আসসালামু 'আলাইকুম ।
আমি একটি মহিলা হিফয মাদ্রাসায় খিদমতের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখনো জয়েন করিনি। আমি মূলত বিভিন্ন ব্যাপারে বেশ দিধান্বিত। নিম্নক্ত বিষয়গুলো মাদ্রাসায় বিদ্যমান থাকায় আমি সেখান থেকে যা পারিশ্রমিক পাব সেটি কি হালাল হবে?
১)মাদ্রাসায় অনেকে দান করেন। আমার আব্বুও সেখানে বেশ কয়েকবার দান করেছেন। আমার আব্বুর ইনকাম পুরোপুরি হালাল নয়। আরও যারা দান করেন তাদের ইনকাম কেমন আল্লাহ-ই জানেন। আমি জানিনা দান করা এ টাকা গুলো দিয়ে আমার পারিশ্রমিক দেওয়া হবে কিনা। যেহেতু আমার আব্বুর ইনকাম আংশিক হারাম আমার জানা জ্ঞান অনুযায়ী।তাই এই ব্যাপারটি নিয়ে আমি খুবই দ্বিধান্বিত।
২)যে হাফিজা উস্তাযাহ ছাত্রীদেরকে হিফয শেখান তার তিলাওয়াতে বেশ কিছু লাহানে খফি আছে। আমার মনে হলো ইস্তিলার হরফগুলো উনি ঠিক মতো উচ্চারণ করা শেখান না।দ্বদ(ض) এর উচ্চারণেও সমস্যা।তিনি "দ" এবং "য" এর মাঝামাঝি উচ্চারণ শেখান।যা জিহবার আগা সামনে উপরের দুই দাঁতের গোড়ার সাথে লাগি উচ্চারণ করে(আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি বুঝতে পারছিনা যে এটা লাহানে জ্বালি কিনা)। আরো অনেক ভুল আছে বলে আমি মনে করি।
৩)সমাজে বহুল প্রচলিত কিছু বিদ'আত, যেমন: নামাযে নিয়ত, জায়নামাজের দু'আ ইত্যাদি শেখানো হয়,যদি আমি ভুল না জেনে থাকি। উস্তাযাহকে দ্বীনের ব্যাপারে তেমন একটা জ্ঞানী মনে হয়না।
আমি সাধারণ সেক্যুলার শিক্ষাব্যাবস্থায় শিক্ষিত। দ্বীনের বুঝ প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছি। আমাকে ওখানে কিতাব বিভাগে পড়ুয়া বাচ্চা মেয়েদেরকে সাধারণ (বাংলা,ইংরেজি,গণিত)পড়াতে হবে। আসলে আমার আব্বুর ইনকাম পুরোপুরি হালাল নয় বলে আমি ওখান থেকে হালাল ইনকামের আশায় শিক্ষকতা করতে চাচ্ছিলাম।কিন্তু এখন দেখছি সেখানে এসব সমস্যা বিদ্যমান।আমার কি ওখানে শিক্ষতা করা উচিত হবে? শুধু জায়েজ নাজায়েজে সীমাবদ্ধ না থেকে অনুগ্রহ করে যেটা আমার জন্য করা তাকওয়ার দাবি হবে সে অনুযায়ী পরামর্শ দিবেন মিন ফাদ্বলিক।