জবাবঃ-
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ مَنۡ یَّقۡتُلۡ مُؤۡمِنًا مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآؤُہٗ جَہَنَّمُ خٰلِدًا فِیۡہَا وَ غَضِبَ اللّٰہُ عَلَیۡہِ وَ لَعَنَہٗ وَ اَعَدَّ لَہٗ عَذَابًا عَظِیۡمًا ﴿۹۳﴾
আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে লা'নত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন।
(সুরা নিসা ৯৩)
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَقۡتُلُوا الصَّیۡدَ وَ اَنۡتُمۡ حُرُمٌ ؕ وَ مَنۡ قَتَلَہٗ مِنۡکُمۡ مُّتَعَمِّدًا فَجَزَآءٌ مِّثۡلُ مَا قَتَلَ مِنَ النَّعَمِ یَحۡکُمُ بِہٖ ذَوَا عَدۡلٍ مِّنۡکُمۡ ہَدۡیًۢا بٰلِغَ الۡکَعۡبَۃِ اَوۡ کَفَّارَۃٌ طَعَامُ مَسٰکِیۡنَ اَوۡ عَدۡلُ ذٰلِکَ صِیَامًا لِّیَذُوۡقَ وَبَالَ اَمۡرِہٖ ؕ عَفَا اللّٰہُ عَمَّا سَلَفَ ؕ وَ مَنۡ عَادَ فَیَنۡتَقِمُ اللّٰہُ مِنۡہُ ؕ وَ اللّٰہُ عَزِیۡزٌ ذُو انۡتِقَامٍ ﴿۹۵﴾
হে ঈমানদারগণ! ইহরামে থাকাকালে তোমরা শিকার-জন্তু হত্যা করোনা তোমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছে করে সেটাকে হত্য করলে যা সে হত্যা করল তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দুজন ন্যায়বান লোক- কা'বাতে পাঠানো হাদঈরূপে। বা সেটার কাফফারা হবে দরিদ্রকে খাদ্য দান করা কিংবা সমান সংখ্যক সিয়াম পালন করা, যাতে সে আপন কৃতকর্মের ফল ভোগ করে। যা গত হয়েছে আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন। কেউ তা আবারো করলে আল্লাহ্ তার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
(সুরা মায়েদা ৯৫)
হত্যা ৫ প্রকার।
১. ইচ্ছাকৃত হত্যা : ইচ্ছাকৃতভাবে ধারালো মারণাস্ত্র বা তার মতো বস্তু দিয়ে কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা। পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা, গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা, আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা, পাহাড় বা ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা, হিংস্র প্রাণীর খামারে ছেড়ে দিয়ে হত্যা করা, বিষপান করিয়ে হত্যা করা, যাদুর মাধ্যমে হত্যা করা। এগুলোও ইচ্ছাকৃত হত্যার অন্তর্ভুক্ত। ইচ্ছাকৃত হত্যার শাস্তি হলো আখেরাতে সে জাহান্নামে যাবে এবং দুনিয়াতে তার থেকে কেসাস (হত্যার বদলা) নেওয়া হবে। কেসাস শুধু ইচ্ছাকৃতভাবে অস্ত্র দ্বারা হত্যার কারণেই ওয়াজিব হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারা : ১৭৮)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত হত্যাকারীর মারাত্মক গুনাহ হবে। এক্ষেত্রে তার শাস্তি কি হবে,তাহা উপরে বর্ণিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় যেহেতু কিসাস এর আইন নেই,তাই সে যদি খালেস দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে,আজীবন নিহত ব্যাক্তির স্ত্রী সন্তানদের ভরনপোষণ ইত্যাদি ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহন করে,ও আখেরাতে নিহত ব্যাক্তির নিকট ক্ষমা চাওয়ার পর নিহত ব্যাক্তি যদি তাকে ক্ষমা করে দেয়,আর আল্লাহও যদি তাকে ক্ষমা করে দেয়,সেক্ষেত্রে কেবল সে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে।
অন্যথায় তাকে জাহান্নামে যেতে হবে।