আল্লাহ তায়ালা কোথায় আছেন,এ সম্পর্কে প্রশ্ন, ভাবনা নিষেধ।
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
تفكَّروا في كلِّ شيءٍ , ولا تتفكَّروا في اللهِ
তোমরা সব কিছু নিয়ে গবেষণা কর। কিন্তু আল্লাহর সত্ত্বা নিয়ে গবেষণা করো না।
ইমাম যুরকানী রহঃ বলেন, হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী। [মুখতাসারুল মাকাসিদ, বর্ণনা নং-৩১৮]
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছেঃ
هُوَ الَّذِي أَنزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُّحْكَمَاتٌ هُنَّ أُمُّ الْكِتَابِ وَأُخَرُ مُتَشَابِهَاتٌ ۖ فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُ إِلَّا اللَّهُ ۗ وَالرَّاسِخُونَ فِي الْعِلْمِ يَقُولُونَ آمَنَّا بِهِ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَا ۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّا أُولُو الْأَلْبَابِ [٣:٧]
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট,সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে,তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর,তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। {সূরা আলে ইমরান-৭}
আরো জানুনঃ
আমরা বিশ্বাস রাখবো যে আল্লাহ বেষ্টনকারী, তথা আল্লাহ ইলম ও কুদরত হিসেবে সর্বত্র তিনি আমাদের মাঝে বিরাজমান আছেন। তাহলে এমন আকিদা বিশ্বাস রাখা যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বিশেষ প্রয়োজনে মহিলারা মাহরাম ব্যতিত কাছাকাছি মার্কেটে/বাজারে যেতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে যেতে হবে। হ্যা নিজে মার্কেটে/বাজারে না গিয়ে যদি প্রয়োজন পূর্ণ করার ভিন্ন রাস্তা থাকে,তাহলে অযথা সময় কাটানো বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে মার্কেটে/বাজারে যাওয়া কখনো জায়েয হবে না।
মাহরাম পুরুষ না থাকলে নিকটতম মার্কেটে পূর্ণ পর্দা করে শুধুমাত্র বিশেষ প্রয়োজনে দিনের বেলা যাওয়া যাবে,তবে রাস্তা ও মার্কেট ফিতনাহ হতে সম্পূর্ণ নিরাপদ হতে হবে। পুরুষদের ভীড় থাকা যাবেনা। প্রয়োজন অতিরিক্ত সময় মার্কেটে কাটানো যাবেনা।