আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
465 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামুয়ালাইকুম  ... উস্তাদ মহাদয়। অনুল্লেখযোগ্য একটা সরকারি প্রতিষ্ঠান এর প্রধান কর্মকর্তা ( ১ম শ্রেনীর করমকরতা)  প্রতিষ্টান চালানোর জন্য তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দেওয়া হয়। এবং খাত ভাগ ভাগ করা ( যেমন _ খাবারের জন্য ৩০০০০ টাকা) এরকম সব খাতে নির্দিষ্ট করা আর পরিমাণ টা সরকার তুলনামূলক বেশি দিয়ে থাকে।  যার ফলে অতিরিক্ত টাকা থেকে যায়। এম ন কি প্রত্যেক খাতে সর্বোচ্চ খরচ করলেও কিছু টাকা থেকে যায়। ( উল্লেখযোগ্য - সে ইচ্ছাকৃত কোনো টাকা রাখতে চায় না)।  বাজেটের টাকা টা ফেরত দেওয়ারও কোনো উপায় নেই।ফেরত দিলে সরকার তাকে অদক্ষ বলে আখ্যায়িত করে (সরকারি নিয়ম) ফেরত দেওয়া যায়না।  এম ন পর্যায় কি এই উদবৃদ্দ টাকা টা কি নেওয়া জায়েজ হবে কি বা এমন পর্যায়ে তার কি করনীয় ।!! হালাল ভাবে রিজিক অর্জন এর জন্য।।। খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।  দয়া করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,শুরুতে সরকারী চাকুরীর বিধান জেনে নেই।  
  
শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) 

নিজে উপার্জন করে খাওয়ার কথা রাসুল সাঃ বলেছেন।
হাদীসে এসেছে,

হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত

 ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।
আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন।(মিশকাত-২৭৫৯)

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত

 عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» " رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي " شُعَبِ الْإِيمَانِ.

রাসুলাল্লাহ সাঃ বলেন,হালাল রিযিক তালাশ করা অন্যন্য ফরয বিধানের পরই ফরয।(মিশকাতুল মাসাবিহ-২৭৮১)
,
যেহেতু সরকারী হালাল,বৈধ যেকোনো চাকুরী করতে পারবেন। এবং এতে প্রাপ্ত বেতন বেসিক বেতন স্কেল গ্রহণ করতে পারবেন।
এতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই। 
,  
তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকবেন। নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করবেন।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন,
আমরা জানি সরকারি টাকায় সমস্ত জনগনের হক রয়েছে,যদি কেহ দূর্ণীতি করে,তাহলে সমস্ত জনগনের হক সে নষ্ট করলো।
এতে সকলের কাছেই তাকেই মাফ চেয়ে নিতে হবে।
কারন এটি সকলেরই হক।
,  
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত অতিথির টাকা অন্য কোনো ভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দিবেন।
বিভিন্ন পন্থায় সরকারী কোষাগারে টাকা জমা দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে।
,
হ্যাঁ যদি কোনো ভাবেই সরকারি কোষাগারে জমা না দিতে পারেন,তাহলে গরিব মিসকিনদের মাঝে ছদকাহ করে দিবেন।
,
আপনাদের জন্য উক্ত টাকা নেওয়া জায়েয নেই।   
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। 

(সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...