ইতিকাফ অবস্থায় আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন প্রয়োজনে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ আবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন কারণে মসজিদ থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল হল পেশাব পায়খান করা, ফরজ গোসলের জন্য বের হওয়া, যদি বাসা থেকে খানা আনার কেউ না থাকে, তাহলে বাসা থেকে গিয়ে খানা খেয়ে আসা বা খানা নিয়ে আসা ইত্যাদি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَتْ: وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَأُرَجِّلُهُ، وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ البَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا»
আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ মসজিদে থাকা অবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন, তখন [প্রাকৃতিক] প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। {বুখারী, হাদীস নং-২০২৯, ১৯২৫, ১৯০২}
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
ইতেকাফ অবস্থায় ফরন গোসল ব্যাতিত দৈনন্দিম সাধারণ গোসল এটি শরীয়তের দৃষ্টিতে আবশ্যকীয় প্রয়োজনের মাঝে শামিল নয়। তাই এই গোসলের জন্য ইতেকাফের স্থান থেকে বের হওয়া যাবে না। যদি কেউ বের হয়, তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙ্গে যাবে।
হ্যাঁ, মুফতীয়ানে কেরাম একটি সূরত বলেছেন, সেটি হল এই যে, গোসল খানায় আগে থেকে কাউকে দিয়ে পানি ভরে রাখবে, তারপর ইস্তিঞ্জার জন্য বের হবে, ইস্তিঞ্জা শেষ করে অজু করার সময় দ্রুত গায়ে কিছু পানি ঢেলে চলে আসবে। এতে করে ইতিকাফ ভাঙ্গবে না। তবে গোসল করতে গিয়ে দেরী করবে না।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত ছুরত অবলম্বন না করে শুধুমাত্র সাধারণ গোসলের জন্য উক্ত এটাচ বাথরুমে গিয়ে থাকলে আপনার ইতেকাফ ভেঙ্গে গিয়েছে।