বিকাশের ব্যবসা বিষয়ক একটা বিষ বিকাশের ব্যবসা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে এবং আলহামদুলিল্লাহ এর মাধ্যমে মাসআলা জানতে পেরেছি।
তো এখন বিষয়টা হচ্ছে যে: পূর্বে একটা বিষয় আমি বলেছিলাম। যে বিদেশ থেকে আমার ভাই আমাকে একটা এমাউন্ট দিবে ৫ লাখ বা ১০ লাখ ইত্যাদী। তারপর সে বিদেশ থেকে যেসব ভাইয়েরা দেশে টাকা পাঠাবে বিকাশে। সেসব ভাইদের নাম্বার দিবে একেক করে এবং টাকার সংখ্যা বলে দিবে আমি সেই নাম্বারে সেই পর্যাপ্ত এমাউন্ট বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিব। তো আমি যেহেতু এজেন্ট ব্যবসায়ী বিকাশ তো আমাকে প্রতি হাজারে একটা কমিশন দিচ্ছেই।
এখন আমার প্রশ্ন হল যে আমি বিকাশের সাথে কথা বলেছিলাম এ বিষয়ে যে বাহির থেকে এভাবে নাম্বার দিলে এভাবে টাকা ক্যাশ ইন করা বিকাশ কি বলে। তো বিকাশে আমি কথা বলার পর তারা বলল যে এই প্রসেসে লেনদেন টা তাদের নিয়মের বহির্ভূত কাজ, এটা তাদের নিয়মের বাহিরে। তো এ বিষয়ে যখন আমি এখানে মাসআলা জানতে প্রশ্ন করেছিলাম। তো ওস্তাদ বলেছিল যদিও স্বাভাবিকভাবে এটা হালাল সমস্যা নেই, তবে বিকাশ যেহেতু এভাবে লেনদেন তাদের নিয়মের বাহিরে বলেছে সেজন্য একজন বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে এভাবে লেনদেন করা বৈধ হবে না। কারণ এজেন্ট ব্যবসায়ী যেহেতু বিকাশের হয়ে কাজ করতেছে সেজন্য বিকাশের নিয়ম মান্য করাও তার উপরে আবশ্যক। তো এই কারণে বিকাশের নিয়মের বাহিরে কোন লেনদেন করা বিকাশ ব্যবসায়ী জন্য হালাল হবে না, যদিও তা সাধারণভাবে হালাল হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে: আমি যদি বিকাশের শর্তটা মেনে একটা কৌশল অবলম্বন করে লেনদেন করি তাহলে কি বৈধ হবে কিনা লেনদেন করা। যেমন বিকাশে শর্ত হচ্ছে: আমি এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে ক্যাশ ইন বা কাস্টমারের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কাস্টমারকে ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসতে হবে। এবং তার 5000 টাকার ঊর্ধ্বে টাকা পাঠালে তার আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখতে হবে ইত্যাদি। অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে রাখতে হবে। তো এখন আমার ভাই বিদেশ থেকে যেই নাম্বার গুলো দেয় এগুলো তো বিভিন্ন জায়গার। তারা তো ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসতেছে না। এখন এই ক্ষেত্রে যদি আমি থার্ড পারসন আরেকজনকে ইউজ করি। যেমন বিদেশ থেকে যেই ভাই আমাকে টাকা দিতেছে উনি সরাসরি আমাকে টাকা দিবে না। উনি উনার ছোট ভাইকে টাকা দিবে এবং বিকাশ নাম্বার দিবে। এবং উনার ছোট ভাই ফিজিক্যালি আমার দোকানে এসে আমাকে নাম্বার দিবে এবং অ্যামাউন্ট দিবে, আমি সেই নাম্বারে সেই অ্যামাউন্ট পাঠায় দিবো। তো সে যেহেতু আমার পরিচিত খালাত ভাই তাকে তো আমি চিনিই। তো আমার ভাই তাকে বিদেশ থেকে টাকা দিবে এবং তাকে বিকাশ নাম্বারগুলো দিবে। পরে সে whatsapp এ নাম্বার গুলো আমাকে সেন্ড করে দিবে। এবং বলে দিবে কোন নাম্বার কত টাকা পাঠাতে হবে আমি সেই নাম্বারে ঠিক তত টাকাই পাঠিয়ে দিব।
তো এভাবে যদি লেনদেন করি তাহলে বিকাশের শর্ত মানা হচ্ছে। যে টাকা পাঠাচ্ছে তার আইডি কার্ডে ফটোকপি আমি রেখে দিলাম। যেহেতু সে পরিচিত এবং কন্টিনিউয়াসলি পাঠাবে সেই ক্ষেত্রে একবার আইডি কার্ডের ফটকপি রেখে দিলেই হবে, বারবার রাখার প্রয়োজন নেই কারণ কাস্টমার যেহেতু একজন ব্যক্তিই।
তো এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এইভাবে কৌশল অবলম্বন করে লেনদেন করা কি বৈধ হবে কিনা আমি একজন এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে। বিকাশ যেই শর্ত দিয়েছে সেই শর্ত তো মনে হচ্ছে। তবে বিষয়টা একটু ঘুরিয়ে লেনদেনটা করা হচ্ছে আরকি। তো এভাবে লেনদেন করা কি আমার জন্য বৈধ হবে কিনা? এর থেকে প্রফিট কি আমার জন্য হালাল হবে কিনা?