তো দেশের বাহিরে কোন কিছু নাই। বিকাশ শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই। এখন দেশের বাহির থেকে অনেক বাংলাদেশী ভাইয়েরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠায় থাকে আর কি। বাংলাদেশ বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর মাধ্যমে। তো বিদেশ থেকে ভাই যে টাকাটা দিবে মান্থলি ঐটা তো লিগেল ভাবেই দিচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে। এখন এখানে বিষয়টা হচ্ছে বিকাশের শর্ত হচ্ছে যে ফিজিক্যালি কাস্টমারকে দোকানে আসতে হবে। কিন্তু আমার ভাই যেসব নাম্বার আমাকে দিতেছে ওরা তো দেশের বাহিরে থাকে ওরা তো ফিজিক্যালের দোকানে আসতে পারবেনা এবং ওরা তাদের প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছে তাদের প্রিয়জন্রাও বিভিন্ন জায়গায় থাকে। ফিজিক্যালি আসা পসিবল হচ্ছে না। ভাই আমাকে ওখান থেকে নাম্বার দিতেছে আমি টাকা পাঠিয়ে দিতেছি। এখন যেহেতু বিকাশ শর্ত দিয়েছে যে ফিজিক্যালি কাস্টমারকে দোকানে আসতে হবে: এখন আমি আপনাকে উক্ত যেই পদ্ধতিটা অবলম্বনের কথা বললাম যেটা হচ্ছে যে এখন আর আমার ভাই আমাকে সরাসরি টাকা দিবে না। সে তার ছোট ভাইকে টাকা দিবে এবং কাস্টমারদের নাম্বার দিবে। এবং তার ছোট ভাই আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে সেই নাম্বারগুলো দিবে এবং টাকার পরিমান বলে দিবে। এখন ওনার ছোট ভাই যেহেতু আমার পরিচিত আমার আত্মীয় তো সেক্ষেত্রে তার বারবার ফিজিক্যাল দোকানে আসতে হবে না। এবং তার আইডি কার্ডের ফটোকপি একবার রেখে দিলেই চলবে। 
এখন আমার খটকার বিষয়টা হচ্ছে যে উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন কি আসলেই বিকাশে শর্ত মানা হচ্ছে কিনা। কারণ বিকাশ তো বলছে যে কাস্টমারকে ফিজিক্যালি দোকানে আসতে হবে। এখন যেই ছোট ভাই দোকানে আসবে সেতো নাম্বার নিয়ে আসবে ঐ বিদেশের বাংলাদেশী ভাইদেরই। বিদেশের ভাইয়েরা তো আর দোকানে আসতে পারতেছে না। এখন কি এ পদ্ধতিতে বিকাশের শর্ত মনে হচ্ছে কিনা বা এভাবে লেনদেন কি জায়েজ হচ্ছে কিনা??
by (25 points)
উস্তায বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করবেন প্লিজ 
by (25 points)
উস্তায বিষয়টা জানাবেন

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...