আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ ,

শায়েখ,

আমার খালু যাকাতের নিসাব হিসাব করার সময় তার সব সম্পদ ধরেছেন।এখানে তিনি খালার স্বর্ণালংকারও হিসাবে নিয়েছেন। কিন্তু যাকাত শুধু খালুর পক্ষ থেকে আদায় করতে চান। উল্লেখিত স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু স্বর্ণ আমার খালার মালিকানাধীন এবং কিছু স্বর্ণ আমার ২ কাজিনের (উপহার পাওয়া)। আমার খালা যাকাতের টাকা তার পিতামাতাকে দিতে চান। কিন্তু খালু এখানে  খালার স্বর্ণের মূল্যও মিশ্রিত করেছেন ( যা খালার নিজস্ব)। এক্ষেত্রে খালা কি তার পিতা মাতাকে যাকাতের টাকা দিতে পারবে?

পরবর্তীতে যাকাতের হিসাব করার সময় খালু কিভাবে হিসাব করবেন? খালার স্বর্ণমূল্য কি বাদ দিতে হবে? আর কাজিনদের স্বর্ণমূল্য কি ধরতে পারবেন নিজের সম্পত্তি হিসেবে?

বি.দ্র: আমি খালুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,খালাকে দেওয়া স্বর্ণালংকারের মালিক কে? খালু বলেছেন খালা।

*যাকাতের টাকা  নিসাব হিসাব করার কত দিনের মধ্যে আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কারো নিকট স্বর্ণ এবং রূপা অথবা টাকা এভাবে থাকে যে, কোনোটিরই নেসাব পূর্ণ হয়নি, তাহলে এক্ষেত্রে রূপার নেসাবকেই মানদন্ড ধরে নেয়া হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 121 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যাকাত পরিবারের উপর ওয়াজিব হয় না, বরং ব্যক্তির উপর ওয়াজিব হয়। আপনার খালু এবং খালার পৃথক পৃথ হিসাব হবে এবং কাজিনদেরও পৃথক পৃথক হিসাব হবে। পৃথক পৃথক ভাবে প্রত্যেকের নিকট যদি নেসাব পরিমাণ মাল থাকে, তাহলেই কেবল যাকাত ফরয হবে। আপনার খালার যাকাত তিনি তার পিতা মাতাকে তথা আপনার নানা নানিকে দিতে পারবেন না। তবে হ্যা, আপনার খালু, তিনি তার যাকাতকে তার শশুড় শাশুড়ী তথা আপনার নানা নানীকে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...