ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(২)অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।যথা-
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-১৯০০
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যদি আপনার ফুফু দেন, তাহলে আপনি গ্রহণ করতে পারবেন। আপনার ফুফার কথা এখানে গ্রহণযোগ্য হবে না।
(২) যদি কারো ইনকামে হালাল হারামের সংমিশ্রণ থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে গ্রহণ করা যাবে না।
(৩) যদি হারাম ইনকাম কারী কেউ হাদিয়া দেয়, তাহলে দেখতে হবে সে কি তার ঐ হারাম ইনকাম থেকেই হাদিয়া দিচ্ছে না অন্য কোথাও থেকে দিচ্ছে? যদি হালাল কোনো সোর্স থেকে দেয়, তাহলে আপনার জন্য হালাল হবে। নতুবা হালাল হবে না।
(৪) দাদাবাড়িতে কসর প্রযোজ্য হবে না তবে নানাবাড়িতে কসর প্রযোজ্য হবে যদি সফর সমপরিমাণ দূরত্বের হয়।
(৫) সফর অবস্থায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ পড়া জরুরী নয়।তবে সময় সুযোগ থাকলে পড়ে নেয়াই উচিৎ ও উত্তম।
(৬) সফর অবস্থায় পরিপূর্ণ সালাত আদায় করলে কোনো সমস্যা হবে না।
(৭) এটা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এখানে যুক্তি প্রদর্শন করা যাবে না।
(৮) এক বা একাধিক রাকাত বাদ গেলে ইমাম যখন শেষ বৈঠক বা ২য় রাকাতে বসে তাশাহুদ দরুদ পাঠ করেন, আপনাকেও পড়তে হবে।