আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহু।
১/ আমার ফুপি কলেজ এ শিক্ষিকা হিসেবে জয়েন করেছেন আর তার স্বামী অর্থাৎ আমার ফুপা ব্যাংকার। ফুপু এবার সবাইকে হাদিয়া দেন ঈদ উপলক্ষে। ফুপি কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তার বেতনের আর ফুপা কে জিজ্ঞেস করলে বলেন তোমার ফুপি আর আমি তো একি। প্রশ্ন হচ্ছে এই হাদিয়া আমার জন্য গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি?

২/ যদি কারো ইনকাম এ হালাল হারাম এর মিশ্রণ থাকে সেক্ষেত্রে করণিয় কি?

৩/ যদি হারাম ইনকাম এর কেও হাদিয়া দেয় তবে তা দিয়ে বই কিনা যাবে?

৪/ দাদাবাড়ি বা নানাবাড়ি তে কসর প্রযোজ্য হবে কি?

৫/ কসর এ কি সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়া যাবে?
৬/ কসর অবস্থাকালীন জামাতে পরিপূর্ণ সালাত আদায় করলে সমস্যা আছে কি?

৭/ সালাতে তো সুরাহ ফাতিহা বাধ্যতামূলক, তবে কেন সুরাহ ফাতিহা বাদ গিয়ে রুকুতে রাকাত পেলেও ওই রাকাত আদায় হয়ে যায়?


৮/ এক বা একাধিক রাকাত বাদ গেলে ইমাম যখন শেষ বৈঠক বা ২য় রাকাতে বসে তাশাহুদ দরুদ পাঠ করেন আমাকেও কি সব পাঠ করতে হবে?


জাযাকাল্লাহ খইরন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(২)অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।যথা- 
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-১৯০০ 


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি আপনার ফুফু দেন, তাহলে আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার ফুফার কথা এখানে গ্রহণযোগ্য হবে না।

(২) যদি কারো ইনকামে হালাল হারামের সংমিশ্রণ থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে গ্রহণ করা যাবে না।

(৩) যদি হারাম ইনকাম কারী কেউ হাদিয়া দেয়, তাহলে দেখতে হবে সে কি তার ঐ হারাম ইনকাম থেকেই হাদিয়া দিচ্ছে না অন্য কোথাও থেকে দিচ্ছে? যদি হালাল কোনো সোর্স থেকে দেয়, তাহলে আপনার জন্য হালাল হবে। নতুবা হালাল হবে না। 

(৪) দাদাবাড়িতে কসর প্রযোজ্য হবে না তবে  নানাবাড়িতে কসর প্রযোজ্য হবে যদি সফর সমপরিমাণ দূরত্বের হয়।

(৫) সফর অবস্থায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়া জরুরী নয়।তবে সময় সুযোগ থাকলে পড়ে নেয়াই উচিৎ ও উত্তম।

(৬) সফর অবস্থায় পরিপূর্ণ সালাত আদায় করলে কোনো সমস্যা হবে না।

(৭) এটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এখানে যুক্তি প্রদর্শন করা যাবে না। 

(৮) এক বা একাধিক রাকাত বাদ গেলে ইমাম যখন শেষ বৈঠক বা ২য় রাকাতে বসে তাশাহুদ দরুদ পাঠ করেন, আপনাকেও পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...