অসুস্থতার কারণে পবিত্রতায় সংশয়

Question

আসসালামুআলাইকুম

১।আমার পাইলসের সমস্যা আছে, ছোট্ট একটু মাংস বের হয়েছে। গরমকালে ঘামালে দেখে যায় কাপড়ে একটু দূর্গন্ধ হয়ে থাকে। শীতকালে এই সমস্যায় তেমন একটা পরতে হয় না আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু গরমকালে খুব সমস্যায় পরে যাই। সেলোয়ার চেন্জ করে নামায আদায় করতে করতেই আবারও একই সমস্যা হয়। এমন হলে দেখা যায় যে এক ওয়াক্তেই কয়েকবার কাপড় চেন্জ করতে কবে। তবে মাযূর নই। আর আমি একটু বেশীই ঘামাই। মাঝেমাঝে না ঘামালেও ঐ জায়গায় কাপড় লাগলে একটু স্মেল লাগে। এমতাবস্থায় আমার কী করণীয়?

২. অনেকসময় নামায শেষ করার পর টের পাই স্মেল। তো সেই নামায কি আবার আদায় করতে হবে আমাকে? নামাযের মধ্যে কিছু বের হয়েছে এমন টেরও পাই না।
৩. বাইরে গেলে এমন সমস্যায় পরলে কী করণীয় নামাযের জন্য?

৪. যতটুকুতে দূর্গন্ধ থাকে ততটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে হবে না, নাকি পুরো কাপড়টাই আবার ধুতে হবে?

[কোনো নাপাকি বের হয় বলে অনুভব হয় না। কিন্তু বিশেষ করে ঘেমে গেলে পাইলসের সমস্যার কারণে এমন স্মেল হয় বোধহয়। যেহেতু গরমকালেই এমন সমস্যা বেশী হয়।]

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না।

যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে,

আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,

اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ

ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ

ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 

ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]

মুসলিম শরীফের সনদে বর্ণিত হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত হাদীস তার  উজ্জল দৃষ্টান্ত।

হাদীসটি এই,

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কারো তার পায়ুপথে কিছু বের হওয়ার সন্দেহ হয়।এবং উক্ত বের হওয়া না হওয়া নিয়ে সে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যায়।তাহলে সে যেন মসজিদ থেকে (অজু করার নিমিত্তে) বের না হয়,যতক্ষণ না সে বায়ুর আওয়াজ শুনছে বা এর দুর্গন্ধ তার নাকে আসছে।(আল-আশবাহ ওয়ান-নাযাইর;১/৪৭)............ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 293 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

(১) যেহেতু কোনো নাপাকি বের হচ্ছে না, তাই পবিত্রতায় কোনো সমস্যা হবে না। হ্যা, প্রতি নামাযের পূর্বে আন্ডারওয়ার চেঞ্জ করে ধৌত করে নিবেন।

(২) নামায শেষ করার পর নাকে কোনো দুর্গন্ধ আসলে উক্ত নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে না।

(৩) নিঃসন্দেহে নামায পড়বেন। কোনো সমস্যা হবে না।

(৪) নাপাকি যেহেতু বের হচ্ছে না, তাই ধৌত করার বিশেষ কোনো জরুরত নাই। তবে সম্ভব হলে আন্ডারওয়ার চেঞ্জ করে নিবেন। অথবা ধৌত করে নিবেন।